ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ের প্রাণের উৎসব ওয়াগোয়্যাই পোয়ে আজ শুরু

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

পাহাড়ের প্রাণের উৎসব ওয়াগোয়্যাই পোয়ে আজ শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ২৬ অক্টোবর ॥ আতশবাজি, রং-বেরংয়ের বর্ণিল ফানুসের ঝলকানি আর ময়ুরপঙ্খীর আদলে তৈরি মহারথ টানা উৎসবের মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার থেকে পাহাড়ের বৌদ্ধ অনুসারীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ’ (প্রবারণা পূর্ণিমা) উৎযাপনে মেতে উঠবে। বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় এ উৎসবের মূল আয়োজন চলবে ২৭ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত। পার্বত্য জেলার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মারমা’রা ‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ’ নামে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করে থাকে। জানা যায়, এবারের উৎসবে পাহাড়ের আকাশে বর্ণিল ফানুসে ঢেকে যাবে। মন্দিরে মন্দিরে (ক্যায়াং) জ্বালানো হবে হাজারো বাতি, রাতের আকাশে আতশবাজির ঝলকানি, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান, মারমা নাটক মঞ্চায়ন, মন্দিরে ছোয়াইং ও অর্থ দান, বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। পাহাড়ের বৌদ্ধ অনুসারী বড়–য়া সম্প্রদায় একদিন আগে এই উৎসব পালন করেন, তাদের মতো করে। তিন দিনে রথ যাত্রা মন্দিরে মন্দিরে ছোয়াইং দান (ভাত-তরকারি প্রদান), পুরাতন রাজবাড়ী মাঠে পিঠা উৎসব, ফানুস উত্তোলন, ‘ছংরাসিহ্ ওয়াগ্যোয়াই লাহ্ রাথা পোয়েঃ লাগাইমে...’ (সবাই মিলে মিশে রথযাত্রায় যায়...) আদিবাসী মারমা’রা এই বিশেষ গানটি পরিবেশন করে মাহারথ যাত্রা শুরু করবে। এ সময় পাংখো (এক ধরনের পুতুল) নৃত্য পরিবেশন আর রথ টানতে শত শত আদিবাসীরা রাস্তায় নেমে আসে। রথে জ্বালানো হয় হাজার হাজার মোমবাতি এবং দান করা হয় নগদ অর্থ। শেষ দিনে ফর রথ টানার মধ্য দিয়ে মধ্যরাতে শঙ্খ (সাঙ্গু) নদীতে রথ উৎসর্গ করা হয়। বর্ণিল এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পর্যায়ক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, বোমাং রাজা উ চ প্রু, জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ, পৌর মেয়র জাবেদ রেজা।
×