ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডেঙ্গু আক্রান্ত মাশরাফি দ্রুতই সুস্থ হচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১০ অক্টোবর ২০১৫

ডেঙ্গু আক্রান্ত মাশরাফি দ্রুতই সুস্থ  হচ্ছেন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ দেড় বছর পর আবারও দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ফিরতে চেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বারবার ইনজুরির কারণে ফিটনেস সমস্যার কারণে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ও টেস্ট থেকে দূরে ছিলেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাতি পাওয়া এ পেসার। অধিনায়ক হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশের হয়ে নিয়মিত ওয়ানডে ও টি২০ খেললেও দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ফিরতে পারেননি। তবে শনিবার থেকে চলমান জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) তৃতীয় রাউন্ডে খুলনা বিভাগের হয়ে চারদিনের ম্যাচে ফেরার কথা ছিল মাশরাফির। কিন্তু তীব্র জ্বর নিয়ে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে তাকে ভর্তি করা হয় এ্যাপোলো হাসপাতালে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মাশরাফির রক্তে প্লেটলেট (অণুচক্রিকা) কমে গেছে। তবে ৫/৭ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি এমনটাই জানিয়েছেন দেবাশীষ। গত বছর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আসর বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের হয়ে সর্বশেষ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছিলেন মাশরাফি। এর আগেই সমাপ্ত এনসিএলেও খেলেন খুলনার হয়ে। সেটি ছিল তার দীর্ঘ ৫ বছরেরও বেশি সময় পর দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ফেরা। কিন্তু আবারও ফিটনেস সমস্যায় তাকে বিরতি দিতে হয়েছে। এবার এনসিএলের দুই রাউন্ড শেষ হয়ে গেলেও খেলেননি মাশরাফি। জাতীয় দলের আপাতত কোন খেলা না থাকায় শুধু অনুশীলন করার জন্যই মাঠে ছিলেন তিনি। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জুলাইয়ে কোন ম্যাচ খেলার পর থেকেই ক্রিকেটের বাইরে মাশরাফি। তাই তৃতীয় রাউন্ড থেকে ফিরতে চেয়েছিলেন এনসিএল দিয়ে। লক্ষ্য ছিল জাতীয় লীগের চারদিনের ম্যাচ খেলে অবস্থা বুঝে টেস্ট ক্রিকেটেও ফেরার। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন তিনি। ৩৬ টেস্ট খেলা ৩২ বছর বয়সী মাশরাফি এ বিষয়ে বলেছিলেন, ‘আমি এনসিএলের পরবর্তী রাউন্ড থেকে খুলনার হয়ে খেলব। তবে অবশ্যই টানা দুই ম্যাচ খেলতে চাই না। একটি বিরতি দিয়ে আরেকটি খেলতে চাই। আমার ফিটনেস এখন বেশ ভাল। সুতরাং খেলার সাহসটা পাচ্ছি। এমনকি আমি টেস্ট ক্রিকেট নিয়েও ভাবছি। এর আগে দেখতে চাই এনসিএলে আমি কেমন করতে পারি।’ মাশরাফির ইচ্ছাটা পূরণ হওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াল ডেঙ্গু জ্বর। শুক্রবার ঢাকা থেকে খুলনার পথে রওনা হওয়ার কথা ছিল। সেখানে রংপুর বিভাগের বিরুদ্ধে তার দল খুলনার হয়ে মাঠে নামারও কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো তাকে। এ বিষয়ে বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ বলেন, ‘মাশরাফি এখন হাসপাতালেই আছেন। তার রক্তে প্লেটলেট (অণুচক্রিকা) কমে গেছে। এটি কমে গেলে দুই ঘণ্টা পরপর পর্যবেক্ষণ করতে হয়। যতদিন পর্যন্ত অণুচক্রিকার পরিমাণ সঠিক জায়গায় না আসবে ততোদিন হাসপাতালেই থাকতে হবে। তবে সাধারণত এটি ৫ থেকে ৭ দিনেই ঠিক হয়ে যায়। যদি এর চেয়ে বেশি লাগে সেক্ষেত্রে আরও বেশিদিন থাকতে হবে হাসপাতালে।’ অর্থাৎ আপাতত আর মাঠে ফেরা হচ্ছে না। এক সপ্তাহ পরে ফিরলে পরবর্তী রাউন্ডেও হুট করে নেমে যাওয়া নিয়েও আছে শঙ্কা। সেক্ষেত্রে শেষ দুই রাউন্ডে হয়তো ফেরার সম্ভাবনা থাকবে মাশরাফির। সবকিছু নির্ভর করছে মাশরাফির সুস্থ হয়ে ওঠার ওপর।
×