ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিডিডিআরবিতে ক্রিস্টিন ডেনহি কোন্ ক্ষমতাবলে বহাল জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫

আইসিডিডিআরবিতে ক্রিস্টিন ডেনহি কোন্  ক্ষমতাবলে বহাল জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মানব সম্পদ বিভাগের পরিচালক ক্রিস্টিন ডেনহি কোন ক্ষমতাবলে এ পদে বহাল রয়েছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে এ পদ ছেড়ে দেয়ার জন্য কেন বলা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে দায়ের করা এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। কর্মী মঙ্গল সংস্থার সভাপতি আযহারুল ইসলাম খান এবং সাধারণ সম্পাদক ড. ফিরোজ আহমেদ এ রিট আবেদনটি গত ৬ ডিসেম্বর দায়ের করেন। রবিবার আদালতে রিটে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। তাকে সহযোগিতা করেন এ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল আলম। জানতে চাইলে এ মামলার আইনজীবী মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘নিয়োগের শর্ত পূরণ করা হয়নি মর্মে বাদীরা উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করলে আদালত শুনানি করে আজ রবিবার এ আদেশ দেন।’ উল্লেখ্য, এর আগে ২৫ নবেম্বর ক্রিস্টিন ডেনহিকে আইনজীবী শাহদীন মালিক একটি লিগ্যাল নোটিস জারি করেন। কোন জবাব না দেয়াতে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। আইনজীবী শাহদিন মালিক এ বিষয়ে ২৯ নবেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠে ‘আইসিডিডিআরবি’ কিছু কর্মকর্তার কারণে ক্ষুণœ হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানÑ এই রিপোর্টটি আদালতে তুলে ধরেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) কতিপয় কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক মান ক্ষুণœ হচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কর্মী মঙ্গল সংস্থার ব্যানারে তাঁরা চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) পদের বিলুপ্তিসহ নয় দফা দাবি পূরণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে পারছে না। ইমারত নির্মাণ, বীমা জালিয়াতি, জার্নাল বিক্রিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাত করেছে প্রতিষ্ঠানটির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থবিরোধী অসম চুক্তির মাধ্যমে ব্র্যাককে এক টাকার বিনিময়ে সাড়ে ৪০ হাজার বর্গফুট জায়গা লিজ দিয়েও অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে। অস্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতাহীন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সাজানো নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। বৈষম্য ও বর্ণবাদের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সর্বোপরি, এই প্রতিষ্ঠানের জনবল, মান ও সম্মান উপেক্ষা করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে তৎপর হয়ে পড়েছে একটি স্বার্থবাদী চক্র। এইসব অভিযোগ সম্পর্কে নিয়ম অনুযায়ী যোগাযোগ করেও আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে রিটকারীর আইনজীবী শাহদিন মালিক সাংবাদিকদের বলেছেন, এই প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট বিজ্ঞাপন দেয়া হলেও ২৮ আগস্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। উক্ত পদে নিযোগের জন্য ৮১ জন দরখাস্ত করেছিলেন। দরখাস্ত গ্রহণের তিন দিন বাকি থাকতেই ক্রিস্টিনা ডেনহিকে নিয়োগ দেয়া হয়। উক্ত পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৫৮ থাকলেও যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার বয়স ৫৯ বছর। তার ব্যাচেলর ডিগ্রী নেই। তবে মাস্টার ডিগ্রী রয়েছে।
×