ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা ও রাজশাহী থেকে ১৫ লাখ জাল টাকা জব্দ ॥ আটক ৩

প্রকাশিত: ০৮:০৮, ১০ অক্টোবর ২০১৫

ঢাকা ও রাজশাহী থেকে ১৫ লাখ জাল টাকা জব্দ ॥ আটক ৩

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী ও রাজশাহীতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক অভিযানে ১৫ লাখ জাল টাকাসহ ৩ জন এবং কাওরান বাজারের ৪টি আড়ত থেকে ভেজাল ও বিক্রি নিষিদ্ধ ১৩শ’ কেজি মাছ জব্দসহ ৮ জনকে জেল জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডিবির পূর্ব বিভাগের উপকমিশনার মোঃ মাহবুব আলমের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপকমিশনার খন্দকার নুরুন্নবীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মতিঝিল জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবদুস সবুরের নেতৃত্বে ঢাকা ও রাজশাহীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টন থানার গুলিস্তান থেকে দরুদুজ্জামান ওরফে জামাল বিশ্বাস নামে একজনকে ১০ লাখ জাল টাকাসহ গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তার তথ্যমতে, রাজশাহী থেকে মোঃ রুবেল ইসলাম ও মোঃ সেলিম রেজা ওরফে নবীকে ৫ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় জাল টাকার ব্যবসা করত। এদিকে র‌্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত শুক্রবার সকাল ৬টায় রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কাওরানবাজার এলাকায় অভিযানে নামে। এ সময় জনতা, সোনার বাংলা ও সাতক্ষীরা মৎস্য আড়তে অভিযান চালিয়ে ৬শ’ কেজি ভেজাল গলদা চিংড়ি জব্দ করা হয়। আটক করা হয় ৬ জনকে। আটককৃতরা জানায়, ঢাকায় গলদা চিংড়ির চাহিদা বেশি। এজন্য তারা বেশি লাভের আশায় সুমদ্র তীরবর্তী অঞ্চল চাঁদপুর, সাতক্ষীরা, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা ও বরিশাল থেকে এসব মাছ সংগ্রহ করে। বেশি লাভের জন্য ওজন বাড়াতে মাছে জেলি, সাদা লোহা, সাগু ও পানি ছাড়াও বিভিন্ন ইনজেকশন দিয়ে থাকে। এসব মাছ মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন উপেন মল্লিক (৩৫), আবদুর রহিম (৩৫), সাইফুল (২৮), অসীম হালদার (৩০) প্রত্যেককে ২ মাসের এবং মোঃ জিয়া (২৮) ও ইমদাদুল (২৪) প্রত্যেককে ১ মাসের কারাদ- প্রদান করেন। এছাড়া কাওরান বাজারের মুক্তিযোদ্ধা মৎস্য আড়তে অভিযান চালিয়ে বিক্রি নিষিদ্ধ ৭শ’ কেজি আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ করা হয়। আফ্রিকান মাগুর মাছ চাষ, বিক্রয় ও মজুদ রাখার অপরাধে নটো গোপাল (৩০) ও সানাউল্লাহ (২৪) প্রত্যেককে ১ বছরের কারাদ- প্রদান করেন। অভিযানটি র‌্যাব-২ এর উপপরিচালক ড. মোঃ দিদারুল আলমের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত হয়। অভিযানকালে মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তা মোঃ নাজিম উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। জব্দকৃত চিংড়ি ও আফ্রিকান মাগুর মাছ মৎস্য অধিদফতরের সহায়তায় এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।
×