ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুই মোহামেডানের লড়াই

কলকাতাকে হারাল ঢাকা

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

কলকাতাকে হারাল ঢাকা

রুমেল খান, চট্টগ্রাম থেকে ॥ শেষ চারে নাম লেখানোর জন্য ঢাকা মোহামেডানের দরকার ছিল কমপক্ষে ড্র। কিন্তু ড্র আর করা হলো না। না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ‘ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট’রা হারেনি! তারা জিতেছে ২-১ গোলে। হারিয়েছে কলকাতা মোহামেডানকে। কলকাতার সেমিতে যাওয়ার জন্য জয় ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না। এ জয়ে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উন্নীত হলো ঢাকা মোহামেডান। ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানটি তাদের (১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে গ্রুপসেরা আফগানিস্তানের বাজান ক্লাব)। পক্ষান্তরে ৩ ম্যাচে ২ হার ও ১ ড্রতে ১ পয়েন্ট কলকাতার। অবস্থান চার দলের মধ্যে চতুর্থ। আগামী ২৮ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ঢাকা মোহামেডান মুখোমুখি হবে ভারতের কিংফিশার ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের। এই টুর্নামেন্টে দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল। শ্রীলঙ্কার সলিড স্পোর্টস ক্লাবের কাছে ২-১ গোলে হারে ‘ব্ল্যাক প্যান্থার্স’ খ্যাত কলকাতা মোহামেডান। আর আফগানিস্তানের ডি স্পিন ঘার বাজান ফুটবল ক্লাবের কাছে ১-০ গোলে পরাভূত হয় ‘ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট’ খ্যাত ঢাকা মোহামেডান। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ঢাকা মোহামেডান সলিডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। কলকাতা মোহামেডান ৩-৩ গোলে বাজান ক্লাবের সঙ্গে ড্র করে। রবিবারের ম্যাচে ১৮ মিনিটে ফয়সাল মাহমুদের কর্নার থেকে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড পিটার আকিনওয়েলের হেডে এগিয়ে যায় ঢাকা মোহামেডান। ৪৪ মিনিটে মিন্টু শেখের হাস্যকর ভুলে সমতায় ফেরে কলকাতা মোহামেডান। কাজেম আমোবির গোলে সমতায় ফেরে তারা। ইনজুরি সময়ে (৯০+৩) গোলরক্ষকের ভুলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঘটে কলকাতা মোহামেডানের। সতীর্থ এক ডিফেন্ডারের ব্যাক পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফিরতি পাস দিতে চেয়েছিলেন ফারুক। কিন্তু সামনে পিটার বল কেড়ে নিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। ম্যাচ শেষে কলকাতা মোহামেডানের কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা ছিল আমাদের জন্য ডু আর ডাই ম্যাচ। ম্যাচের শেষদিকে যেভাবে সুইসাইডাল গোল খেয়েছি তাতে আর কামব্যাক করার কোন সুযোগই ছিল না। আমি বজ্রাহত। কিছু বলার নেই। দুঃখিত। শুধু বলব ছেলেদের মনোসংযোগের ঘাটতি ছিল। এছাড়াও ছিল ম্যাচুরিটি ও অভিজ্ঞতার অভাব। অথচ আমাদের প্রস্তুতি ছিল জয়ের!’ হতাশা প্রকাশ করে সুব্রত ভট্টাটার্য আরও যোগ করেন, ‘আমরা এখন যে পর্যায়ে চলছি, এই পর্যায়ে কোচ কিছু শেখাতে পারে না। শুধু মেন্টর হতে পারে।’ মোহামেডানের কোচ জসিম উদ্দিন জোসি বলেন, ‘আজ আমি অত্যন্ত খুশি ও গর্বিত। গোল উপহার দিয়ে গোল উপহার পেয়েছি!’ দলের সাত খেলোয়াড় বিভিন্ন কারণে অসুস্থ। ‘ইব্রাহিম ও জীবন খেলেছে জ্বর নিয়ে। হাফ টাইমে ইব্রাহিম ড্রেসিং রুমে বমিও করেছে।’ জোসির মন্তব্য। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ড্র নয়, আমরা খেলেছি জয়ের লক্ষ্য নিয়েই। কলকাতার দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলে আমাদের দেশের দুটি ক্লাবই সেমিতে উঠেছে, এটা নিঃসন্দেহে দ্বিগুণ খুশির সংবাদ!’ ম্যাচের আগে কলকাতা মোহামেডান সম্পর্কে জোসি বলেছিলেন, ‘ওরা শক্তিশালী দল। তবে আমার ছেলেরাও কিন্তু ঘুমন্ত বাঘ। জাগ্রত হলে ওদের খবর আছে!’ তাঁর কথাকে ঠিকই কাজে পরিণত করল পিটাররা।
×