সিরীয় লড়াইকে নিয়ে উত্তেজনার মাত্রা চড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া এর ‘স্বেচ্ছাসেবী’ স্থলবাহিনী লড়াইয়ে যোগ দেবে বলে ঘোষণা করেছে। আর অন্তত একটি রুশ যুদ্ধবিমান তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘনের পর ন্যাটো ক্রেমলিনকে সতর্ক করে দিয়েছে। এদিকে সিরিয়ার আকাশে বহু দেশের বিমানের ভিড় জমেছে কারণ সেসব দেশের বিমানবাহিনী সিরীয় গৃহযুদ্ধে বিভিন্ন উদ্দেশে প্রায়ই কোন সমন্বয় ছাড়াই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আর তারা এখন অনভিপ্রেত সংঘর্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে হয়।রাশিয়ার স্থলবাহিনীর অংশগ্রহণ সিরীয় যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি আমূল বদলে দিতে পারে। ২০১১ সালে এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আড়াই লাখ লোক নিহত এবং দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সিরিয়ায় তার দেশের সৈন্য মোতায়েন করবেন না বলে ইতোপূর্বে জানান। কিন্তু তাঁর পার্লামেন্টস্থ শীর্ষ সামরিক লিয়াজোঁ এ্যাডমিরাল ভøাদিমির কোসোয়েদভ সোমবার তথাকথিত স্বেচ্ছাসেবকদের সিরীয় যুদ্ধে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এটিকে ২০১৪-এর মার্চে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল এবং পূর্ব ইউক্রেনের মস্কোপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তা করতে সৈন্যদের ব্যবহার করার বিষয়ে রাশিয়া গোপন কৌশলেরই অনুরূপ বলে মনে করা হয়।
অধিকন্তু আমেরিকার সামরিক কর্মকর্তারা বলেন যে, বিমান ক্রুদের বাদ দিয়েই ৬০০-এরও বেশি রুশ সামরিক কর্মী এরই মধ্যে সিরিয়ার রণক্ষেত্রে রয়েছে এবং তুর্কি সীমান্তের কাছে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় লাতাকিয়ার কাছে রুশ বিমান ঘাঁটিতে প্রায় ২ হাজারের লোকের জন্য তাঁবু নির্মাণ করতে দেখা গেছে। -নিউইয়র্ক টাইমস ও ইয়াহুনিউজ।
লিবিয়া উপকূল থেকে এক হাজার আট শ’ শরণার্থী উদ্ধার
লিবিয়া উপকূলের অদূরে ভূমধ্যসাগরে ভাসমান ছয়টি নৌযান থেকে সোমবার এক হাজার ৮শ’র বেশি শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর এএফপির।
ইতালির কোস্টগার্ড বলেছে, চারটি জীর্ণ নৌকা ও দুটি রাবারের ডিঙ্গি থেকে মোট ১ হাজার ৮৩০ শরণার্থীকে উদ্ধার করে তীরে আনা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে ইতালির তিনটি নৌযান এবং ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের একটি করে জাহাজ অংশ নেয়। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানায়, চলতি বছর পাঁচ লাখেরও বেশি অভিবাসন-প্রত্যাশী ও শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন তীরে এসে পৌঁছেছে।
ইউরোপের উদ্দেশে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রায় দুই হাজার ৯৮০ জন প্রাণ হারিয়েছে অথবা নিখোঁজ হয়েছে। লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেয়া বেশিরভাগ শরণার্থী আফ্রিকার নাগরিক।
একশ’ শরণার্থীর লাশ উদ্ধার ॥ ভূমধ্যসাগরে লিবিয়া উপকূলে গত রোববার থেকে প্রায় একশ’ শরণার্থীর মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্টের কাছ থেকে অনিশ্চিত কয়েকটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠন (আইওএম) মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।