ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৩১ অক্টোবর ২০১৫

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কাঁচা বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ছে। সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কমেও আসছে। তবে বাড়তি দামে এখনও বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। চাল, ডাল, চিনি, আটা, ডিম ও পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কমেছে রসুনের দাম, তবে ব্রয়লার মুরগি, সয়াবিন তেল, পামওয়েল এবং আদার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মিঠাপানির মাছের যোগান বেড়েছে। সাগরে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়লেও খুচরা দামে তেমন কোন প্রভাব নেই। ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামেই। এছাড়া গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কাপ্তান বাজার, নিউমার্কেট কাঁচা বাজার, পলাশী এবং মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিকেজিতে ১০ টাকা কমে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। আর ১০ টাকা বাড়ায় প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি পেতে ১২৫-১৩৫ টাকা গুনতে হচ্ছে ভোক্তাকে। এছাড়া প্রতিলিটার সয়াবিন তেলে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৭৮ টাকায়। ২ টাকা বেড়ে ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিলিটার পামওয়েল। এছাড়া ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি আদা খুচরা পর্যায় বিক্রি হচ্ছে ৯০-১৪০ টাকা দামে। এদিকে, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় খুশি ভোক্তারা। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসে সবার চোখ ছিল সবজির দিকে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, লালশাক, মুলা শাক, মুলা, গাজর, শিম, বরবটি, বেগুন, করল্লা ও ঝিঙাসহ সব ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সাইজে ছোট ও দাম বেশি হলেও ক্রেতারা কিনছেন এসব সবজি। প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া অন্যসব সবজি কিনতেও কেজিপ্রতি ক্রেতাকে ৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে। বাঁশবাড়ি থেকে মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে বাজার করতে এসেছেন হুমায়ূন কবির। তিনি জনকণ্ঠকে জানালেন, সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে এই দামও বেশি। প্রতিপিস ছোট সাইজের ফুল ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। এটা বাড়তি দাম। এই দাম যখন ১৫-২০ টাকা হবে তখন সবজি ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসবে। গত সপ্তায় প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১৬০-২০০ টাকায়। এই সপ্তায় জাত ও মানভেদে মরিচ ১৪০-১৮০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নিউমার্কেটের সবজি বিক্রেতা হায়দার হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, এখানে সবজির দাম অন্য সব বাজারের চেয়ে একটু বেশি। কারণ এই বাজারে ভালমানের সবজি আনা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, শীতকালীন সবজি বাজারে আসা শুরু হয়েছে। নবেম্বর মাসের শেষ নাগাদ সব ধরনের সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে চলে আসবে। এদিকে, নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ এবং আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। এছাড়া জাত ও মানভেদে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫২, চাল মাঝারি ৪০-৪৪ এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৪ টাকায়। আটা ২৮-৩৬, মশুর ডাল ৯৫-১৩৫, চিনি ৩৯-৪২ এবং প্রতিহালি ডিম ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
×