ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর

লালমোহন আ’ লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ আহত ১৫

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৪ অক্টোবর ২০১৫

লালমোহন আ’ লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২৩ অক্টোবর ॥ ভোলার লালমোহন উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ধলিগৌর নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করা হয়। সেই সঙ্গে ভাংচুর করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং স্থানীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ছবি, টেলিভিশন, আসবাবপত্র ও দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবারও ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে লালমোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের মঙ্গলসিকদার বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু গ্রুপ ও হুমায়ুন মৃধা গ্রুপের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী আসিফকে মারধর করে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ গ্রুপ। এ ঘটনায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন মৃধা গ্রুপের ইউনিয়ন (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি মান্নান মৃধার সঙ্গে তাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপ বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টুর ভাই যুবলীগের সভাপতি আলমগীরের কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মিন্টু গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষ হুমায়ুন মৃধা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস ও নুরুন্নবী ফাউন্ডেশনের অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয় ও স্থানীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ছবিসহ অফিসের টিভি, আসবাবপত্র, ২টি মোটরসাইকেল ও পার্শ্ববর্তী সামছুদ্দিন মাঝির ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর করে। ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি মান্নান মৃধা সাংবাদিকদের জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মিন্টু চেয়ারম্যান নেতৃত্বে তার ভাই আলমগীর, জাহাঙ্গীর, নুরুন্নবী, আহাদ, সামছুদ্দিন, মান্নু দালালসহ ৪০Ñ৫০ জন আমাদের অফিসে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, সজিব ওয়াজেদ জয় ও এমপির ছবিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। আমাদের লোকজনের ওপর এলোপাতাড়িভাবে হামলা করে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
×