ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ে

আরও দুই বছর সময় বাড়ানোর পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২ নভেম্বর ২০১৫

আরও দুই বছর সময় বাড়ানোর পরামর্শ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময়সীমা দুই বছর বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে পুঁজিবাজারের বিকাশ ও স্থিতিশীলতা খুব জরুরী। ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী ইউনিলিভার ও নেসলেসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার তাগিদ দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোন কোম্পানি পুঁজিবাজারে এলে সাধারণ মানুষ ওই কোম্পানির অংশীদার হতে পারে। দেশীয় অনেক কোম্পানি আসছে, তাই সাধারণ মানুষ এসব কোম্পানির অংশীদার হতে পারছে। কিন্তু বহুজাতিক কোম্পানিগুলো অনেক মুনাফা করলেও সাধারণ মানুষ তার ভাগিদার হতে পারছে না। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম খায়রুল হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, ডিএসইর চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক পরিচালক কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা। উল্লেখ্য, ব্যাংক কোম্পানি আইনের সর্বশেষ সংশোধনীতে আরোপিত শর্তের কারণে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সক্ষমতা কমে গেছে। আগে প্রতিটি ব্যাংক তার আমানতের ১০ শতাংশ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারত। ২০১৩ সালের সংশোধনী অনুসারে এখন ব্যাংকগুলো নিজ নিজ রেগুলেটরি মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে। আইনের এই সংশোধনীর ফলে আগের আইনে বিনিয়োগ করা কয়েকটি ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ সীমার বাইরে পড়ে গেছে। বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম খায়রুল হোসেন অনুষ্ঠানে বলেন, আন্তর্জাতিক ফোরামে বিএসইসির অবস্থান ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হওয়ায় এ বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও আগ্রহ বেড়েছে। তিনি দাবি করেন, উন্নত মনিটরিং সেল, সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার, ডিমিউচুয়ালাইজেশনসহ বেশকিছু সংস্কারের ফলে পুঁজিবাজার এখন যে কোন সময়ের তুলনায় স্থিতিশীল। ডিএসই সভাপতি বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ও নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য সচেতনতা খুব জরুরী। ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন এ বিষয়ে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার জন্য কাজ করবে এ্যাসোসিয়েশন। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বাজার বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে এফবিসিসিআইয়ের সহযোগিতায় ৬৪টি জেলায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার আমজাদ হোসেন, আবদুস সালাম, নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফায়েকুজ্জামান এবং ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ বিপুলসংখ্যক ব্রোকার উপস্থিত ছিলেন।
×