ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার খসড়া হাতে হাতকড়া, পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি নেই

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১১ অক্টোবর ২০১৫

একুশ শতক ॥ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার খসড়া হাতে হাতকড়া, পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি নেই

জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আমি ৫টি পর্ব এর আগে পেশ করেছি। প্রকৃতপক্ষে নীতিমালাটির পুরোটাই তাতে তুলে ধরা হয়েছে। এ ধরনের নীতিমালা যাতে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে তার জন্য এর বিস্তারিত আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। আমি সেই কাজটিই করেছি। অনেকে এই নীতিমালাটি সম্পর্কে যাতে নিজেদের মতামত দিতে পারেন সেজন্যও এই ধারাবাহিক নিবন্ধটি লেখা হয়েছে। এটি এই বিষয়ক শেষ পর্ব। ॥ ছয় ॥ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার মোট ছয়টি অধ্যায়ের পাঁচটিতেই নানা প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে যাতে কি করা যাবে এবং কি করা যাবে না সেইসব বিষয় আলোচিত হয়েছে। ইতিপূর্বে সেইসব প্রসঙ্গ আমি আলোচনা করেছি। তবে ষষ্ঠ অধ্যায়টিতে রয়েছে কমিশনের বিষয়। আমরা মূল খসড়ায় এই নীতিমালার বাস্তবায়নের কেন্দ্র হিসেবে একটি অনলাইন গণমাধ্যম কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় যে চূড়ান্ত খসড়াটি প্রকাশ করেছে তাতে অনলাইন গণমাধ্যম কমিশনের বদলে সম্প্রচার কমিশনের কথা বলা হয়েছে। আমি ঠিক জানি না এটি কিভাবে সমন্বিত হবে। দুটি নীতিমালায় যেসব প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে তা হুবহু এক নয়। সম্প্রচার নীতিমালার অনেক বিষয় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। অনলাইন নীতিমালায় সেইসব সমালোচনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমি জানি না একই কমিশন দুটি নীতিমালার পরস্পরবিরোধী অংশগুলোকে কিভাবে সমন্বয় করবে। যাহোক, আমি মূল খসড়া যেটি আমরা প্রস্তাব করেছিলাম সেটিরই উল্লেখ করছি। অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ে অনলাইন গণমাধ্যম কমিশন সম্পর্কে বলা হয়েছে। এর ৬.১ ধারায় অনলাইন গণমাধ্যম কমিশন গঠন সম্পর্কে বলা হয়েছে। ৬.১.১ ধারায় বলা হয়েছে; অনলাইন গণমাধ্যমের লাইসেন্স প্রদান, গুণগত মান নিশ্চিতকরণ সম্প্রচারে অন্যায্য (ঁহলঁংঃ) ও অনুচিত (ঁহভধরৎ) বিষয়াদি পরিহারকরণ এবং গোপনীয়তা ক্ষুণœ করে (ঁহধিৎৎধহঃবফ রহভরৎহমবসবহঃ ড়ভ ঢ়ৎরাধপু) এমন বিষয়াদি পরিহারের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ এবং পরিবীক্ষণের জন্য একটি অনলাইন গণমাধ্যম কমিশন গঠিত হবে; ৬.১.২ ধারায় কমিশনের কার্যাবলী বিষয়ে বলা হয়েছে; অনলাইন গণমাধ্যম কমিশন প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত তথ্য-উপাত্ত এবং বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত মান সম্পর্কে জনগণের অভিযোগ গ্রহণ এবং তা নিষ্পত্তিকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন; ৬.১.৩ ধারায় বলা হয়; এই কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে; ৬.১.৪ ধারায় বলা হয়েছে; এই কমিশনে একজন চেয়ারম্যান এবং প্রয়োজনীয়সংখ্যক সদস্য থাকবে; ৬.১.৫ ধারায় বলা হয়েছে; চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত একটি অনুসন্ধান কমিটি (ঝবধৎপয ঈড়সসরঃঃবব) দ্বারা নির্বাচিত হবেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। অনুসন্ধান কমিটি অংশীজনদের (ঝঃধশবযড়ষফবৎ) প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে যার মধ্যে থাকবে নারী একটিভিস্ট, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বাক-স্বাধীনতা (ঋৎববফড়স ড়ভ ঊীঢ়ৎবংংরড়হ) বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও আইনজ্ঞ। ৬.১.