ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় ২৬৪ মা নিরক্ষরমুক্ত

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৪ নভেম্বর ২০১৫

কলাপাড়ায় ২৬৪ মা নিরক্ষরমুক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৩ নবেম্বর ॥ বয়োবৃদ্ধা এ মায়ের নাম ফাতেমা বেগম। নিজের বয়স বলতে পারেন না। সাগরপাড়ের চরধুলাসার গ্রামে বাড়ি। ৭০ বছর বয়সী এ মানুষটির রয়েছে স্বামী-সন্তান, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য প্রিয়জন। কিশোরী বয়সে এ জনপদে লেখাপড়া তো দূরের কথা, ছিল না কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছিলেন সাক্ষরজ্ঞানহীন। জীবনের পড়ন্ত বেলায় ফাতেমা বেগম দীর্ঘ আট মাস স্কুলে গেছেন। পড়েছেন বই। নিরক্ষর থাকার অভিশাপ থেকে নিজেকে করেছেন মুক্ত। নিজের নামসহ সবকিছু এখন পড়তে ও লিখতে পারেন। এজন্য সপ্তাহে ছয়দিন, বিকেল তিনটা থেকে দুই ঘণ্টা লেখাপড়া করতে হয়েছে। লেখাপড়ার জন্য বয়স কোন বাধা নয় এমন দৃঢ়তা নিয়েই এ মানুষটি নিজেকে করেছেন নিরক্ষরমুক্ত। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এফএইচ এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে পরিচালিত বয়স্ক শিক্ষা (সাক্ষর মা) কার্যক্রমের পরিচালিত এমন ছয়টি স্কুলে অসংখ্য মায়েরা শিখেছেন সাক্ষরজ্ঞান। একই গ্রামের ৪০ বছর বয়সী রেণু বেগম জানালেন, এখন তিনি নিজের নাম লিখতে ও পড়তে জানেন। পারেন যোগ-বিয়োগসহ অনেক কিছু। সন্তান-সন্তুতি, জামাই থাকার পরও রেণু বেগম ছিলেন স্কুলমুখী। এভাবে চরধুলাসারসহ সেখানকার চারটি গ্রামের সুখী বেগম, তাজনাহার, পারুল, কোহিনুর, তহমিনা, রাহিমা, রাজিয়া, সোনিয়া, তহমিনা, ফাতেমা, রাহনিয়া, রানী, হনুফা বেগম, নাসিমাসহ একশ’ ৩৪ মা শিখেছেন লেখাপড়া। সংস্থার কলাপাড়াস্থ সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র দাস জানান, তারা নীলগঞ্জ ও ধুলাসার ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের ২৬৮ নিরক্ষর মায়েদের নিয়ে এ কর্মসূচী চালু করেন। এ বছরের পহেলা মার্চ থেকে দীর্ঘ আট মাস চলে এ প্রোগ্রাম। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে লেখাপড়ায় সফল ১৩৪ মায়ের সনদ বিতরণ করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে এফএইচের পরিচালক ও মিনিস্ট্রি পার্টনার মিঃ ডিক মোহার, নির্বাহী পরিচালক টিমোথি ডোনাল্ডাল ড্যাঞ্জ, এমিয়া রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর আন্দ্রিয়া ড্যাঞ্জ, ইউএসএর প্রকল্প পরিদর্শক এম জে, মিসেস লরেন, পরিচালক পলিসি ও রিসোর্স বিভাগ মিজানুর রহমান, লিটারেসি অর্গানাইজার মিন্টু আহমেদ জানান, নিরক্ষরমুক্ত করার এ কার্যক্রম আরও ব্যাপকভাবে চালু করতে তারা চিন্তাভাবনা করছেন। কক্সবাজারে ৬ বছরের শিশু ধর্ষিত স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ উখিয়া ইনানী এলাকা থেকে পার্বত্য লামা ফাঁসিয়াখালীর ইয়াংছা এলাকায় নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ছয় বছরের এক শিশু। সোমবার বিকেলে ইয়াংছার নানার বাড়ির পাশে পাহাড়ের ভেতর ঘটেছে এ লোমহর্ষক ঘটনা। গুরুতর আহত শিশুকে সন্ধ্যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় চকরিয়া উপজেলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফাঁসিয়াখালী ইউপির ইয়াংছার স্থানীয় মেম্বার শহিদুল ইসলাম। শিশুটির নানী মনোয়ারা বেগম জানান, কয়েকদিন আগে তার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বিকেলে বাড়ির উঠানে কয়েকজন শিশুর সঙ্গে খেলা করছিল নাতনি। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশী কয়েক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় আমার নাতনি ওই শিশুকে উদ্ধার করে বাড়িতে আনে। তিনি আরও জানান, উঠানে খেলা করার সময় বাড়ির পাশের আক্তার আহমদের পুত্র বখাটে তৌহিদুল ইসলাম (১৪) তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বাড়ির অদূরে পাহাড়ে জঙ্গলের ভেতর ধর্ষণ করে। প্রধান শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি থেকে জানান, সদর উপজেলার নাগপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন গ্রেফতার হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন এই শিক্ষককে আটক করে ঝালকাঠি থানায় খবর দেয় এবং থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
×