ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় ক্রিকেট লীগে চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২ নভেম্বর ২০১৫

জাতীয় ক্রিকেট লীগে চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যেমনটি ভাবা হয়েছিল, তেমনটিই হলো। ওয়ালটন ১৭তম জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) শেষ না হতেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল বরিশাল বিভাগ। এনসিএল শেষ হওয়ার দুই দিন বাকি থাকতেই দ্বিতীয় স্তর থেকে বরিশালের শিরোপা জেতা নিশ্চিত হয়ে গেল। শিরোপার গন্ধ পাচ্ছে খুলনা বিভাগও। ফরহাদ হোসেন ও হামিদুল ইসলামের শতকে রাজশাহী দুর্দান্ত খেললেও হতাশই হতে হচ্ছে দলটিকে। প্রথম স্তর ॥ লীগের শেষ রাউন্ডের প্রথমদিনের মতোই কক্সবাজারে ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচটি শুরু হতে পারেনি। আবহাওয়া এতটাই খারাপ যে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। তবে চট্টগ্রামে খুলনা-রংপুরের মধ্যকার ম্যাচটি কিছুটা হয়েছে। মাত্র ৭ ওভার খেলা হয়েছে। তাতে রংপুর আগে ব্যাট করে ১ উইকেটে ২৭ রান নিতেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। সারাদিন যাওয়ার পর খেলা শুরু হয় বিকেল ৪টায়। সাড়ে ৪টা বাজতেই আলো স্বল্পতায় খেলা বন্ধ করে দিতে হয়। যদি প্রথম স্তরের খেলা বাকি থাকা দুইদিনে না হয় তাহলে চ্যাম্পিয়ন হবে খুলনাই। দলটির পয়েন্ট যে সবচেয়ে বেশি। আর পয়েন্ট সবচেয়ে কম থাকায় প্রথম স্তর থেকে যে একটি দল দ্বিতীয় স্তরে নেমে যাবে, সেই দলটি হবে রংপুর। দ্বিতীয় স্তর ॥ বরিশাল ও রাজশাহীর মধ্যেই মূলত এ স্তরের শিরোপা জয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছিল। দুই দলই ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লড়াই করে। দুই দলই ভাল খেলে। কিন্তু লীগ শেষ হওয়ার দুইদিন বাকি থাকতেই বাজিমাত করে বরিশাল। চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। শিরোপা জেতায় আগামী মৌসুমে দলটি প্রথম স্তরে খেলবে। দ্বিতীয় স্তর থেকে পয়েন্ট তালিকার সেরা অবস্থানে থাকা দলটি প্রথম স্তরে উন্নীত হবে। সেই দলটি বরিশালই হচ্ছে। বরিশালের শিরোপা নিশ্চিত করতে ২৭ রান লাগত। ৩৫০ রান বা তার বেশি করলে ৩ পয়েন্ট মিলে। আর এ পয়েন্ট পেলেই বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত করবে। আগেরদিন চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৩২৩ রান করেছিল দলটি। দ্বিতীয় দিন শুধু ২৭ রানই নয়, প্রথম ইনিংসে মোট ৪৮৯ রান করে। আগেরদিনই শতক করার শাহরিয়ার নাফিস শেষপর্যন্ত থামেন ১৬৮ রানে। আর ফজলে মাহমুদ রাব্বি শেষ পর্যন্ত ১৩৩ রান করেন। এরপর আল আমিনের ৬০ রানে বিশাল স্কোর গড়ে বরিশাল। নাবিল সামাদ ৪ উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে মুমিনুল হকের অপরাজিত ৬৪ রানে ১ উইকেটে ১৩৪ রান করে চট্টগ্রাম। এখনও ৩৫৫ রানে পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম। এ ম্যাচ নিয়ে অবশ্য আর কোন ভাবনাই থাকল না। মূলত দ্বিতীয় স্তর নিয়েই আর ভাবনা থাকল না। বরিশাল যে শিরোপা জেতা নিশ্চিত করে নিল। খুলনায় রাজশাহী দুর্দান্ত খেলছে। সিলেটকে প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানে অলআউট করে দিয়ে ফরহাদ হোসেনের ১৪৪ ও হামিদুল ইসলামের ১০৫ রানে ৩৯৫ রান করেছে রাজশাহী। প্রথম ইনিংসে সিলেটকে অলআউট করা, নিজেরা সাড়ে তিন শ’ রানের বেশি করা, প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার যে বোনাস পয়েন্ট, তা পেয়েছে। কিন্তু রাজশাহীকে হতাশই হতে হচ্ছে। এ স্তর থেকে যে বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত করে নিয়েছে। তাই এখন যত ভাল নৈপুণ্য হোক রাজশাহীর, পয়েন্ট ব্যবধানে বরিশালকে টপকাতে পারবে না। রাজশাহীর ইনিংস শেষ হতে সিলেট দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ১১ রান করতেই দ্বিতীয় দিন শেষ হয়। ২০৮ রানে এগিয়ে রয়েছে রাজশাহী। স্কোর ॥ দ্বিতীয় দিন শেষে- প্রথম স্তর ॥ রংপুর প্রথম ইনিংস ২৭/১; ৭ ওভার (বসু ১৮*, নবীন ৪*, আরাফাত ৪; রাজ্জাক ১/৪)। দ্বিতীয় স্তর ॥ বরিশাল-চট্টগ্রাম ম্যাচ ॥ বরিশাল প্রথম ইনিংস প্রথমদিন ৩২৩/১; শাহরিয়ার ১৫৮*, রাব্বি ১২৮* ও দ্বিতীয় দিন ৪৮৯/১০; ১৪৩.৪ ওভার (শাহরিয়ার ১৬৮, রাব্বি ১৩৩, আল আমিন ৬০, নুরুজ্জামান ৩৪; নাবিল ৪/১০১, বেলাল ৩/১৩২)। চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংস ১৩৪/১; ৩০ ওভার (মুমিনুল ৬৪*, নাফিস ৩০*, মামুন ৩৭; কবির ১/২১)। রাজশাহী-সিলেট ম্যাচ ॥ সিলেট প্রথম ইনিংস ১৭৬/১০; নাসুম ৫৯, এজাজ ২০; মইনুল ৩/২০ ও দ্বিতীয় ইনিংস ১১/০; ৩ ওভার (শানাজ ৬*, ইমতিয়াজ ৫*)। রাজশাহী প্রথম ইনিংস প্রথমদিন ৪২/২; জুনায়েদ ২৯, ফরহাদ হোসেন ১০* ও দ্বিতীয় দিন ৩৯৫/১০; ১০১.১ ওভার (ফরহাদ ১৪৪, হামিদুল ১০৫; নাসুম ৩/৫৫)।
×