ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাফুফেসহ বিভিন্ন সংগঠনের শোক

সাবেক জাতীয় ফুটবলার দিলীপ বড়ুয়া আর নেই

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

সাবেক জাতীয় ফুটবলার দিলীপ বড়ুয়া আর নেই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ না ফেরার দেশে চলে গেলেন সত্তর দশকের বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার ও কোচ দিলীপ বড়ুয়া (৭০)। সোমবার দুপুরে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের নিজ বাসভবনে পরলোকগমন করেন তিনি। তিনি ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়ার মারদেকা ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। চট্টগ্রামের কাতালগঞ্জ বৌদ্ধ বিহারের চাঁন্দগাও শ্মশানে দাহ করা হয়। দিলীপ বড়ুয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), চট্টগ্রাম সোনালী অতীত ক্লাব, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একাদশ এবং মনিং ফিটনেস জোন আন্তরিক শোক প্রকাশ এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে। দিলীপ বড়ুয়া ১৯৪৬ সালের ২ আগস্ট রাউজান থানার পূর্ব গুজরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে ইয়ং স্টার ক্লাবে চট্টগ্রাম প্রথম বিভাগ লীগের মাধ্যমে তার প্রথম শ্রেণীর ফুটবল জীবন শুরু। সেই থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি নিয়মিত ঢাকা এবং চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর একজন অপরিহার্য খেলোয়াড হিসেবে খেলেছেন। ১৯৬৭-১৯৭৮ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে তিনি ৫ বার চট্টগ্রাম জেলা দলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিভাগীয় পর্যায়ে, ১৯৭৩ সালে প্রথম বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে মালয়েশিয়ায় সপ্তদশ মারদেকা কাপে, একই বৎসরে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড সফরে, ১৯৭৫ সালে ঢাকা আবাহনীর পক্ষে আগাখান গোল্ডকাপে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা, ঢাকা ওয়াপদা ও চট্টগ্রাম পিডিবি ক্লাবের ফুটবল কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশল একাডেমি, কাপ্তাইয়ে উপ-পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় ২০০৫ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। আর এবার অবসর গ্রহণ করলেন জীবন থেকেই! চলে গেলেন বাসিল উইলিয়ামস স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পারি জমালেন বাসিল উইলিয়ামস। মৃত্যুকালে সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনিং ব্যাটসম্যানের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। ১৯৭৮-১৯৭৯ মৌসুমে তিনি ক্যারিবীয়দের হয়ে ৭ টেস্ট খেলেন। বাসিলের অভিষেকের সময় ক্যারিবীয় দলে বেশ বড় কয়েজন তারকা ক্রিকেটার দলত্যাগ করেছিলেন। নিজেকে প্রমাণ করতে তিনি দলের হয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন। ৩৯.০৮ গড়ে ৪৬৯ রান করেন। বাসিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের দশম ব্যাটসম্যান যিনি অভিষেকে দলটির হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১৯৭৮ সালে জর্জটাউনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১৮ বলে খেলেছিলেন ১০০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এরপর ভারত সফরে কলকাতায় করেন ১১১ রান। কিন্তু বিদ্রোহী ক্রিকেটাররা আবারও ফিরে এলে বাসিল দল থেকে বাদ পড়েন! ১৯৭০ সালে জ্যামাইকার হয়ে তার ক্রিকেট অভিষেক, ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। যেখানে ৪৬ ম্যাচে ৩৬.০২ গড়ে রয়েছে পাঁচ সেঞ্চুরি।
×