ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাপানে রফতানি হচ্ছে ভারতের তৈরি সুজুকি গাড়ি

প্রকাশিত: ০১:৫৫, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

জাপানে রফতানি হচ্ছে ভারতের তৈরি সুজুকি গাড়ি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ‘ব্যালেনো’ গাড়িটি জাপানে রফতানি করবে মারুতি-সুজুকি ইন্ডিয়া। এই প্রথম ভারতের কারখানায় তৈরি কোন গাড়ি জাপানের বাজারে রফতানি করতে যাচ্ছে ভারতের বৃহত্তম গাড়ি সংস্থাটি। ভারতের ছোট ও কম দামী গাড়ি বাজারে প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও দামী গাড়ির বাজারে সেভাবে কৌলিন্য পায়নি মারুতি-সুজুকি। সেই লক্ষ্যে এবার উদ্যোগী সংস্থাটি। দামী ও আধুনিক নানা বৈশিষ্ট্যের সুবিধাসহ গাড়ি তৈরির পাশাপাশি সেগুলো বিক্রির জন্য সম্পূর্ণ নতুন ধরনের শো-রুম ‘নেক্সা’ গড়ছে তারা। নেক্সায় বিক্রির জন্য প্রথম গাড়ি এস-ক্রসের পরে এবার তাদের বাজি ব্যালেনো। ভারতের বাজারে গাড়িটি বিক্রির জন্য ইতোমধ্যে নিয়ে এসেছে মারুতি-সুজুকি। সেই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিল্লী ও কলকাতায় সংস্থার এমডি-সিইও কেনিচি আয়ুকায়া ও ভাইস প্রেসিডেন্ট (বিপণন) সঞ্জীব হান্ডা জানান, জানুয়ারি থেকে ১০০টি দেশে রফতানি হবে ব্যালেনো। সেই তালিকাতেই রয়েছে জাপানও। গোড়ায় বছরে অন্তত ৩০ হাজার ব্যালেনো রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাঁদের। দীর্ঘদিন আগে ব্যালেনো নামে একটি সেডান গাড়ি থাকলেও নতুন গাড়িটি আনকোরা ‘হ্যাচব্যাক’। হান্ডা জানান, ব্যালেনোর অর্থ আলোর ঝলকানি। বস্তুত, এই গাড়িটির হাত ধরেই ছোট কিন্তু দামী গাড়ির বাজারে আশার আলো দেখতে চাইছে সংস্থা। এখন কলকাতায় গাড়িটির পেট্রোলচালিত সংস্করণের দাম পড়ছে প্রায় ৫.২৪ লাখ টাকা থেকে ৭.০৫ লাখ টাকা। ডিজেল গাড়ির দাম পড়বে ৬.৪৪ লাখ টাকা থেকে ৮.৪৪ লাখ টাকা। ভারতের দামী গাড়ির বাজারে হুন্ডাইয়ের ‘এলিট আই ২০’, হোন্ডার ‘জ্যাজ’ এবং ভক্সওয়াগনের ‘পোলো’-র সঙ্গে টক্কর দিতে ব্যালেনোকে হাতিয়ার করছে মারুতি। কিন্তু এটি সংস্থার অন্য গাড়ি সুইফট-এরই প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে না? কর্তাদের দাবি, সেই আশঙ্কা কম। কারণ দুটি দু’ধরনের গাড়ি। ব্যালেনোর ক্ষেত্রে আধুনিক বৈশিষ্ট্য অনেক বেশি। যেমন এয়ারব্যাগ বা এবিএসের মতো সুবিধা গাড়িটির সব সংস্করণেই মিলবে। হান্ডা জানান, সারাদেশে এ পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি এস-ক্রস বিক্রি করেছে সংস্থা। মারুতি-সুজুকির পূর্বাঞ্চলীয় কর্তারা জানিয়েছেন, এখানে সে সংখ্যা ৭৫০টির বেশি।
×