ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অটো মালিকদের বিরুদ্ধে বেশি জমা নেয়ার অভিযোগ চালকদের

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৩ নভেম্বর ২০১৫

অটো মালিকদের বিরুদ্ধে বেশি জমা নেয়ার অভিযোগ চালকদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অটোরিক্সার বাড়তি জমা রাখায় এবার মালিকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন খোদ চালকরাই। চালকদের অভিযোগ অনেক গাড়ির মালিক সরকার নির্ধারিত জমার হার মানছে না। দুই শিফটে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত জমা নিচ্ছেন মালিকরা। অথচ ২৪ ঘণ্টার জমা হিসেবে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ ৯০০ টাকা নির্ধারণ করে। এদিকে সোমবার অটোরিক্সার জমা বাবদ বাড়তি টাকা আদায় করায় নিজের মালিকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ করেছেন এক অটোরিক্সা চালক। চালকের নাম নূর হোসেন। সরকার নির্ধারিত টাকার বেশি রাখায় মোঃ হারুন (হারুন হুজুর) নামের ওই মালিক চালকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা করে আদায় করেন বলে অভিযোগ করেন নূর। রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের সামনে বাস ও সিএনজিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই চালক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আল-আমীন। সিএনজি চালক নূর হোসেন বলেন, আমরা মিটার অনুযায়ী যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিতে চাই। কিন্তু মালিকপক্ষ আমাদের কাছ থেকে অনেক বেশি ‘জমা’ আদায় করে। দৈনিক ৯০০ টাকা জমার কথা সরকার থেকে বলা হলেও মালিকরা আমাদের কাছ থেকে এখনও ১ হাজার ৪০০ টাকা করে আদায় করছে। আমরা আছি মহাবিপদে। মিটারে না চললে মোবাইল কোর্ট জরিমানা করে। আবার মালিক জমার টাকা বেশি নেয়। তাহলে আমার কামাই কী থাকে? তাই কোন উপায় না দেখে নিজের থেকে এখানে আসছি অভিযোগ দিতে। শুধু চালকদের জরিমানা না করে, মালিকদের বিরুদ্ধেও যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয় এটাই দাবি তার। ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বরত বিআরটিএ’র (আদালত-৫) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আল-আমীন বলেন, সিএনজি মালিকরা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে বলে একজন চালক অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগ গ্রহণ করেছি এবং এর সত্যতা যাচাই করা হবে। তার অভিযোগ আমরা বিআরটিএকে দেব, তারাই মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, সিএনজিটির (১৩-৪৫১১) কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সিএনজি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে সিএনজির মালিক মোঃ হারুনকে বিআরটিএ-তে এসে দেখা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ খোকন বলেন, মালিকদের যদি সরকারী নিয়মানুযায়ী ৯০০ টাকা জমা নিতে বাধ্য করতে পারে, তাহলে চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেবে না। আমি চালকদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, ৯০ শতাংশ চালক এই নিয়মে সন্তুষ্ট। তবে দু’একজন এতেও আপত্তি করেছে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ১৪টি মামলা এবং ৮ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে শিকড় পরিবহনের একাধিক বাসকে জরিমানা করা হয়। এছাড়া বাসের ছাদে চড়ার জন্য দু’জনের বিরুদ্ধে ১৩৭ ধারায় মামলা করেছেন আদালত। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে।
×