ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোনো ষড়যন্ত্রে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ৬ নভেম্বর ২০১৫

কোনো ষড়যন্ত্রে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে না: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো ষড়যন্ত্র বা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। নেদারল্যান্ডসে তিন দিনের সরকারি সফরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার দ্য হেগের কুরহাউস হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, তার সরকারের নির্দেশনা, জনগণের অদম্য স্পৃহা এবং প্রবাসীদের অব্যাহত সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং ২০২১ সালের আগেই একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এখন আর কেউ উপেক্ষা করতে পারছে না। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের পথ থেকে কোনো ষড়যন্ত্রই দেশকে বিচ্যুত করতে পারবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই ‘সামরিক স্বৈরশাসক ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি’ নানা ষড়যন্ত্র করে চলেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, এরপরও এ দেশের মানুষ যখনই সুযোগ পেয়েছে, মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। সকল ষড়যন্ত্র কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকার কথাও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, চলতি বছর প্রবাসীরা প্রায় ২৭.২ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। তারা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাফল্যে অবদান রেখে চলেছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রবাসীরাই যে সে সময় স্যার টমাস উইলিয়ামকে পাঠিয়েছিলেন, সে কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রবাসীরা মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর সুইডেন ও যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রবাসীরা আবারও টমাস উইলিয়ামকে পাঠানোর উদ্যোগ নিলেও জেনারেল জিয়াউর রহমান সে সময় তাকে বাংলাদেশে আসতে দেননি বলে শেখ হাসিনা জানান। তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর তখনকার সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারও তাকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে দিতে চায়নি। তখনও প্রবাসী বাংলাদেশিরা তার সমর্থনে এগিয়ে এসেছিলেন। দ্য হেগের এই অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসকে বাংলাদেশের ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ’ অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনে নেদারল্যান্ডস সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এই সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যেই নেদারল্যান্ডসে তার প্রথম এই সরকারি সফর।” অন্যদের মধ্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি অনীল দাশগুপ্ত, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ এবং নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহিদ ফারুক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
×