৬ ধারায় বলা হয়েছে; কমিশন নিম্নবর্ণিত দায়িত্ব পালন করবে: ১. অনলাইন গণমাধ্যম কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নিয়মাবলী (ঈড়ফব) যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তা ধারাবাহিকভাবে মনিটর করবে; ২. অনলাইন গণমাধ্যম কমিশন সকল গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে প্রকাশিত বা প্রচারিত অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্পর্কিত সাপ্তাহিক/ পাক্ষিক/ মাসিক/ বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ করে তা তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট পেশ করবে; ৩. অনলাইন গণমাধ্যম কমিশন প্রয়োজন মনে করলে যে কোন অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে পারবে; ৪. এ কমিশন কোন অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্প্রচারের অনুপযোগী ও নীতিমালার পরিপন্থী মনে করলে সংশ্লিষ্ট অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিতে পারবে এবং এতদসংক্রান্ত প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করবে; ৫. অনলাইন গণমাধ্যম কমিশন নীতিমালার পরিপন্থী কার্যক্রম গ্রহণ এবং দেশের বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বা স্বপ্রণোদিতভাবে যে কোন অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করতে পারবে; ৬. কমিশন আইনের বাস্তবায়ন বা পরিবর্তনের জন্য বা পরিবর্ধনের জন্য, নীতিমালা প্রণয়ন এবং পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের (ঝঃধশবযড়ষফবৎ) পরামর্শ গ্রহণ করবে। ৬.২ ধারায় অনুসরণীয় নিয়মাবলী (ঈড়ফব ড়ভ এঁরফধহপব) সম্পর্কে বলা হয়েছে। ৬.২.১ ধারা এ রকম; অনলাইন গণমাধ্যম কমিশন অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের জন্য একটি অনুসরণীয় নিয়মাবলী (ঈড়ফব ড়ভ এঁরফধহপব) তৈরি করবে এবং সময়ে সময়ে অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করবে। এ নিয়মাবলী প্রণয়নের ক্ষেত্রে কমিশন নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ নিশ্চিত করবে: (ক) প্রচারিত, প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে অন্যায্য (ঁহলঁংঃ) এবং অনুচিত (ঁহভধরৎ) বিষয়সমূহ পরিবীক্ষণ; (খ) অযৌক্তিক/ অসমর্থিতভাবে গোপনীয়তা ক্ষুণœ করে (ঁহধিৎৎধহঃবফ রহভৎরহমবসবহঃ ড়ভ ঢ়ৎরাধপু) এমন বিষয়াদি পরিহার; (গ) প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট ঈযধৎঃবৎ ড়ভ উঁঃরবং, তথ্য উন্মুক্তকরণ নীতিমালা (উরংপষড়ংঁৎব চড়ষরপু) ও সম্পাদকীয় নীতিমালা অনুসরণ নিশ্চিতকরণ। ৬.৩ ধারায় অভিযোগ ও নিষ্পত্তির কথা বলা হয়েছে। ৬.৩.১ ধারায় বলা হয়েছে; যে কোন প্রতিষ্ঠানের কোন তথ্য-উপাত্ত যদি কোন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের অধিকার ক্ষুণœ করে তাহলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনলাইন গণমাধ্যম কমিশনের নিকট তথ্য উপাত্ত প্রকাশের বা অনুষ্ঠান প্রচারের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অভিযোগ দাখিল করতে পারবে; ৬.৩.২ ধারায় আছে; অনলাইন গণমাধ্যম কমিশনপ্রাপ্ত অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করে ও উভয় পক্ষের শুনানি করে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সরকারের নিকট প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে; ৬.৩.৩ ধারায় বলা হয়েছে; অভিযোগ প্রমাণিত হলে সরকার আইন/বিধি দ্বারা নির্ধারিত শাস্তির বিধান করতে পারবে। নীতিমালাটির শেষ অধ্যায়ে এর হালনাগাদ করার বিবরণ দেয়া হয়েছে। এতে বলা আছে; এই নীতিমালা যে কোন সময়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়ে হালনাগাদ করা যাবে। প্রয়োজনে প্রাসঙ্গিক নীতিমালার সঙ্গে এই নীতিমালা সংযুক্ত হতে পারবে। খসড়া নীতিমালাটি এরই মাঝে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির কাছে পেশ করা হয়েছে। কমিটি সেটি পর্যালোচনা করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিও এর পর্যালোচনা শেষ করেছে। পরবর্তীতে নীতিমালাটি ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয় এবং এর ওপর মতামতও নেয়া হয়। আমরা এখন ঠিক জানিনা যে নীতিমালাটি কোথায় কি