ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল;###;একই গ্রুপে ঢাকা ও কলকাতা মোহামেডান এবং চট্টগ্রাম ও ঢাকা আবাহনী, চট্টগ্রামে টুর্নামেন্ট শুরু ২০ অক্টোবর

লোগো উন্মোচন ও গ্রুপিং ড্র

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

লোগো উন্মোচন ও গ্রুপিং ড্র

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আগামী ২০-৩০ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল টুর্নামেন্ট ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ।’ সোমবার ঢাকার স্থানীয় হোটেলে হয়ে গেলো এই টুর্নামেন্টের ড্র ও লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠান। এতে বাংলাদেশের ও ভারতের মোহামেডান এবং বাংলাদেশের দুই আবাহনী পড়েছে এই গ্রুপে! ‘এ’ গ্রুপে আছে ঢাকা মোহামেডান, কলকাতা মোহামেডান, আফগানিস্তানের ডি স্পিঙ্ঘার বাজান ক্লাব এবং শ্রীলঙ্কার সলিড এসসি। ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে ঢাকা আবাহনী, চট্টগ্রাম আবাহনী, পাকিস্তানের করাচী ইলেকট্রিক ফুটবল ক্লাব এবং ভারতের কিংফিশার ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব। গ্রুপ পর্বে প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পয়েন্টধারী চারটি দল সরাসরি সেমিফাইনালে খেলবে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৩০ অক্টোবর। উদ্বোধনী দিনে মোকাবেলা করবে ঢাকা মোহামেডান-সলিড এসসি এবং কলকাতা মোহামেডান-বাজান ক্লাব। টুর্নামেন্টের খেলার তারিখ ও সময় পরে জানাবে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের উপস্থিতিতে ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে এই ড্র ও লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সহ-সভাপতি বাদল রায়, চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের মহাসচিব এবং বাফুফের সদস্য শামসুল হক চৌধুরী এমপি, এমএ লতিফ এমপি, চট্টগ্রাম আবাহনীর চীফ কো-অর্ডিনেটর এবং ক্লাবটির চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিনসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, ‘শেখ কামাল ছিলেন অত্যন্ত ক্রীড়া অনুরাগী একজন মানুষ। বঙ্গবন্ধু ছেলে হিসেবে ইচ্ছে করলে ওই সময় তিনি অনেক কিছুই করতে পারতেন। কিন্তু খেলাধুলার প্রতি তার অগাধ টান থাকাতেই গড়েছিলেন ঢাকা আবাহনী ক্রীড়া চক্র। আমি খুবই গর্বিত, তার নামেই কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। সব রকমের সহযোগিতা আমরা করব টুর্নামেন্টটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে।’ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২৫ হাজার ডলার। রানার্সআপ দল পাবে ১০ হাজার ডলার। অংশগ্রহণ ফি হিসেবে দেশী দল তিন পাঁচ লাখ টাকা। প্রতি ম্যাচে জয়ী দল পাবে এক হাজার ডলার। ম্যাচসেরা খেলোয়াড়েরও পুরস্কার থাকছে। এছাড়া স্টেডিয়ামে আগত দর্শকদের জন্য থাকছে মোটরসাইকেল পুরস্কার। বাংলাদেশের ফুটবলের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই ১৯৮৯ সালে, ঢাকায়। সেবার দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ক্লাবকে ফাইনালের টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ ‘লাল’ দল। দীর্ঘ ২৬ বছর পর চট্টগ্রামে এবার আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তেমনই একটি টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশের লীগ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে না। তবে যে ৩টি ক্লাব খেলবে তারা দেশের অন্য ক্লাবগুলো থেকেও ফুটবলার নিতে পারবে। চট্টগ্রাম আবাহনী ইতোমধ্যেই শেখ রাসেল থেকে ১৩ ফুটবলার নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
×