ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

সারারাত কাটল ওস্তাদ জাকিরের তবলার আর ধ্রুপদী সুরসুধায়

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৫

সারারাত কাটল ওস্তাদ জাকিরের তবলার আর ধ্রুপদী সুরসুধায়

মনোয়ার হোসেন ॥ টানা চার রাত ধরে শুদ্ধ সুরের অনুরাগীরা ভিড় জমিয়েছেন আর্মি স্টেডিয়ামে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সুরসুধায় রাঙিয়েছেন আপন মনন। সন্ধ্যা থেকে ভোর অবধি ধ্রুপদী সঙ্গীতের মূর্ছনায় সমর্পিত হয়েছেন হাজার হাজার সুররসিক। সাতটি স্বরে গাথা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের মহিমায় ঋদ্ধ হয়েছে গানপ্রেমীদের অন্তরাত্মা। সুরের অবগাহনে ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি ফুডকোর্টে বসে খাওয়া-দাওয়া কিংবা পরিবেশনার ফাঁকে মাঠজুড়ে জমেছে আড্ডা। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবের চতুর্থ দিন সোমবারের অধিবেশনের সূচনা হয় প্রয়াত চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর স্মরণে আট মিনিটের ‘নিসর্গের আঁকিয়ে’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে। সোমবার ছিল পথিকৃৎ এই চিত্রশিল্পীর প্রথম প্রয়াণবার্ষিকী। গত বছরের সঙ্গীতাসরে উৎসব মঞ্চে বক্তৃতাকালে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে শিল্পী পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। চতুর্থতম উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে। প্রয়াত এই শিল্পীর স্মরণে পুরো ক্যানভাস সাজানো হয়েছে বেঙ্গল উৎসবে অংশ নেয়া বিভিন্ন স্মরণীয় স্থিরচিত্র দিয়ে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া পঞ্চরজনীর উৎসবের চতুর্থ অধিবেশনের মধ্যরাতে মঞ্চে আসেন উপমহাদেশ তথা বিশ্বের কিংবদন্তি তবলিয়া ওস্তাদ জাকির হোসেন। শিল্পীর দুই হাতের দশটি আঙুল যেন জাদুর কাঠির মতো ঘুরে বেড়ালোর তবলার বুকে। অদ্ভুত সুন্দর বোল তুলে উদ্দীপ্ত করে রাখলেন এদিনের উৎসবটি। তাল ও লয়ের মেলবন্ধনে সৃষ্ট শব্দতরঙ্গে সঙ্গীতানুরাগীদের হৃদয়ের তুললেন আলোড়ন। শ্রোতার মানসপটে বুনে দিলেন মুগ্ধতার বীজ। প্রতি উত্তরে মুহুর্মুহু করতালির সঙ্গে সবাই মিলে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানালেন বিশ্ববরেণ্য এই তবলাবাদককে। সেই সূত্রে জাকির হোসেনের তবলার বোলে চতুর্থ রজনীর উৎসবটি হয়ে উঠল উদ্দীপ্ত। এবারই প্রথম এ উৎসবের পরিবেশনায় অংশ নিলেন জাকির হোসেন। বরেণ্য এ শিল্পী তবলার লহরি শোনার প্রতীক্ষায় থাকা শ্রোতাদের ঘণ্টাব্যাপ্তির অনিন্দ্য সুন্দর পরিবেশনায় ভাসালেন আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। উল্লেখ্য, জাকির হোসেনের বাবা ওস্তাদ আল্লা রাখাও ছিলেন বিখ্যাত তবলাবাদক। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওস্তাদ আল্লা রাখা নিউইয়র্কের মেডিসন স্কয়ারে বাঙালীদের সাহায্যার্থে আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এ তবলা পরিবেশন করেন। তার সুযোগ্য সন্তান জাকির শৈশব থেকেই তবলা বাজানোয় অর্জন করেন অসমান্য দক্ষতা। অল্প বয়সেই ‘শিশু বিস্ময়’ হিসেবে আবির্ভূত হন। মাত্র ১২ বছর বয়সে তবলা বাজিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯ বছর বয়স