ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তুরস্ক জুড়ে একটাই প্রশ্ন : এখন তাহলে কটা বাজে?

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

তুরস্ক জুড়ে একটাই প্রশ্ন : এখন তাহলে কটা বাজে?

অনলাইন ডেস্ক॥ গোটা তুরস্ক জুড়ে এখন সময় নিয়ে চরম বিভ্রান্তি। নানা বিরোধে ও সংঘাতে দীর্ণ তুরস্কের বাসিন্দারা এখন একটা ব্যাপারেই ঐক্যবদ্ধ, আর তা হল তাদের সবারই একটাই প্রশ্ন, ‘এখন ঠিক কটা বাজে?’ এই বিভ্রান্তির মূলে আছে তুরস্ক সরকারের একটি সিদ্ধান্ত - যাতে তারা গ্রীষ্মকালীন বা ডে-লাইট সেভিং টাইমকে আরও কিছুদিনের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছে। বাকি ইউরোপের সঙ্গে তুরস্কেও অক্টোবরের শেষ রবিবার মধ্যরাতের কিছু পরেই ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা পিছিয়ে দেওয়া বা ‘ফল ব্যাক’ করার কথা ছিল। কিন্তু তুরস্ক সরকার শেষ মুহুর্তে স্থির করেছে, এই প্রক্রিয়াটা করা হবে আসন্ন নির্বাচনের পর – যাতে ভোটাররা দিনের আলোর সুবিধাটা ১লা নভেম্বর ভোটের দিনে বেশি সময়ের জন্য নিতে পারেন। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরের রবিবার, অর্থাৎ ৮ নভেম্বর মধ্যরাতের পর সময় পেছোনোর প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে বলেও জানানো হয়েছে, অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের ঠিক দুসপ্তাহ পর। কিন্তু সারা দেশে বহু ঘড়িতেই এই নতুন ফরমান কার্যকর করা যায়নি – তারা রীতিমাফিক কাঁটা এক ঘন্টা পিছিয়ে দিয়েছে পূর্বনির্ধারিত সময়েই, আর সেখান থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। তুরস্কে সরকারিভাবে এখনও ডে লাইট সেভিং টাইম চালু থাকলেও বুলগেরিয়া, লিথুয়ানিয়া বা ইউক্রেনের মতো যে দেশগুলো ইস্টার্ন ইউরোপীয়ান টাইম (ইইটি) অনুসরণ করে তারা কিন্তু যথারীতি ঘড়ির কাঁটা যথাসময়েই পিছিয়ে দিয়েছে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঠাট্টা করে অনেকে লিখছেন, তুরস্ক এখন ইইটি-তে নয়, বরং ইইএসটি-তে চলছে – অর্থাৎ কিনা যাকে বলে ‘এর্দোয়ান ইঞ্জিনিয়ার্ড স্ট্যান্ডার্ড টাইম’। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়িপ এর্দোয়ান-কে ব্যঙ্গ করে অনেকেই দেশের নতুন এই সময়কে ‘এর্দোয়ান টাইম’ বলেও ডাকছেন। হ্যাশট্যাগ #saatkac, যার অর্থ হল ‘এখন কটা বাজে?’ এই মুহুর্তে তুরস্কে টুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে দারুণ ট্রেন্ড করছে – সবাই সেখানে নিজেদের বিভ্রান্তি প্রকাশ করছেন। কিন্তু আগামী দুসপ্তাহের জন্য তুরস্ককে এখন এই ঘড়ির গন্ডগোলের মধ্যে দিয়েই পেরোতে হবে! সূত্র : বিবিসি ‍বাংলা
×