ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লঙ্কায় হোয়াইটওয়াশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

লঙ্কায় হোয়াইটওয়াশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইতিহাস থাকল ইতিহাসের জায়গায়। ২৪৪ রানের লক্ষ্যটা পেরোতে পারল না জেসন হোল্ডারের দল। ১৭১ রানে থেমে গিয়ে সিরিজ নির্ধারণী কলম্বো টেস্টে হারল ৭২ রানে। দুই টেস্টের সিরিজে স্বাগতিক লঙ্কানদের কাছে ‘হোয়াইটওয়াশ’ ক্যারিবীয়রা। বৃষ্টিতে চতুর্থ দিনের পুরো খেলা ভেস্তে যায়। বোলারদের দাপুটে টেস্টে দুই ইনিংসে ২০০ ও ২০৬ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া উইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। তারুণ্যের লড়াইয়ে শেষ হাসি লঙ্কানদের। চমৎকার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা তরুণ মিলিন্দা শ্রীবর্ধনে। ১৫ উইকেট নিয়ে অবধারিত সিরিজসেরা অভিজ্ঞ স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দু-দল, কলম্বোয় প্রথম ওয়ানডে ১ নবেম্বর। সিরিজ জয় তো দূরে, সেই ১৯৯৩ থেকে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ১১ টেস্ট খেলে এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি ক্যারিবীয়রা। সর্বোচ্চ সাফল্য ৪ ড্র। একদিন নষ্ট হওয়ার পরও কলম্বোয় দারুণ সুযোগ ছিল ইতিহাস গড়ার। ৯ উইকেট নিয়ে টেস্টে সারাদিনে ২৪০ রান মোটেই কঠিন নয়। কিন্তু আত্মঘাতী ব্যাটিংয়ে সেই কঠিন কাজটাই করে বসল ড্যারেন সামির দল। ঘুরিয়ে বললে হেরাথ-মিলিন্দার দুরন্ত ঘূর্ণি জাদুতেই ক্যারিবীয়দের কুপোকাত করল লঙ্কানরা। ১ উইকেটে ২০ রান নিয়ে সোমবার শেষ দিনে ব্যাট করতে নামে সফরকারীরা। বাকি ৯ উইকেট হারিয়ে এদিন আর ১৫১ রান যোগ করতে সক্ষম হয় তারা। ৯৬.৫ ওভারে অলআউট হয় ব্রায়ান লারার উত্তরসূরিরা। শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনে গুড়িয়ে যায় অতিথিদের ইনিংস। ড্যারেন ব্রাভোর ৬৫ আর শাই হোপের ৩৫ ছাড়া কেউ বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি। হেরাথ আর মিলিন্দা মিলে সর্বনাশটা করেছেন। ১০ উইকেটের ৭টিই ভাগাভাগি করেছেন দুজনে। হেরাথ ৫৬ রানে ৪, মিলিন্দা ২৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট। মূলত বড় কোন জুটি না হওয়ায় ডুবেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পুরো সিরিজে দলটির ৫০ রানের জুটি মাত্র একবার! দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় উইকেটে ব্রাভো আর হোপ ৬০ রানের জুটিই কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিল। কিন্তু তারা সাজঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংলাইন। দশম উইকেট জুটিতে ৩৩ কেমার রোচ আর জোমেল ওয়ারিকেনের। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সফরে এবং ঘরের মাটিতে পাকিস্তান ও ভারতের কাছে টানা তিন সিরিজ হারের পর এই সিরিজ জিতল এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দল। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ৩ বার সিরিজসেরা হলেন ম্যাথুস। তার চেয়ে বেশি সিরিজসেরা হওয়া লঙ্কান ক্রিকেটার আর তিন জনÑ মুত্তিয়া মুরলিধরন, কুমার সাঙ্গাকারা ও অরবিন্দ ডি সিলভা। সন্তুষ্ট অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস বলেন, ‘এটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জয়। সাফল্যের সিংহ ভাগ দাবিদার বোলাররা। রঙ্গনা হেরাথ আবারও প্রমাণ করেছে সে মাস্টার ক্লাস স্পিনার।’ অন্যদিকে হারের জন্য নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দায়ী করেন জেসন হোল্ডার। উইন্ডিজ অধিনায়ক বলেন, ‘শ্রীলঙ্কান বোলাররা ভাল করেছে, তবে ব্যাট হাতে আমরা মোটেই প্রত্যাশা মতো খেলতে পারিনি। টেস্ট সিরিজের শিক্ষাটা কাজে লাগিয়ে ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়াতে চাই।’
×