ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশ এ্যাকশন প্লানের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২৫ নভেম্বর ২০১৫

জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশ এ্যাকশন প্লানের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশ এ্যাকশন প্লানের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত টিকফা বৈঠকে এ সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এবারের টিকফা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে জিএসপি পুনর্বহালে সর্বোচ্চ জোর দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নে বেসরকারী খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশের কয়েকটি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিকফা বৈঠকে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন টেলিফোনে জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশ এ্যাকশন প্লানের অগ্রগতিতে যুক্তরাষ্ট্র সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি এবং শ্রম অধিকার রক্ষায় আরও কাজ করার পরামর্শও দিয়েছে দেশটি। তিনি বলেন, জিএসপি পুনর্বহাল হচ্ছে কী না সেটা বলার সময় হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জিএসপি পুনর্বহালের জন্য বলা হলে তারা বিষয়টি দেখছে বলে জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট তারা। বাণিজ্য সচিব বলেন, দেশটির বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকেও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হবে। জানা গেছে, টিকফা ফোরামের (ট্রেড এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট) দ্বিতীয় বৈঠকে জিএসপি পুনর্বহালের বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বাণিজ্য বৃদ্ধি বিনিয়োগ সম্প্রসারণে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কয়েকটি বিষয়ে তাগিদ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কাছে শ্রমমান উন্নয়নে যে ১৬ দফার শর্ত দেয়া হয়েছে, সেসব শর্ত পালনেও সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি মাইকেল ডিলানি জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করাই হচ্ছে টিকফার প্রধান কাজ। তাই দ্বিতীয় বৈঠকে এবার অনেক নতুন সম্ভাবনাময় দিক যেমন, ওষুধ শিল্প থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আলোচনা হবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রফতানির বাধা দূরীকরণ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে এই চুক্তিটি গত ২০১৩ সালে করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবছর অন্তত একবার কিংবা প্রয়োজনে যে কোন সময়ে টিকফার বৈঠক আহ্বান করতে পারবে যে কোন দেশ।
×