ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হতাশা নিয়ে স্থায়ীভাবে ভারত গেলেন ৪৫০ জন বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দা

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ২৬ নভেম্বর ২০১৫

হতাশা নিয়ে স্থায়ীভাবে ভারত গেলেন ৪৫০ জন বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দা

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ অনিশ্চিত ভবিশ্যত নিয়ে চতুর্থ দফায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দুই ছিটমহলের ২১ পরিবারের আরও ১০৫ বাসিন্দা স্থায়ীভাবে ভারতযাত্রা করেছেন। শেষ দফায় ১০৮ জনের তালিকা থাকলেও জমি বেঁচতে না পারায় যেতে পারেননি এদের তিনজন। তারা মোট বাদ পরা ৩১ জনের সাথে ৩০ নভেম্বর লালমনির হাটের বুড়িমারি সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাবেন। নাগরিকত্ব বদল করে স্থায়ীভাবে ভারত যেতে বুধবার বিলুপ্ত দহলা খাগবাড়ি এবং দইখাতা ছিটমহলের ১০৫ বাসিন্দা মালামালসহ দেবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে জড়ো হন। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে বৃহষ্পতিবার সকালে তারা ভারতযাত্রা শুরু করেন। দুপুরের পর নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগবুড়ি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করবেন। প্রথম দিকে বেশ উৎসাহ থাকলেও ভিনদেশে গিয়ে তারা কিভাবে কি করবেন এনিয়ে হতাশাগ্রস্থ নতুন এই ভারতীয় নাগরিকরা। জানা গেছে, বরাবরের মত এবারও পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম তাদের বিদায় জানান। এসময় দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারী রমা কান্ত গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পঞ্চগড়ের তিন উপজেলার ৩৬ ছিটমহল থেকে ৪৮৭ জন স্থায়ীভাবে যাওয়ার কথা ছিল। গত ২২ নভেম্বর থেকে চার দফায় দুই নবজাতকসহ মোট ৪৫০জন বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দা নাগরিকত্ব বদল করে স্থায়ীভাবে ভারত চলে যান। বাকি ৩৯ জনের মধ্যে আগামি ৩০ নভেম্বর লালমনির হাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারি সীমান্ত দিয়ে ৩৪ জনের ভারতে যাওয়া কথা রয়েছে। বাকি ৫ জন তাদের মত পাল্টিয়ে আর যাবেন না বলে জেলা প্রশাসন সূত্র নিশ্চিত করেছেন। পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম জানান, দুই নবজাতকসহ ৪৮৯ জনের ভারত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে ৩৪ জন সময় মত যেতে পারেননি। এরা ৩০ নভেম্বর যাবেন। নীলফামারির ডাংগাপাড়া সীমান্তে ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে তারা ভারতে প্রবেশ করবেন। ভারতের কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আইশা রানী তাদের স্বাগত জানাবেন।
×