ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নদী কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাপা’র

প্রকাশিত: ২৩:৩৮, ৮ অক্টোবর ২০১৫

নদী কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাপা’র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও নদী টাস্কফোর্স‘র বিরুদ্ধে নদী দখলদারের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগে এনেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। ২০০৯ সালে নদী রক্ষায় উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় ও পানি আইন-২০১৩ লঙ্ঘন করে সোনাই নদীর একাংশে ভবন নির্মাণকারী দখলদারদের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেওয়ার আনেন তারা। বৃহস্পতিবার ঢাকা রির্পোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১১ সালে হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌর প্রশাসনের সহায়তায় সোনাই নদীতে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ করে নদীর এক বিশাল অংশ সায়হাম ফউচার কমেপ্লেক্স নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। যা বন্দর বিধি-১৯৬৬, ভূমি ব্যবস্থাপনা নির্দেশনা-১৯৯১, জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ ও পানি আইন-২০১৩ এর সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সব আইন ও যুক্তি অগ্রাহ্য করে সায়হাম ফউচার কমপ্লেক্সের পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বাপা এর প্রতিবাদ করলেও এ বছরের ২৯ মার্চ নদী টাস্কফোর্স তাদের ২৮তম সভায় সোনাই নদীর মধ্যে সায়হাম ফউচার কমপ্লেক্স নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তত্ত্বাবধয়াক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, দেশে আইন আছে, কিন্তু তা ভঙ্গ করা হচ্ছে। যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল সোনাই নদীর মধ্যে সায়হাম ফউচার কমপ্লেক্স নির্মাণের সিদ্ধান্তকে প্রতিহত করার, তারা তা করছে না। এতে সমাজে আইন অমান্যের সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে তা ভবিষ্যতের জন্য একটি বাজে উদাহরণ তৈরি করবে। ‘নিজেরা করি’ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক খুশী কবির বলেন, নদীর ওপর আমাদের কৃষি, জীব-বৈচিত্র্য ও জীবন-যাপন নির্ভর করে। নদীর স্বাভাবিক চলচলে বিঘ্ন ঘটালে তা আমাদের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ড. মতিন অভিযোগ করেন, প্রশাসনে নদী বিরোধী একটি অসৎ গোষ্ঠী আছে। এদের অপসারণ না করলে নদী রক্ষা করা যাবে না।
×