ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তিন বছর ধরে লভ্যাংশ দিচ্ছে না বিডি অটোকার্স

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ৬ নভেম্বর ২০১৫

তিন বছর ধরে লভ্যাংশ দিচ্ছে না বিডি অটোকার্স

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত তিন বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের কোন ধরনের লভ্যাংশ দিচ্ছে না পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিডি অটোকার্স লিমিটেড। বুধবার এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভার এ গত দুই বছরের মতো ৩০ জুন ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরে জন্যও কোন ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে মুনাফা হলেও পুঞ্জীভূত লোকসান দেখিয়ে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত করছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৩৫ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিস) হয়েছে ৬.০৮ টাকা। এ সময় কোম্পানির কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪.৫২ টাকা। এই ঘোষিত নো ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য এ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় তেজগাঁও কোম্পানির রেজিস্টার অফিসে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ নবেম্বর। গত দুই বছরের মতো এবারও কোন লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা না দিতে পারায় বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। দিনটিতে কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ দশমিক ৯০ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির প্রতি শেয়ারের দর কমেছে ১২ দশমিক ০৪ শতাংশ। কোম্পানিটির প্রতি শেয়ারের সমাপনী বা সমন্বয় মূল্য ছিল ২৮ দশমিক ৫০ টাকা। বুধবার কোম্পানিটির প্রতি শেয়ারের সমন্বয় মূল্য ছিল ৩২ দশমিক ৪০ টাকা। বুধবার কোম্পানিটির ১৪৮ হাওলায় মোট ৪৪ হাজার ১০৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০৩ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছিল। এরপর ৬ বছর ধরে অর্থাৎ ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছিল। এরপর ২০১০ ও ১১ সালে ৫ শতাংশ করে বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। সর্বশেষ কোম্পানিটি ২০১২ সালে ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করেছিল। এরপর আর কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারেনি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। ২০১৩ সাল থেকে নো ডিভিডেন্ড ঘোষণার করে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে যায়। এখনও কোম্পানিটির ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থেকে গেছে। প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির পর থেকে কোন সময়ই এ ক্যাটাগরিতে আসতে পারেনি। কোম্পানিটির মোট পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪৬ দশমিক ৮৭ ভাগ শেয়ার উদ্যোক্তা বা পরিচালক, ২ দশমিক ০৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৫১ দশমিক ০৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
×