ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সৌরবিদ্যুত পাল্টে দিয়েছে টঙ্গীবাড়ির দৃশ্যপট

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

সৌরবিদ্যুত পাল্টে দিয়েছে টঙ্গীবাড়ির দৃশ্যপট

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ এক সময়ের রাতের ভূতরে জনপদ টঙ্গীবাড়ি উপজেলা এখন সৌর সোলার প্যানেলের আলোয় আলোকিত এক জনপদে পরিণত হয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ১২৪টি জায়গায় বসানো হয়েছে এই সোলারগুলো। এতে বদলে গেছে মানুষের জীবন যাত্রার মান। স্বস্তি ফিরে এসেছে রাতে চলাচলরত মানুষের মাঝে। জানা যায়, বিদ্যুত চলে গেলেও সোলার প্যানেলের আলোয় আলোকিত থাকছে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো। এতে একদিকে যেমন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা কমেছে, অন্যদিকে কর্মজীবী মানুষেরা অধিক রাত পর্যন্ত কর্মস্থলে কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। হাসাইল, দীঘিরপাড় চরঞ্চলের দুর্গম স্থানগুলোতে সোলার প্যানেল বসানোর কারণে দেশের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নদী ভাঙ্গনের শিকার এ অঞ্চলের মানুষগুলো চরাঞ্চলে ফিরতে শুরু করেছে। চরে জেগে উঠা পতিত জমিগুলোতে ব্যাপকভাবে কৃষি কাজ শুরু হয়েছে। কর্মসংস্থান বাড়ছে মানুষের। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের (টিআর) মাধ্যমে এ সমস্ত সোলার প্যানেল বসানোর কারণে মানুষের গ্রামে বসবাসে আস্থা ফিরেছে। উপজেলার চাঠাতি পাড়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তাদের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা চাঠাতি পাড়া- সাতুল্লা সংযোগ সড়কের আসবল কবরস্থানের উপরে একটি সোলার প্যানেল বসানোয় তারা এখন গভীর রাতেও স্বাচ্ছন্দ্যে কর্মস্থল হতে বাড়ি ফিরতে পারছেন। আগে এই স্থানটিতে প্রায় ছিনতাই ও মাদক বিক্রি হলেও এখন আর ওই সব অসামাজিক কাজক্রম এখানে হচ্ছে না। স্থানীয় এমপি অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির সার্বিক তত্ত্বাবধানে সৌর সোলার প্যানেল বসানোর কারণে পাল্টে যাচ্ছে এই জনপদের মানুষের জীবনযাত্রা। টঙ্গিবাড়ী উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, এ পর্যন্ত উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখান বিদ্যুত নেই বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে শতাধিক হোম সোলার এবং উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১২৪টি স্ট্রিট সোলার বসানো হয়েছে। আরও সোলার প্যানেল বসানো হবে।
×