ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাড়ে চার হাজার পয়েন্টে পুঁজিবাজারের সূচক

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ৬ নভেম্বর ২০১৫

সাড়ে চার হাজার পয়েন্টে পুঁজিবাজারের সূচক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও দুই বাজারেই লেনদেন হয়েছে পতন। এদিন দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। তবে সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। আগের দিনের তুলনায় প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ৯ পয়েন্ট কমে যাওয়ার প্রায় সাড়ে চার হাজার পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগে গত ২৮ জুন ডিএসইর সার্বিক সূচক ৪ হাজার ৫০২ পয়েন্টে ছিল। এরপর ধীরে ধীরে বাজারে গতি ফিরতে শুরু করলে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ডিএসই সূচক এ সময়ের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ৪ হাজার ৮০০ পয়েন্টের কাছাকাছি লেনদেন হলেও অক্টোবর মাসের শুরু থেকেই টানা পতন চলতে থাকে। অক্টোবর মাসের প্রথম দিনের লেনদেন শেষে সার্বিক সূচকের অবস্থান ছিল ৪ হাজার ৮৫৬ পয়েন্টে। অক্টোবর মাস শেষেই ডিএসই সূচক নেমে এসেছে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ পয়েন্টে। এ সময়ে ডিএসই সূচক কমেছে প্রায় ৩৫৫ পয়েন্ট। ধারাবাহিক দরপতনের প্রতিবাদে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ডিএসই ভবনের সামনে কয়েক দফা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, একের পর এক দরপতনে বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে পড়লেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে শেযারবাজারে ব্যাংকগুলোর এক্সপোজার লিমিট কমিয়ে আনায় এবং উচ্চ প্রিমিয়ামে দুর্বল কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে দরবৃদ্ধির প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৩৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ৪৫ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ২৯০ কোটি টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৮ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৬, কমেছে ১৭৫ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির শেয়ার দর। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ্ সূচক দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৮৪ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭১১ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলোÑ ইফাদ অটোস, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন, এ্যাপোলো ইস্পাত, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, কেডিএস এক্সেসরিজ, সাইফ পাওয়ারটেক, বিএসআরএম স্টিলস এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি। ঢাকার বাজারের মতো বৃহস্পতিবারে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব ধরনের সূচকই কমেছে। দিনভর সূচকের ওঠানামার মধ্যে সিএসইতে ২২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৫১ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩, কমেছে ১৩৮ এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলোÑ ইফাদ অটোস, কেডিএস এক্সেসরিজ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বিএসআরএম লিমিটেড, এ্যাপোলো ইস্পাত, সাইফ পাওয়ার টেক, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনাইটেড এয়ার, স্কয়ার ফার্মা ও বঙ্গজ।
×