ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আবাদের নাম সবুজ সোনা ঘরে ঘরে কর্মযজ্ঞ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৪ অক্টোবর ২০১৫

আবাদের নাম সবুজ  সোনা ঘরে ঘরে কর্মযজ্ঞ

সবজিভা-ার খ্যাত ডুমুরিয়ায় শীতকালীন সবজি চাষের ধুম পড়েছে। এ উপজেলার হাজার হাজার কৃষক গড়ে তুলেছেন নানা ধরনের সবজি। এদের অনেকেই বংশপরম্পরায় সবজি চাষের সঙ্গে যুক্ত। সমতল জমি, ভিটে, মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধ সর্বত্রই হচ্ছে সবজি চাষ। চাষীরা এ কাজে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ যতটা পাচ্ছে তার অধিক বাস্তব জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মাটিতে লুকিয়ে থাকা রতœ ‘সবুজ সোনা’ ঘরে তুলে আনছে। সবজি চাষ করে বহু কৃষকের পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা। ডুমুরিয়ার বিভিন্ন পল্লীতে এখন শীতকালীন সবজি চাষের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। ইতোমধ্যে এই এলাকায় উৎপাদিত শিম বাজারে আসতে শুরু করেছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে এখান থেকে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি বাজারে আসতে শুরু করবে বলে চাষীরা জানিয়েছে। খুলনা জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ডুমুরিয়া। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কটি এই ডুমুরিয়ার বুক চিরে চলে গেছে। ডুমুরিয়া সদরের আগে গুটুদিয়া থেকে শুরু করে চুকনগর ছাড়িয়ে অনেক দূর পর্যন্ত এই সড়কের দুই পাশে, ভেতরের দিকের পল্লীতে রয়েছে শত শত সবজি ক্ষেত। ‘সাদা সোনা’ চিংড়ি ও ‘সোনালী’ ধানের পাশাপাশি ‘সবুজ সোনা’ সবজি চাষের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে খুলনার এ উপজেলায়। ১৪টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ডুমুরিয়া উপজেলাতে প্রায় সারা বছরই সবজি চাষ হয়ে থাকে। তবে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন সবজি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সবজি চাষ ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ায় ডুমুরিয়ার এক খ- উঁচু জমিও এখন আর পতিত থাকে না। মাছের ঘেরের বাঁধ বা আইলেও উৎপাদিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ সবজি। প্রতিটি ক্ষেতে বছরে অন্তত দুই থেকে চার দফায় ভিন্ন ভিন্ন সবজি চাষ করা হয়। ডুমুরিয়ায় উৎপাদিত সবজি এ অঞ্চলের চাহিদা মিটানো ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। খর্ণিয়া, কাঁঠালতলা, চুকনগর, আঠারমাইল প্রভৃতি স্থান থেকে পাইকারি ক্রেতারা সবজি কিনে ট্রাকে চড়িয়ে রাজধানী নিয়ে যায়। খুলনা জেলায় যে পরিমাণ জমিতে সবজি চাষ হয় তার সিংহভাগ হয় ডুমুরিয়ায়। এ উপজেলায় এবার চার হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষামাত্রা রয়েছে। -অমল সাহা, খুলনা থেকে
×