ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফেনীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান দীপন হত্যা প্রসঙ্গে কথা বলেন

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ২ নভেম্বর ২০১৫

ফেনীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান দীপন হত্যা প্রসঙ্গে  কথা বলেন

নিজস্ব সংবাদাতা, ফেনী॥ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন অপরাধী ধরার নামে নিরিহ মানুষকে যেন হয়রানী করা না হয়, অতিতের মত যেন জজ কাহিনী বানানো না হয় তার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীকে সর্তক থাকতে হবে। অতীতে ব্লগার , মুক্ত চিন্তার মানুষ হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হলে বতর্মানে এ ঘটনাগুলি ঘটতো না। বতর্মানে একের পর একটি ঘটনা ঘটায় অপরাধীদের সনাক্ত না করায় মানুষের মনে সন্দেহ যে প্রশাষনের মধ্যে দুষ্টচক্র আছে কিনা যার কারনে অপরাধীদের ধরা হচ্ছেনা। সরকারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন ধারনা ও সন্দেহ সাধারন মানুষের মনে। আমারা চাই সাধারন মানুষের মনের এ সন্দেহ দুর হয়ে যাক। ফেনীর ঘটনা প্রসঙ্গে ড. মিজানুর রহমান বলেন- বিপন্ন এক মহিলার পেটে লাথি মারায় সে মৃত সন্তান জন্ম দিয়েছে তাকে দেখতে এসছি।তার চিকিৎসার কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, অপরাধীদের ধরার জন্য কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তোর খোজ খবর নিয়েছি। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম,বর্ণ নির্ভিশেষে তাদের আচার অনষ্ঠান পালন করার অধিকার সুরক্ষিত করা আছে। ফেনীতে যা ঘটেছে তার জন্য রাজনৈতিক মদদ নেই, একটি দুষ্টচক্র এ কাজ করেছে, যাদের সাথে সরকারী দলের লোকজনের সম্পর্ক রয়েছে বলে গনমাধ্যম সুত্রে জানতে পেরেছেন্। অপরাধীদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় হতে পারে না। অপরাধী যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে যদি আইন শৃংখলা বাহিনী ব্যর্থতার পরিচয় দেয় তবে তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশন ব্যবস্থা গ্রহন করবে , প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের সরণাপন্ন হতে বাধ্য হবে। উল্লেখ্য গত বুধবার রাতে ফেনী সদর থানার পাছগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামের জেলেপাড়ায় সন্ত্রাসীদের হামলার সময় তুলসী রানী দাস নামের এক অন্ত:সত্বা গৃহবধূর ৬ মাসের সন্তান গর্ভপাত হয়্। ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ তুলসী রানীদাসকে দেখতে রবিবার ফেনী আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
×