ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আরও উচ্চতায় ইউনুস খান

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

আরও উচ্চতায় ইউনুস খান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুবাইয়ে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই গ্রেট জাভেদ মিয়াঁদাদকে টপকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের মালিক (৮,৮৫২) বনে গিয়েছিলেন। এবার নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন ইউনুস খান। প্রথম পাকিস্তানী হিসেবে পা রাখলেন ৯ হাজার রানের ল্যান্ডমার্কে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির পথে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তুলে নেন খান সাহেব, এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি! দুবাইয়ে নেমেছিলেন ৮,৮৯৭ রান নিয়ে। প্রথমে ৫৬ রানের পথে ইংলিশ লেগস্পিনার আদিল রশিদের বলে সিঙ্গেলস নিয়ে ৯০০০ রান পূর্ণ করেন ইউনুস। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও খেলেন ১১৮ রানের অনবদ্য ইনিংস। ১০৩তম টেস্টে তার মোট রান এখন ৯,০৭১Ñ ঢের পেছনে চলে গেলেন ‘আইডল’ মিয়াঁদাদ (৮,৮৩২)! আরব আমিরাত যে পাকিস্তানীদের জন্য চিরায়ত ‘এক পয়মন্ত দেশ’ সেটি আরও এক প্রমাণ হলো। ইউনুসের হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩৭৮/১০। এরপর প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে ২৪২Ñএ গুটিয়ে দিয়ে ৬ উইকেটে ৩৫৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে জয়ের জন্য ইংলিশদের ৪৯১ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় পাকিরা। যেখানে ইউনুসের অবদান ১১৮। এর মধ্য দিয়ে সেঞ্চুরি সংখ্যায়ও স্বদেশী গ্রেটদের যোজন পেছনে ফেললেন ইউনুস। ১০৩তম টেস্টে এটি তার ৩১তম সেঞ্চুরি, যেখানে হাফসেঞ্চুরি মোটে ৩০টি। একটা বিষয় পরিস্কার, চওড়া বুকের পাটাওয়ালা ইউনুস হাফসেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে সিদ্ধহস্ত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইনজামাম-উল হকের সেঞ্চুরি ২৫। আর দু’বছর এভাবে চললে নিশ্চিত অনেক দূর এগিয়ে যাবেন ইউনুস। বয়স ৩৮Ñএর কোঠায় পড়লেও ব্যাট হাতে দুরন্ত ছুটে চলেছেন। গত ১২ মাসে এ নিয়ে হাঁকালেন ৯ সেঞ্চুরি, এ সময়ে টেস্টে তার গড় ৮৩’র ওপরে। স্বভাবতই ইউনুসে উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক। মিসবাহ বলে, ‘ড্রেসিং রুমে ওর মতো একজন গ্রেট ব্যাটসম্যানকে পেয়ে আমরা গর্বিত। সেঞ্চুরি সংখ্যা, রানসহ আরও অনেক রেকর্ডই এখন ইউনুসের দখলে। মানুষ হিসেবেও চমৎকার। তরুণরা ওকে আদর্শ মানে। সুযোগ পেলে সেও তরুণদের অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়। ইউনুস ব্যাট হাতে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক। যে রান করতে ভালবাসে, দলকে জেতাতে চায়।’ ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েছিলেন মিয়াঁদাদ। গত ২২ বছর সেটি অক্ষত ছিল। কাছাকাছি গিয়েও পারেননি ইনজামাম (২০০৭Ñএ ৮,৮২৯)। অবশেষে জীবন্ত কিংবদন্তিকে পেছনে ফেলে পাহাড় চূড়ায় ইউনুস। অন্যদিকে যে মিসবাহকে বলা হতো ‘ঠুক ঠুক’, সেই তিনিই গড়লেন পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট ছক্কার নতুন রেকর্ড! প্রথম ইনিংসে ১০২ রানের পথে ৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৭ রান করতে আরও ৪টি ছক্কা হাঁকান পাক অধিনায়ক। ৬৯ টেস্টে মিসবাহর মোট ছক্কা এখন ৬৫। সতীর্থ ইউনুসকে (৬০) হটিয়ে ‘বিগ শটের’ রাজা চল্লিশোর্ধ মিসবাহ! অবশ্য ছক্কা হাঁকানোর দিক দিয়ে টেস্ট ইতিহাসের ১৮তম স্থানে তিনি। ১’শ ছক্কা নিয়ে এ তালিকায় সবার ওপরে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ‘ড্যাশিং উইলোবাজ’ এ্যাডাম গিলক্রিস্ট। পাকিস্তানের হয়ে মিসবাহ-ইউনুসের পেছনে তিন সাবেক ওয়াসিম আকরাম (৫৭টি), ইমরান খান (৫৫টি) ও শহীদ আফ্রিদি (৫২)। শ্রীনগর ফুটবল স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শ্রীনগর ফুটবল টুর্নামেন্টে আইয়ুব আলী একাদশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শনিবার বিকেলে কোলাপাড়ার বাইচখোলা মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা সারা একাদশকে ২-০ গোলে হারিয়ে এই গৌরব অর্জন করে। প্রথমার্ধে খেলাটি গোল শূন্য ড্র ছিল। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন রাজনীতিক নেতা হাজী নেছার উল্লাহ সুজন ও হাজী আব্দুল মাবুদ। বাইচখোলা তরুণ ক্রীড়া সংঘ আয়োজিত ১৪তম এই ফুটবল টুর্নামেন্টে ১৬ দল অংশ নেয়। যুগ যুগ ধরে এখানে নিয়মিত নৌকাবাইচ হতো। তাই এই মাঠে নাম হয় বাইচখোলা। কিন্তু সেই খাল শুকিয়ে যাওয়ায় এখন ফুটবল খেলা হচ্ছে ।
×