ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাপানি নারীর মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০২:১৭, ২৬ নভেম্বর ২০১৫

জাপানি নারীর মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঢাকায় জাপানি নারী হিরোয়ি মিয়েতার ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুর ঘটনায় কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি করে বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। হিরোয়ি মিয়েতার মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় পুলিশের দায়ের করা হত্যামামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাজি শাহান এই আবেদন করেছিলেন। আদালত পুলিশের এসআই উজির আলী জানান, শুনানি শেষে বিচারক একজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেটের নেতৃত্বে ওই জাপানি নারীর লাশ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। ষাটোর্ধ্ব জাপানি নাগরিক হিরোয়ি মিয়েতা প্রায় ১০ বছর ধরে ‘অবৈধভাবে’ বাংলাদেশে বসবাস করছিলেন। তিনি এ দেশে বায়িং হাউজের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের তথ্য। গত ১৯ নভেম্বর জাপান দূতাবাসের এক কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানায় একটি জিডি করেন, যাতে মিয়েতা তিন সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর পুলিশ জানতে পারে, ২৯ অক্টোবর মিয়েতার মৃত্যুর পর তাকে গোপনে ঢাকার একটি কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তার মৃত্যু ও গোপনে সমাহিত করায় বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় তদন্ত শুরু করে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার চার দিনের হেফাজতে পায় পুলিশ। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কের ৮ নম্বর হোল্ডিংয়ে ‘সিটি হোমস’ নামের একটি হোটেলে একাই থাকতেন হিরোয়ি মিয়েতা। জাপানে তিনি মায়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে টেলিফোনে কথাও বলতেন। গত ২৬ অক্টোবর মায়ের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশের বরাত দিয়ে একটি সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, ২০০৬ সালে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে সিটি হোমসেই থাকছিলেন ওই জাপানি নারী। অনেক টাকার বিল বকেয়া পড়ায় আড়াই মাস আগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় তার থাকার ব্যবস্থা করে দেন বন্ধুরা। সেখানেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৯ অক্টোবর হিরোয়ি মিয়েতার মৃত্যু হয় বলে গ্রেপ্তাররা পুলিশের কাছে দাবি করেছে। ওই নারীর বাংলাদেশি বন্ধুরা পুলিশকে বলেছেন, অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকছিলেন বলে তাকে কোনো হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। তবে মৃত্যুর বিষয়টি জাপানে তার মাকে জানানো হয়।
×