ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝটিকা মিছিল করে আবার পুলিশের ওপর হামলা করেছে শিবির

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

ঝটিকা মিছিল করে আবার পুলিশের ওপর হামলা করেছে শিবির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবার মিছিল সমাবেশের নামে রাস্তায় নেমে ঝটিকা মিছিল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলাসহ নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে সংঘর্ষের সময় জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচী দিয়ে বুধবার রাস্তায় নেমেছিল তারা। রাজধানীর মিরপুর, কাফরুল, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জামায়াত শিবির ক্যাডাররা। হামলায় জড়িত থাকার দায়ে আটক করা হয়েছে অন্তত ১৫ জনকে। উদ্ধার করা হয়েছে বিস্ফোরক। বুধবার প্রতিবাদ কর্মসূচী দিয়ে সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মিছিলের চেষ্টা করে জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্র শিবিরের কর্মীরা। যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়ায় সকালে মিছিল থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ চারটি ককটেলসহ তিনজনকে আটক করে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারি জোনের উপ-কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, সকাল ৮টার দিকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আট রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে চারটি তাজা ককটেল ও ‘২৮ অক্টোবর বিক্ষোভ দিবস পালন করুন’ লেখা ব্যানার জব্দ করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শঙ্কর জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কোনাপাড়া মুরগির ফার্ম এলাকায় মিছিল বের করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। জামায়াত-শিবিরের মিছিলের খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ঢিল ও ককটেল ছোড়া হয়। পরে পুলিশ গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর আগে ভোর ৪টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পেট্রোলবোমা ও ককটেলসহ জামায়াত-শিবিরের আট নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। মিরপুর থানার ওসি ভূইয়া মাহাবুব হোসেন জানান, তাদের কাছ থেকে বেশকিছু পোস্টার, ধর্মীয় উস্কানিমূলক বই, পেট্রোলবোমা ও ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- ইদ্রিস খান (২৪), আরিফুর রহমান (২৩), সাজ্জাদুল আলম (২৫), আবুল কাশেম (৫৫), আনোয়ার হোসেন (৩২), নবীর উদ্দিন (৩৭), আবু সাঈদ (৪৫) ও মাহবুব হোসেন (২৮)। এর পরপরই মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকাতেও মিছিলের চেষ্টা করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। তবে পুলিশ লাঠিপেটা করে শিবির কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে। এ সময় মিছিল থেকে ছোড়া ঢিলে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল থেকে চার কর্মীকে আটক করা হয়। এদিকে জামায়াত নেতারা এক বিবৃতিকে বলেছেন, ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে বাধা দিয়ে জনগণের আন্দোলন কখনও বন্ধ করা যাবে না। প্রচারপত্র বিলির সময়ে হিজবুত তাহ্রীরের একজন আটক ॥ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হিজবুত তাহ্্রীরের প্রচারপত্র সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের কক্ষে পৌঁছে দেয়া হয়েছে, এ অভিযোগে একজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করেছে কোর্ট প্রশাসন। এ বিষয়ে সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেছেন, দুপুরে একটি ছেলে কোর্টে এসে বিচারপতি জেবিএম হাসানের কক্ষের দরজার নিচ দিয়ে প্রচারপত্র ঢোকানোর চেষ্টা করছিল। তখন তাকে আটক করা হয়। সুন্দরবন কুরিয়ারের কর্মী তিনি। তাকে থানায় দেয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। বর্তমানে অবকাশকালীন ছুটি চলছে কোর্টে। তাই কয়জন বিচারপতির কাছে এটি পৌঁছে দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
×