ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শাকের গ্রাম জালকুঁড়ি নাম

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৪ অক্টোবর ২০১৫

শাকের গ্রাম জালকুঁড়ি  নাম

গ্রামের নাম জালকুঁড়ি। এ গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকে শাক-সবজির আবাদ হয়ে আসছে। অনেকেই জালকুঁড়ি গ্রামকে শাক-সবজির গ্রাম নামেও চেনে। গ্রামটি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোড ও নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। জালকুঁড়ি গ্রামের উৎপাদিত শাক-সবজি রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের শহরের মানুষের চাহিদা পূরণ করছে। শাক-সবজি এখানকার কৃষকের প্রধান শস্য। জালকুঁড়ি গ্রামে সাধারণত লাল শাক, পুঁই শাক, পালং শাক, লাউ শাক, বুত্তা শাক, ধারা শাক, মুলা শাক, পাট শাক, কচু শাক ও কলমি শাক আবাদ হয়। শাক-সবজির আবাদ করে গ্রামের অনেকেই এখন স্বাবলম্বী। নিজের জমি না থাকলেও অনেকে অন্যের জমি বর্গা চাষে শাক-সবজির আবাদ করে। কৃষকদের অভিযোগ, পানির দু®প্রাপ্যতা, ভাল বীজের অভাব, সময়মতো সার না পাওয়ায় তাদের সমস্যায় পড়তে হয়। সোহাগ প্রায় পনেরো বছর ধরে শাক-সবজির আবাদ করছেন। পনেরো শতাংশ জমিতে এখন পাট শাক বুনেছেন। লাল শাক, পুঁই শাক, মুলা শাকও বুনেছেন। তবে এ বর্ষা মৌসুমে সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে থাকায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। তিন-চার মাস বেকার ছিলেন। বছরে ৪/৫ দফা বিভিন্ন ধরনের শাক বুনতে পারেন। ৭/৮ বারও শাক বোনা যায়। তবে বর্তমানে সার ও বীজের দাম বেশি। এখন লাভও কম হচ্ছে। তিনি জানান, পাইকাররা তাদের সবজি ক্ষেত চুক্তিতে কেনে। -মোঃ খলিলুর রহমান সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ থেকে
×