থেকে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। তখন থেকেই তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু। বছরে ১৫০টি কনসার্টে যোগ দিয়ে গড়েছেন রেকর্ড। চতুর্থ রজনীর বৈচিত্র্যময় নানা পরিবেশনার মাঝে বিশেষ করে বলতে হয় সন্তুর বাদনের কথা। বাজিয়েছেন প-িত শিবকুমার শর্মার কথা। রাত ১১টায় মঞ্চে আসেন শিল্পী। প্রথমেই কথার আশ্রয়ে শ্রোতার সঙ্গে ঘটিয়ে নেন আপন সংযোগ। বলেন, সুর আমার কাছে বিনোদনের চাইতেও বেশি কিছু। আমি মনে করি সুর হচ্ছে শান্তি। এই সুর আমাদের ভিন্ন এক জগতের সঙ্গে পরিচয় করায়, যার ভেতর শুধু আনন্দই নয় থাকে তার চেয়েও গভীর কোন অনুভূতি। এর পাশাপাশি সুর গড়ে দেয় মানুষে মানুষে সম্প্রীতি। কথা শেষে দুই হাঁটুর মাঝে তুলে নেন বাদ্যযন্ত্রটি। চোখটি বুজে পরম মমতায় শুরু করেন বাদন। বেজে ওঠে সন্তুরের ঝঙ্কার। ঘণ্টাব্যাপী বয়ে চলে শ্রোতার হৃদয় উচাটন করা সুরের বৈভব। গত আসরগুলোর মতো এবারের সঙ্গীতাসরেও সন্তুরের সুরেলা শব্দধ্বনিতে বিমোহিত করেন সঙ্গীতানুরাগীদের। কখনও তবলিয়ার সঙ্গে সুরের খেলায় মেতে ওঠেন, কখনও সুরকে উচ্চতায় চড়িয়ে আবার কখনও খাদে নামিয়ে সৃষ্টি করেন উন্মতাল আবহ। সফেদ চুলের এই বিশ্বখ্যাত এই শিল্পী এ আসরেও নিজের সবটুকু উজার করে রাঙিয়ে দিলেন উৎসব। যোগ কোষ দিয়ে শুরু করেন পরিবেশনা। এরপর একে একে উপস্থাপন করেন আলাপ, জোর আলাপ, ঝালা, রূপক ও তিন তালের কম্পোজিশন। তার সঙ্গে তবলায় অনবদ্য সঙ্গত করেন প-িত যোগেন শামসি। পরিবেশনা শেষে শিবকুমারের হাতে উৎসব স্মারক তুলে দেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ও স্কয়ার নিবেদিত এই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতাসরের চতুর্থ রাতের পরিবেশনা শুরু হয় কুচিপুডি নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে। অভিব্যক্তির সঙ্গে মুদ্রার সম্মিলিন অনবদ্য পরিবেশনায় মঞ্চ মাতান ভারতের শিল্পী দম্পতি গুরু রাজা ও রাধা রেড্ডি। পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী যুগলের পরিবেশনার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন তাদের পারঙ্গমতা। পরিবেশন করেন গণপতি বন্দনা, শিবাতা-ব, কৃষ্ণাকালিঙ্গা নর্তনাম ও নটবর তরণী তরঙ্গম। রাজা ও রাধা রেড্ডির সঙ্গে সহনৃত্যশিল্পী ছিলেন ভাবনা রেড্ডি, কৌশল্য ও ইয়ামিনি রেড্ডি। বাঁশিতে ছিলেন কিরণ কুমার, কর্ণাটকি কণ্ঠসঙ্গীতে লাবন্য সুন্দরম এবং মৃদঙ্গমে বান্না ভাস্কর রাও। পরিবেশনা শেষে শিল্পীদের হাতে উৎসব স্মারক তুলে দেন ইনাম আহমেদ চৌধুরী। কুচিপুডি নৃত্য পরিবেশনা শেষে বক্তব্য রাখেন সঙ্গীতবেত্তা আলিমুর রহমান খান। নাচ শেষে চতুর্থ রজনীতে ঝরে পড়ে বেহালার সুর। বেহালায় কর্নাটকী ঘরানার সুমধুর সুর তোলেন গণেশ ও কুমারেশ রাজাগোপালন। সন্তুরের বাদন শেষে বেজে ওঠে সরোদের স্নিগ্ধ সুর। পরিবেশন করেন সরোদিয়া প-িত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার। সবশেষে খেয়াল পরিবেশন করেন প-িত উলহাস কশলকর। গোয়ালিয়র, আগ্রা ও জয়পুর ঘরানার গায়কীর মিশ্রণে অনবদ্য কণ্ঠের খেলায় মুগ্ধ করেন গানপ্রেমীদের। এই শিল্পীর ছড়িয়ে দেয়া সুরের অনুরণনে শেষ হয় উৎসবের চতুর্থ নিশির অধিবেশন। আজ বাঁশি বাজাবেন চৌরাসিয়া ॥ বাঁশি আর চৌরাসিয়া শব্দটি যেন একসূত্রে গাঁথা। সামান্য বাঁশের বাঁশিকে সম্বল করে দর্শক-শ্রোতার হৃদয়ে ঝড় তুলতে পারেন এ বাঁশরিয়া। ভারতবর্ষসহ গোটা বিশ্বেই রয়েছে তার বহু অনুরাগী। আজ মঙ্গলবার উৎসবের অন্যতম সেরা আকর্ষণ প-িত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া। জাদুকরী বাঁশির সুরে শ্রোতার হৃদয়ে ছড়িয়ে দেবেন তিনি অনাবিল প্রশান্তি। তবে এর জন্য দর্শক-শ্রোতাকে অপেক্ষা করতে হবে গভীর রাত পর্যন্ত। আজ উৎসবের শেষ পরিবেশনাটি উপস্থাপন করবেন প্রবাদপ্রতিম এ শিল্পী। সমাপনী পরিবেশনা ॥ আজ মঙ্গলবার শেষ হবে এ বছরের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসব। পঞ্চম ও সমাপনী দিনের অধিবেশন শুরু হবে যথারীতি সন্ধ্যা ৭টায়। অনিমেষ বিজয় চৌধুরীর পরিচালনায় সিলেটের আট শিল্পী গাইবেন ধামার গান। এরপর ভরতনাট্যম পরিবেশন করবেন বিদূষী আলারমেল ভালি। ময়মনসিংহের গৌরীপুরের প্রবাদপ্রতিম সেতারিয়া ওস্তাদ বিলায়েত খাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র ইরশাদ খান পরিবেশন করবেন সুরবাহার। খেয়াল পরিবেশন করবেন সামিহান কশলকর। ওস্তাদ সুজাত খান পরিবেশন করবেন সেতার। খেয়াল পরিবেশন করবেন এ উৎসবে যোগ দেয়া খ্যাতিমান শিল্পী ওস্তাদ রশিদ খান। প-িত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশির সুরে শেষ হবে চতুর্থবারের উৎসব। সমাপনী আনুষ্ঠানিকতা ॥ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বিনিয়োগ বোর্ডের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ এ সামাদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পংকজ শরণ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। সভাপতিত্ব করবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ১৪ জানুয়ারি ॥ আগামী বছর ১৪ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ১৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে দেখানো হবে বাংলাদেশের রুবাইয়াত হোসেন নির্মিত চলচ্চিত্র ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’। উৎসব চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসব যোগ দেবেন আফগানিস্তানের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কর্মী ড. সাহ্রা কারিমি, তাজিকিস্তানের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ ড. শরাফত এম আরাবোভা, স্কটল্যান্ডের সেন্ট এন্ড্রিউস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বুলগেরিয়ার বংশোদ্ভূত দিনা ইয়োরদানোভা, ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত কানাডার চলচ্চিত্রকার ও শিক্ষক জোসফিন মাসারেল্লা, দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকি চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী ভবানি প্রকাশ প্রমুখ। ‘উন্নত ছবি, উন্নত দর্শক, উন্নত সমাজ’ সেøাগানে বরাবরের মতো এবারের উৎসবটিও আয়োজন করেছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি। এবার বিশ্বের ৬৩ দেশের ১৭০ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, আলবেনিয়া, আর্মেনিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, আজারবাইজান, অস্ট্রিয়া, বাহরাইন, বেলজিয়াম, ভুটান, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, কিউবা, সাইপ্রাস, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ফিলিস্তিন, জার্মানি, গ্রীস, গিনি-বিসাউ, হংকং, হাঙ্গেরি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইতালি, জাপান, কাজাখস্তান, কসোভো, কিরঘিজস্তান, লাটভিয়া, লেবানন, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মেক্সিয়া, নেপাল, নরওয়ে, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, কাতার, রাশিয়া, সেøাভেনিয়া, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিরিয়া, তাইওয়ান, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, আরব-আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভেনিজুয়েলা, পশ্চিম সাহারা ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। সোমবার ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন আহমেদ মুজতবা জামাল। এ সময় স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইন, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, জানিপপের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, চলচ্চিত্র নির্মাতা সামিয়া জামান, গোলেন্ড দৌলাসহ উৎসবের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকছে সেরা চলচ্চিত্রকারের পুরস্কার। রেট্রোসপেকটিভ বিভাগটি সাজানো হয়েছে বিখ্যাত নরওয়েজিয়ান নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা আনিয়া ব্রিয়েন নির্মিত চলচ্চিত্র দিয়ে। তার নির্মিত ৮ চলচ্চিত্র দেখানো হবে এই বিভাগে। সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড সেকশনে দেখানো হবে সমকালীন সেরা চলচ্চিত্রগুলো। চিল্ড্রেনস ফিল্ম সেকশন বিভাগে ৯ শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে। এই বিভাগ থেকে একটি চলচ্চিত্র দেয়া হবে ‘বেস্ট জুভেনাইল বাদল রহমান এ্যাওয়ার্ড’। বিভাগটি চলচ্চিত্রকার বাদল রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উৎসর্গ করা হবে। স্পিরিচুয়াল ফিল্মস বিভাগে দেখানো হবে ২০ ছবি। উইমেন ফিল্ম মেকারস্ সেকশনে ৩৬ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে। শর্ট এ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্মস সেকশনে ৪২ ও নর্ডিক ফিল্ম সেশনে দেখানো হবে নরওয়েজিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল ইন হাগুসান্ড এর সহযোগিতায় ১৪ চলচ্চিত্র। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, বাংলাদেশের (ইউল্যাব) সহযোগিতায় উৎসব ষষ্ঠ ঢাকা সিনে ওয়ার্কশপ’ অনুষ্ঠিত হবে। তুরস্ক বংশোদ্ভূত নরওয়েজিয়ান চলচ্চিত্রকার নেফিসে ওজকাল লরেন্টজিনের তত্ত্বাবধায়নে কর্মশালা শুরু হবে ১৬ জানুয়ারি। ৭ দিনের এই কর্মশালা চলবে ইউল্যাব বি ক্যাম্পাসে। ধানম-ির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ নিচতলায় আর্ট গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক উইম্যান ইন সিনেমা কনফারেন্স। উৎসব চলাকালীন মোনাকো ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এমার্জিং ট্যালেন্ট ফিল্মস্ এ্যাসোসিয়েশনের (আইইএফটিএ) উদ্যোগে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে ১৭ জানুয়ারি আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের নিচতলায় আর্ট গ্যালারিতে থাকবে আলোচনা অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী সম্মেলন পরিচালনা করবেন সামিয়া জামান।
×