ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামীর ১০ লাখ টাকা চাই

যৌতুকের আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ রামেক বার্ন ইউনিটে

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

যৌতুকের আগুনে দগ্ধ  গৃহবধূ রামেক বার্ন ইউনিটে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ যৌতুকের দাবি মেটাতে ব্যর্থ হয়ে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে নাসিমা আক্তার নাইস রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছেন। তার শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। রবিবার থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্ডুগ্রামে। সম্প্রতি তারা নওগাঁয় বাসাভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেখানেই গত শনিবার রাতে যৌতুকের জন্য স্বামী রুবেল হোসেন স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। নাসিমার বাবা আব্দুল গাফ্ফার জানান, প্রায় ১০ বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। তার মেয়ে তখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ত। জামাই হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিল। তা ছেড়ে দিয়ে মসজিদের ইমামতি শুরু করেছিল। সব ছেড়ে গত চার-পাঁচ মাস আগে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেয়। নওগাঁ সদরেই প্লাস্টিক সামগ্রীর দোকান করার সিদ্ধান্ত নেয়। নাসিমার বাবা জানান, একমাত্র মেয়ের সুখের কথা ভেবে দোকান করার জন্য তিনি দুই লাখ টাকা দেন। এর আগেও দুই দাফায় ৭০ হাজার টাকা দিয়েছেন। তিনি বলেন, নওগাঁয় দোকান করার পরে তারা সেখানেই একটি ভাড়াবাসায় থাকত। তাদের ছয় বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। গত শনিবার রাত একটার দিকে ভাড়া বাড়ির মালিক তাকে ফোন করে জানান, তার মেয়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারা সকালে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এসে মেয়েকে দেখেন। মেয়ে বলেছে, তার স্বামী ব্যবসা বড় করার জন্য আরও ১০ লাখ টাকা চাচ্ছিল। এ কথা সে তাদের জানায়নি। এই ক্ষোভে তার স্বামী তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। নাসিমার মা মর্জিনা বেগম বলেন, তার স্বামীর পৌঁছতে একটু দেরি হয়। তিনিই আগে এসেছেন। তিনি এসে জামাই এবং তার বোনকে হাসপাতালে পেয়েছেন। তবে তাকে দেখার পর তারা পালিয়ে গেছে।
×