ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হাওড়ের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছি ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

হাওড়ের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছি ॥ রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১২ অক্টোবর ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘ভোটে নির্বাচিত হয়ে এমপি, ডেপুটি স্পীকার, স্পীকার ও রাষ্ট্রপতি হয়েছি। ক্ষমতায় থেকে কখনও অর্থনৈতিক উন্নতির চেষ্টা করিনি। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় আন্তর্জাতিকভাবেও প্রশংসা পেয়েছি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২ বছর ৭ মাসের অধিক সময় দায়িত্ব পালন করায় বিভিন্ন বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার কারণে সহজে এ অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারি না। তবে দীর্ঘ সময় রাজনীতি করে হাওড়াঞ্চলের জীবনমান উন্নতকরণে কাজ করেছি। তিনি আরও বলেন, রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। জনপ্রতিনিধিদের রাষ্ট্র ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’ তিনি সোমবার বিকেলে জেলার হাওড় অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম উপজেলায় এক নাগরিক সমাবেশে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশের আহ্বায়ক ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রপতিপুত্র কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আফজাল হোসেন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস। এ সময় জেলা পরিষদের প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এমএ আফজল, জেলা বারের সভাপতি ও পিপি শাহ আজিজুলসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হাওড়ের জীবনযাত্রা সম্পর্কে বলেন, হাওড়াঞ্চলে এক সময় মানুষ মারা গেলে পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হতো। জীবনমান উন্নত হওয়ায় এখন আর এমনটি হচ্ছে না। ১৯৭৪ সালের বন্যায় এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে উঁচু জায়গায় লঙ্গরখানা খুলে এখানকার মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করবে। এ জন্য হাওড় উপজেলা মিঠামইন ও নিকলীর মধ্যবর্তী স্থানে শীঘ্রই একটি ক্যান্টনমেন্ট করা হচ্ছে।
×