ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফলো-অনের শঙ্কায় কিউইরা

প্রকাশিত: ০৬:২০, ৭ নভেম্বর ২০১৫

ফলো-অনের শঙ্কায় কিউইরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অসিরা কেন ‘চির অদম্য’ তারই প্রদর্শনী হতে চলছে। একঝাঁক নবীন ক্রিকেটার নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবার নিশ্চিত ফেবারিট হিসেবে নামে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। কিন্তু মাঠের লড়াই দু-দিন না গড়াতেই বদলে গেছে সমীকরণ। ব্রিসবেন টেস্টে ফলো-অনের শঙ্কায় পড়েছে কিউইরা! অস্ট্রেলিয়ার রান-পহাড়ে চাপা পড়ে ধুঁকছে অতিথিরা। স্বাগতিকদের ৫৫৬/৪ (ডিক্লেঃ)Ñ এর জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৫৭ রান তুলতেই শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের দল। ফলো-অন এড়াতে ১৯৯ রান চাই তাদের। সব মিলিয়ে ৩৯৯ রানে পিছিয়ে নিউজিল্যান্ড। ভরাডুবির মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৫৫ রানে অপরাজিত প্রতিভাবান কেন উইলিয়ামসন। ব্যক্তিগত ১৪ রানে সঙ্গী উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান বিজে ওয়াটলিং। ২ উইকেটে ৩৮৯ রান নিয়ে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। এদিন ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪২.২ ওভারে আরও ১৬৭ রান যোগ করে স্টিভেন স্মিথের দল। যেখানে বড় অবদান দীর্ঘ দুই বছর ফেরা উসমান খাজার। চমৎকার ব্যাটিং করেছেন পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত প্রথম মুসলিম অসি-ব্যাটসম্যান। অবশ্য সঙ্গী ওয়ার্নারকে নিয়ে প্রথম দিনেই বড় সংগ্রহের ইঙ্গিতটা দিয়ে রেখেছিলেন। ওয়ার্নার (১৬৩)-খাজার (১৭৪) জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে চার শ’র দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিন চা বিরতির বেশ কিছুক্ষণ আগে ইনিংস ঘোষণা করে অসিরা। খাজা ১০২ ও অধিনায়ক স্মিথ ৪১ রান নিয়ে কাল দিনের খেলা শুরু করেন। স্মিথ ৪৮-এ ফিরে গেলেও, ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংসটাকে ১৭৪ রানে নিয়ে থামেন খাজা। ৩১৩ মিনিট স্থায়ী ২২৪ বলের ইনিংসটি ১৯ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো। বড় সংগ্রহে পাঁচ নম্বরে নামা এ্যাডাম ভোগসও দারুণ অবদান রাখেন। ১১ চারের সাহায্যে ১২৭ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত তিনি। দলীয় ঠিক ৫৫৬ রানে খাজা আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইনিংস ঘোষণা করেন স্মিথ, ফলে ভোগসকে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির অপূর্ণতা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। কিউইদের হয়ে পেসার টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, জিমি নিশাম এবং স্পিনার উইলিয়ামসন নেন ১টি করে উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বড় স্কোরটাকে মাথায় রেখে নিউজিল্যান্ডের শুরুটাও ভাল হয়েছিল। যদিও অসিদের মতো আকাশছোঁয়া সূচনা করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া যেখানে ওপেনিংয়ে পায় ১৬১, সেখানে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারের অবদান ৫৬। ২৩ রান করা মার্টিন গাপটিলকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার জস হ্যাজেলউড। টম লাথামের সঙ্গে যোগ দেন উইলিয়ামসন। এই জুটিও স্বাগতিক বোলারদের ওপর আধিপত্য দেখিয়ে শুরু করেন। কিন্তু ৪৬-এর বেশি যোগ হয়নি। অল্পের জন্য লাথাম (৪৭) না পারলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দিন শেষে ৫৫ রানে অপরাজিত উইলিয়ামসন। ৪২তম টেস্টে কেনের ১৬ নম্বর হাফ সেঞ্চুরিও তাই কিউইদের স্বস্তি এনে দিতে পারেনি। কারণ তার আগেই নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ের মেরুদ- ভেঙ্গে দেন তুখোড় দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও মিচেল জনসন। নেন ২টি করে উইকেট। যেখানে ম্যাককুলাম (৬) এবং রস টেইলরকে (০) ফিরিয়ে নেতৃত্ব দেন জনসন। স্কোর ॥ অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ৫৫৬/৪ ডিক্লেঃ (১৩০.২ ওভার; খাজা ১৭৪, ওয়ার্নার ১৬৩, ভোগস ৮৩, বার্নস ৭১; সাউদি ১/৭০, নিশাম ১/৫০) নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ১৫৭/৫ (৪৫ ওভার; উইলিয়ামসন ৫৫*, নাথাম ৪৭, গাপটিল ২৩, ওয়াটলিং ১৪*; জনসন ২/৫২, স্টার্ক ২/৩০) ** দ্বিতীয় দিন শেষে
×