ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে কথিত সাংবাদিক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

শেরপুরে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে কথিত সাংবাদিক গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদাতা, শেরপুর॥ শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ কর্মকর্তা ও স্থানীয় দৈনিক তথ্যধারা সম্পাদকের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে বিষোদগারের অভিযোগে ছামিদুল ইসলাম জীবন নামে এক কথিত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে তার বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে শহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জীবন সদর উপজেলার মুন্সিরচর গ্রামের মৃত সাত্তার মন্ডলের ছেলে। বিকেলে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হলে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট মোঃ মুমিনুল ইসলাম রবিবার রিমান্ড শুনানীর তারিখ ধার্যক্রমে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জানা যায়, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার ও সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলাসহ ১১ কর্মকর্তা এবং স্থানীয় দৈনিক তথ্যধারা সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান এটম সম্পর্কে কথিত সাংবাদিক ছামিদুল ইসলাম জীবন ২৯ অক্টোবর তার ফেইসবুক স্টেটাসে নগ্নভাবে বিষোদগার করে তা ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। এছাড়া প্রেসক্লাবের গতিশীল কর্মকান্ডে ঈর্যান্বিত মহলের যোগসাজসে ‘রেড ওয়াইন’ নামে একটি ফেইসবুক ফেইক আইডির মাধ্যমে প্রেসক্লাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ছড়ানো স্টেটাসও জীবন তার ফেইসবুকে শেয়ার করে ছড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনায় প্রেসক্লাব কর্মকর্তাসহ কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা বাদী হয়ে ছামিদুল ইসলাম জীবন ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরপরই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহফুজার রহমান অভিযান চালিয়ে জীবনকে গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শেরপুর প্রেসক্লাব কর্মকর্তা ও দৈনিক তথ্যধারা সম্পর্কে ফেইসবুকে কটুক্তির অভিযোগে এই প্রথম তথ্যপ্রয্ুিক্ত আইনে একটি নিয়মিত মামলা রজু হয়েছে। ওই মামলায় ছামিদুল ইসলাম জীবন নামে কথিত সাংবাদিককে গ্রেফতার করে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনার অন্তরালে আরও কেউ জড়িত থাকলে তদন্তে তা বের করা হবে।
×