ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলে নারী পাচার মামলার আসামি ছেড়ে দিল পুলিশ

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৩ নভেম্বর ২০১৫

টাঙ্গাইলে নারী পাচার মামলার আসামি ছেড়ে দিল পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২ নবেম্বর ॥ প্রবাসীর স্ত্রীকে ভারতে পাচার মামলায় আটক প্রধান আসামিকে বাদীর উপস্থিতিতেই ছেড়ে দিলেন পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার হাদিরা গ্রামের মৃত ছান্নাউল্লাহ ফকিরের পুত্র কুয়েত প্রবাসী মফিজ ফকিরের স্ত্রী খাদিজা বেগমকে ঢাকার গার্মেন্টস কারখানায় চাকরির কথা বলে গত ৩ অক্টোবর বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায় অপহরণ চক্র। গত ৫ অক্টোবর খাদিজার বাবা বিলডগা গ্রামের ইউসুফ আলী গোপালপুর থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত ১৫ অক্টোবর গৃহবধূ খাদিজা তার ছোট ভাই গোলাপ হোসেনের কাছে মোবাইলে জানায়, আমাকে হাদিরা গ্রামের মোজাফর হোসেনের ছেলে হামিদ এবং জামাল হোসেনের ছেলে সুমন অপহরণ করে ভারতে পাচারের জন্য দিনাজপুর সীমান্ত এলাকার এক বাড়িতে আটকে রেখেছে। আমি পাচারকারীদের মোবাইল দিয়ে কৌশলে তোকে ফোন করেছি। তুই পুলিশের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে আমাকে মুক্ত করার ব্যবস্থা কর। কথা শেষ না হতেই তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় অপহরণকারীরা। খাদিজার বাবা ইউসুফ আলী ২৩ অক্টোবর হামিদ ও সুমনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় নারী পাচার মামলা দায়ের করেন। বাদীর অভিযোগ, মামলা দায়ের করার পর থেকেই তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন ভিকটিম গৃহবধূ খাদিজাকে উদ্ধার এবং আসামি গ্রেফতারে টালবাহানা শুরু করে। যানবাহন খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দাবি করে। দরিদ্র ইউসুফ আলী টাকা পরিশোধের পর রবিবার রাত ১০টার সময় তদন্তকারী দারোগা তোফাজ্জল হোসেন বাদী ও তার ছেলে গোলাপ হোসেনসহ তিন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে আসামি ধরতে অভিযান চালায়। আসামি হামিদকে বাড়িতে পেয়ে দারোগা তোফাজ্জল আটক করে। হাতকড়া না পরিয়ে দারোগা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে কৌশলে হামিদ পালিয়ে যায়। মামলার বাদী গোলাপের অভিযোগ, দৌড়ে হামিদকে পাকড়াও করে সে ডাকাডাকি করলেও দারোগা এগিয়ে যায়নি। এক ফাঁকে পরনের লুঙ্গি রেখেই অপহরণকারী হামিদ পালিয়ে যায়। পরে ওই লুঙ্গি দারোগার হাতে তুলে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, ভাইরে নারী পাচারকারী মামলার প্রধান আসামি হামিদকে আটক করেছিলাম। কিন্তু নামের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বদমাশটা পালিয়ে গেছে। দশ হাজার টাকা ঘুষ নেইনি। গাড়ির তেল খরচ বাবদ সামান্য কটি টাকা নিয়েছি।
×