ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিরোপায় দৃষ্টি সব দলের

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

শিরোপায় দৃষ্টি সব দলের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল-টি২০) তৃতীয় আসরের খেলা শুরু হবে ২২ নবেম্বর। ২০ নবেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে লীগের পর্দা উঠবে। খেলা শুরু হওয়ার দিন প্রথম ম্যাচটিই সাকিব আল হাসানের দল রংপুর রাইডার্স ও তামিম ইকবালের দল চিটাগং ভাইকিংসের মধ্যকার। বোঝাই যাচ্ছে, সাকিব-তামিমের মধ্যকার লড়াই দিয়েই বিপিএল শুরু হচ্ছে। গ্র্যান্ড ফাইনাল দিয়ে লীগ শেষ হবে ১৫ ডিসেম্বর। সবকিছু চূড়ান্ত। এখন শুধু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে লীগের বল মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা। এর আগে সবার দৃষ্টি একটি জিনিসের দিকেই। সেটি কী? বিপিএলের তৃতীয় আসরের শিরোপা জিততে চায় সব দল। রংপুর রাইডার্স এবার শক্তিশালী দলই গড়েছে। সাকিব আল হাসান আছেন। আছেন সৌম্য সরকার। জাতীয় দলের স্পিনার আরাফাত সানি, মোঃ মিঠুনও খেলবেন রংপুরে। আর বিদেশীদের মধ্যে ড্যারেন সামি, থিসারা পেরেরা, লেন্ডল সিমন্স, মোহাম্মদ নবীদের নিয়ে শক্তিশালী দলই গড়েছে রংপুর। এ দলটিকে নিয়ে এগিয়ে গিয়ে শিরোপা জিততে চান দলের চেয়ারম্যান মুস্তফা রফিকুল ইসলাম। বলেছেন, ‘আমরা যে দলটি গড়েছি, তা ভারসাম্যপূর্ণ। আশা করছি, দেশী-বিদেশী মিলিয়ে শক্তিশালী দলই হয়েছে। তা নিয়ে শিরোপাও জিতব। দলের সাকিব আল হাসানও আছেন।’ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও শক্তিশালী দল। দলে মাশরাফি বিন মর্তুজা, লিটন কুমার দাস, ইমরুল কায়েস, মাহমুদুল হাসানদের মতো দেশী ক্রিকেটার আছেন। আর বিদেশীদের মধ্যে শোয়েব মালিক, সুনীল নারিনে, আহমেদ শেহজাদ, মারলন স্যামুয়েলসরা আছেন। এ দল নিয়ে খুশি দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাফিসা কামাল। বলেছেন, ‘আমাদের দলে সব রকমের খেলোয়াড়ই আছে। ব্যাটসম্যান আছে। বোলার আছে। অলরাউন্ডারও আছে। দল ভাল হয়েছে। আমি খুশি। এ দল নিয়ে এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মাঠে নামব।’ ঢাকা ডায়নামাইটস দলটি অবশ্য আইকন ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে তারকাদ্যুতিহীন নাসির হোসেনকে পেয়েছে। এরপরও দলে মুস্তাফিজুর রহমান, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ফরহাদ রেজা, আবুল হাসান রাজু আছেন। আর বিদেশীদের মধ্যে তারকা কুমার সাঙ্গাকারা, রায়ান টেন ডেসকাট আছেন। ঢাকা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই লড়াই করবে। তা আগেই জানিয়েছিলেন, দলটির সিইও ওবেইদ আর নিজাম। সেই আশা নিয়েই এখনও এগিয়ে যেতে চান। চিটাগং ভাইকিংস ভাইদের দল। দলে আবার স্থানীয় দুই ভাই আছেন। তামিম ইকবাল ও নাফিস ইকবাল। এর সঙ্গে এনামুল হক বিজয়, তাসকিন আহমেদ, জিয়াউর রহমানরা আছেন। আর বিদেশীদের মধ্যে মোহাম্মদ আমির, এলটন চিগুম্বুরা, জীবন মেন্ডিসরা আছেন। এ দল নিয়েই শিরোপা জেতার স্বপ্ন চিটাগং ভাইকিংসের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদের। বলেছেন, ‘আমরা যে রকম দল চেয়েছি, তা পেয়েছি। বিশেষ করে তামিম ইকবালকে পেয়েছি। এখন আমরা কিভাবে দল চ্যাম্পিয়ন হবে, সেইভাবে ছক কষছি। আশা করি আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। অন্য যে কোন দলের চেয়ে আমরা সৌভাগ্যবানই। চিটাগংয়ে যে খেলা হবে।’ বরিশাল বুলস খুব ভেবে ভেবে দল গড়েছে। লটারিতে আগে উঠেও দলটি অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহকে বেছে নিয়েছে। এরসঙ্গে সাব্বির রহমান, আল আমিন, সোহাগ গাজী, শাহরিয়ার নাফিস, নাদিফ চৌধুরী, রনি তালুকদারদের দলে ভিড়িয়েছে। আর বিদেশীদের মধ্যে এ মুহূর্তে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্রিকেটার ক্রিস গেইলই তাদের দলে আছেন। সঙ্গে ব্রেন্ডন টেইলর, কেভন কুপার, মোহাম্মদ সামিও খেলবেন। এ দলটি নিয়ে দলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজওয়ান বিন ফারুক আশাবাদী। বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের মতো করে দল গড়েছি। কেউই শিরোপা না জেতার জন্য খেলে না। আমরাও খেলছি। আশা করছি স্বপ্ন পূরণ হবে।’ সিলেট সুপার স্টারস দলটি মুশফিকুর রহীমকে পেয়ে খুব খুশি। দলে রুবেল হোসেন, মুমিনুল হক, আব্দুর রাজ্জাকরা আছেন। এরসঙ্গে বিদেশীদের মধ্যে শহীদ আফ্রিদি, রবি বোপারা, অজন্থা মেন্ডিস, সোহেল তানভির আছেন। বিদেশীদের দিয়ে বাজিমাত করতে পারে সিলেট। দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিমুল ইসলাম যেমন বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের দেশী ও বিদেশী ক্রিকেটার দুইদিকই শক্তিশালী। একটা ব্যালান্স আছে। এ দল নিয়ে আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলব।’
×