ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বসাহিত্যের টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৬ নভেম্বর ২০১৫

বিশ্বসাহিত্যের টুকরো খবর

জিম ক্রেসের ইমপ্যাক ডাবলিন পুরস্কার জয় ১৪১ প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ইংরেজ ঔপন্যাসিক জিম ক্রেসের উপন্যাস ‘হারভেস্ট’ জিতে নিয়েছে ‘ইন্টারনেশনাল ইমপ্যাক ডাবলিন লিটারেরি অ্যাওয়ার্ড-২০১৫’। এ পুরস্কারের মূল্যমান ৭১ হাজার পাউন্ড। ৩৯টি দেশের ১১৪টি শহরের পাবলিক লাইব্রেরির পাঠানো ১৪২টি নামের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় ১০টি বই নিয়ে। বিচারকদের মতে, ‘হারভেস্ট’ পড়ার সময় মনে হয় দীর্ঘ গদ্য-কবিতা পড়ছি; কানের কাছে শব্দের নদীর বহমান কলধ্বনি শোনা যায়। কিন্তু তার পরেই মনে হয় জিম ক্রেস শব্দের কারিগর। জিম ক্রেসের মানবপ্রকৃতি বোঝার ধরনটা বেশ রহস্যজনক। উপন্যাসের জমিন বুননের সময় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি সুচ তোলেন না। পল্লী গ্রামের শেষবেলা এবং গ্রামীণ জীবনের মৃত্যুর কথা দিয়ে সাজানো হয়েছে এটি। ক্রেসের জন্ম হার্টফোর্ডশায়ারে এবং বেড়ে উঠেছেন উত্তর লন্ডনে। এ যাবত তিনি ১০টি উপন্যাস লিখেছেন। তাঁর উপন্যাস ‘কুয়ার‌্যাস্টাইন’ ১৯৯৯ সালে সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছিল। এ বছর পুরস্কারটি ঘোষণা করা হয় ডাবলিনের ম্যানসন হাউসে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় আরো নাম ছিল চিমামন্দা নগোজি আদিচি এবং কলাম ম্যাককানের। চলে গেলেন মার্কিন কথাসাহিত্যিক জেমস সল্টার জনপ্রিয় মার্কিন কথাসাহিত্যিক জেমস সল্টার আর নেই। ৯০ বছর বয়সী এই সদ্য প্রয়াত লেখকের প্রকৃত নাম জেমস আর্নল্ড হোরোইচ। তবে জেমস সল্টার নামেই তিনি বিশ্ব পরিচিত। তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন আমেরিকার বিমানবাহিনীর পাইলট হিসেবে। এছাড়া জার্মানি এবং ফ্রান্সে কর্মরত ছিলেন কিছুদিন। এরপর ১৯৫৭ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে মনোনিবেশ করেন লেখালেখিতে। বিমানবাহিনীর অভিজ্ঞতার কথা সুস্পষ্টরূপে দেখা যায় তাঁর উপন্যাসে। ভাগ্যবানের জোরালো চিত্র দেখা যায় তাঁর প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে। প্রথম উপন্যাস ‘দ্য হান্টার’ পাঠকদের কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছিল। হলিউডের সিনেমার জন্য সল্টার কিছুদিন চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন। ২০১৪ সালের শরতে তিনি ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাপনিক রাইটার ইন রেসিডেন্স হন। জেমস সল্টারের লেখার প্রশংসা করতে গিয়ে তাঁর বন্ধু পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী রিচার্ড ফোর্ড বলেন, ‘আমেরিকার ইংরেজী সল্টারের মতো এত সুন্দর মনে হয় আর কেউ লেখেন না।’ ওয়াশিংটন পোস্টের মাইকেল দার্দা বলেন, ‘জেমস সল্টার একটি বাক্যেই কারো হৃদয় ভেঙে দিতে পারেন।’ নিউজিল্যান্ড বুক এ্যাওয়ার্ড ফর চিলড্রেন ২০১৫ ২০১৫ সালের নিউজিল্যান্ড বুক এ্যাওয়ার্ড ফর চিলড্রেন এ্যান্ড ইয়ং অ্যাডাল্ট ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে এ পুরস্কারটি মোট চারটি ক্যাটাগরিসহ আরও দুটি বিশেষ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে। সে দুটি হলো বুক অব দ্য ইয়ার এবং চিলড্রেনস চয়েস। পূর্বে কোন বই প্রকাশ করেননি- এমন লেখক কিংবা প্রচ্ছদশিল্পীকে বিচারকরা পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে পারেন। ২০১৫ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁরা ও তাঁদের লেখা বইয়ের নাম হলো- ‘সিংগিং হোম দ্য হোয়েল’ গ্রন্থের জন্য বুক অব দ্য ইয়ার এ্যান্ড ইয়ং এ্যাডাল্ট বুক এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ম্যান্ডি হেগার। পিকচার বুক এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে গ্ল্যান হার্পার রচিত এবং জেনি কোপার অলঙ্কিত ‘জিমস লেটারস’। জুনিয়র ফিকশন এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে ডোনোভান বিক্সলেকে তাঁর ‘মাঙ্কি বয়’-এর জন্য। ‘মটিটি ব্লু এ্যান্ড দি অয়েল স্পিল’ বইয়ের জন্য নন-ফিকশন এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ডেবি ম্যাককলি। বেস্ট ফার্স্ট বুক পুরস্কার পেয়েছেন জুলি নোয়ানোয়া এবং নর্মান হেকে। আর মাওরি ল্যাঙ্গুয়েজ এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে সাচা কোতার এবং জশ মর্গানকে। অঞ্জন আচার্য
×