ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ সচল রাখতে ফয়লাহাট স্লুইসগেট অপসারণের দাবি

প্রকাশিত: ২৩:১০, ৩১ অক্টোবর ২০১৫

মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ সচল রাখতে ফয়লাহাট স্লুইসগেট অপসারণের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুন্দরবনকে রক্ষায় সারা বছর মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ সচল রাখতে অবিলম্বে ফয়লাহাট স্লুইসগেট অপসারণের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। একই সঙ্গে নৌপথ সংলগ্ন ৮৩টি সরকারী খালের অবৈধ বাঁধ ও পরিবেশবিনাশী চিংড়িঘের উচ্ছেদ এবং সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে সব ধরনের বাণিজ্যিক নৌযান চলাচল বন্ধের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে এই সামাজিক সংগঠনটি। শনিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে সংগঠনের উপদেষ্টা প্রবীণ রাজনীতিবিদ মনজুরুল আহসান খান ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আশীষ কুমার দে এই দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে এর ভেতর দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ করে বিকল্প নৌপথ মংলা-ঘষিয়াখালী সারা বছর সচল রাখতে হবে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অপরিকল্পিত ফয়লাহাট স্লুইসগেটটির কারণে আন্তর্জাতিক এ নৌপথের বিভিন্ন স্থানে দ্রুত পলি জমে মারাত্মক নাব্য সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া সরকারী খালগুলোর ওপর শত শত অবৈধ বাঁধ দিয়ে পরিবেশবিনাশী চিংড়িচাষের কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গত ১ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বিতর্কিত সøুইসগেটটি অপসারণের সিদ্ধান্ত হলেও অদৃশ্য কারণে পাউবো সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেনি। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ বাঁধ ও চিংড়িঘের উচ্ছেদে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না বলে বিবৃতিদাতারা অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করে প্রায় পাঁচ বছর পর মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথটি আংশিক সচল করেছে। তবে, ফয়লাহাট স্লুইসগেট, অবৈধ শত শত বাঁধ ও চিংড়িঘেরের কারণে বিভিন্ন স্থানে দ্রুত পলি পড়ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথটি নিকট ভবিষ্যতে ফের পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে বিবৃতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
×