ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আমনুরা জংশন, রেস্ট হাউস ও কোয়ার্টার ধ্বংসের পথে

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

আমনুরা জংশন, রেস্ট হাউস ও কোয়ার্টার ধ্বংসের পথে

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ আড়াই শত বছরের পুরনো রেলজংশন আমনুরা। ঐতিহ্য হারিয়ে এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। ব্রিটিশের তৈরি রেলজংশনটি এক সময়ে ভারতের সঙ্গে সংযোগ সাধন করেছিল বৃহত্তর রাজশাহীকে। নির্মাণের পর থেকেই কোন ধরনের উন্নয়ন করা হয়নি। ফলে বেড়েছে যাত্রী দুর্ভোগ। অথচও বর্তমানে এই জংশন অতিক্রম করে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের মালামাল আন্তদেশীয় চুক্তি হিসেবে রহনপুর রেলবন্দর হয়ে ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ভুটানকে সংযোগ সাধন করেছে। এমনকি ভারতীয় পণ্য বিশেষ করে বিহারের পাকুড় থেকে উত্তোলন করা উন্নতমানের পাথর আমনুরা জংশনের মাধ্যমে যাচ্ছে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুতে। এক কথায় আমনুরা ত্রিদেশীয় করিডরমুখী একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলজংশন। স্টেশনে নেই কোন পাবলিক টয়লেট। প্রথম শ্রেণীর যাত্রী বিশ্রামাগার দখল করে আছে স্টেশনের কিছু স্টাফ। পাশাপাশি অন্য শ্রেণীর বিশ্রামাগারে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তারপরেও যাত্রী বিশ্রামাগার সংস্কারের নামে ভুয়া বিল করে প্রতিবছর বড় অঙ্কের টাকা উঠিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। জংশনের ঐতিহ্যবাহী ক্যান্টিনটিও উঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের ১৩০ একর জমির ওপর আমনুরা জংশনের অবস্থান। স্টেশন এলাকার যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। ইচ্ছেমতো রেলের জমি দখল করে ঘর তুলেছে অনেকে। বানিয়েছে দোকানপাট। এসব দোকানের ভাড়া উঠিয়ে পকেটে পুরছে একটি বেসরকারী ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট। আবাসিক রেল কলোনির ৫০টি স্টাফ কোয়ার্টারের বেশির ভাগই হয়ে পড়েছে বসবাস অযোগ্য। কয়েকটিতে হাতে গোনা কয়েকজন কর্মচারী বাস করলেও বাকিগুলো (৪০টি) দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। একটি বিশাল ফলমূলের বাগানসহ রেস্ট হাউস রয়েছে জংশনে। এটিও পরিত্যক্ত ঘোষণা না করলেও কেউ থাকে না। তবে প্রতিবছর সংস্কার দেখিয়ে বিল করা হয়। এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ যে সব রেলভবন বেসরকারী ব্যক্তিরা দখলে রেখেছে তাদের কাছ থেকে মাসিক ভাড়া আদায় করছে রেলওয়ের একটি শক্তিশালী চক্র। স্টেশনের কয়েকটি স্থানে রয়েছে বড় ধরনের মাদক কর্ণার। এগুলো থেকেও চাঁদা ওঠাচ্ছে এক শ্রেণীর রেলকর্মচারী। জংশন স্টেশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন প্রয়োজনীয় বাস্তবমুখী সংস্কার করা না গেলে রেলের হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তবে প্রতিবছরই বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ হলেও সংস্কার দেখিয়ে ভুয়া বিলের মাধ্যমে আত্মসাত করা হচ্ছে বলে দৃশ্যত কোন উন্নয়ন কারও নজরে আসছে না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন কাল স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বুধবার। ইতোমধ্যে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। সমাবর্তনে আড়াই হাজার গ্রাজুয়েট সনদপত্র ও ১৪ জন গোল্ড মেডেল পাচ্ছেন। সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানসূচী অনুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। এছাড়া অনুষ্ঠানপূর্বে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করবেন এবং সমাবর্তন অনুষ্ঠান সমাপ্তিলগ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমের ২৫ বছর পূর্তিতে রজতজয়ন্তীর বছরব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
×