অবস্থায় রয়েছে। জনগণের মতামতের প্রেক্ষিতে তার কোন পরিবর্তন হয়েছে কিনা সেটিও আমরা জানি না। আমি নিজে নীতিমালা প্রণয়নের অতিরিক্ত সচিব কমিটি পর্যন্ত যুক্ত ছিলাম। সেই আলোকেই এই আলোচনাটি করেছি। আলোচনাটির শেষ প্রান্তে এসে মনে হচ্ছে এটির অনুমোদন নিয়ে আর বিলম্ব করা ঠিক হবে না। ২০১২ সাল থেকে ৩ বছরেরও বেশি সময় নিয়ে এই একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করা হচ্ছে। আমার নিজের বিবেচনায় এটি নিয়ে অংশীজনসহ সর্বস্তরের মানুষেরা ব্যাপকভিত্তিক আলোচনা করেছে। বনপা এবং বোমা নামের দুটি সংগঠন এই নীতিমালা নিয়ে অনেক সেমিনারও করেছে। এমনকি অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদকেরাও নীতিমালাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাদের মতামতের বিস্তারিত বিবরণ এরই মাঝে মন্ত্রণালয়ে জমা হয়ে আছে। এখন সামনে যাবার সময়। তবে আমি সর্বশেষ যে খসড়াটি দেখেছি তাতে একটি জটিলতা চরম আকার ধারণ করবে বলে মনে হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব সাহেব যে খসড়াটি আমাকে দিয়ে সই করিয়েছেন তাতে এই নীতিমালার জন্য সম্প্রচার কমিশনকেই দায়িত্ব দেবার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় সম্প্রচার কমিশন আইন সম্প্রচার গণমাধ্যমের জন্যই প্রণীত হচ্ছে। মন্ত্রণালয় এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না যে তারা একটি কমিশনকে দিয়েই সম্প্রচার ও অনলাইন দুই ধরনের গণমাধ্যমকে সমন্বয় করবে না দুটি আলাদা কমিশন গঠন করবে। আমি বহুদিন ধরেই বলে আসছি যে গণমাধ্যমের জন্য অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত। কাগজ-সম্প্রচার ও অনলাইন এই তিন ধরনের গণমাধ্যমের জন্যই একটি নীতিমালা থাকা উচিত। প্রযুক্তি ও প্রকাশমাধ্যম আলাদা বলে আলাদা আলাদা নীতিমালা থাকার প্রয়োজন নেই। প্রযুক্তির বিষয়টিকে নিরপেক্ষ অবস্থানে রেখে নীতিমালা প্রণীত হওয়া উচিত। বস্তুত যে কাজটি আমি কাগজের পত্রিকায় করতে পারি না সেটি সম্প্রচার বা অনলাইন কোথাও করতে পারি না। বর্তমানে দেশে অদ্ভুত আইন বিরাজ করে। আপনি যদি কাগজের পত্রিকায় কারও মানহানি করেন তবে আপনি অতি সাধারণ সাজা ভোগ করবেন। কিন্তু সেটি যদি অনলাইনে করেন তবে সাজা হবে কমপক্ষে ৭ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর। এমন বৈপরীত্য আছে সকল ক্ষেত্রেই। যেমন ধরা যায় গণমাধ্যমের সরকারী অনুমতির বিষয়টি। কাগজের পত্রিকা প্রকাশ করার জন্য জেলা প্রশাসকের ডিক্লারেশন দরকার। সম্প্রচারের জন্য লাইসেন্স দরকার। অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য কিছুই দরকার নেই। বারবার এইসব বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরও সরকার অভিন্ন গণমাধ্যম নীতিমালার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। অনলাইন গণমাধ্যমের অবস্থাটি অত্যন্ত নাজুক। এসব গণমাধ্যমের না আছে স্বীকৃতি না আছে অনুমতি। লাগামহীনতার জালে বন্দী এসব গণমাধ্যমকে অবিলম্বে নিবন্ধনের আওতায় আনা উচিত। আমি বহুবার প্রস্তাব করেছি যে, সর্বশেষ যে খসড়াটি মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছে তার আলোকে অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধিত করার কাজটি শুরু করা খুবই জরুরী বলে আমি মনে করি। যখন কমিশন তার দায়িত্ব নেবে তখন কমিশনই সেই দায়িত্ব পালন করবে কিন্তু এখন অবাধে অনলাইন গণমাধ্যমের জন্ম নেয়া ও আগাছা-পরগাছার মতো একে বাড়তে দেয়া ঠিক নয়। অন্যদিকে যেমন করে সম্প্রচার গণমাধ্যম নীতিমালার সঙ্গে কর্ম পরিকল্পনা যুক্ত হয়নি তেমনি অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার কর্ম পরিকল্পনাও তৈরি করা হযনি। এটি বস্তুত উভয় নীতিমালার অপূর্ণতা। আমি মনে অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা চূড়ান্ত করার আগেই এর কর্ম পরিকল্পনাটিও চূড়ান্ত করা হবে। ঢাকা, ৯ অক্টোবর, ২০১৫ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ ই-মেইল : [email protected] ওয়েবপেজ :ww w.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×