ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মৎস্যজীবী পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৫ অক্টোবর ২০১৫

মৎস্যজীবী পুনর্বাসনে  ব্যবস্থা নেয়া হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ কোন প্রকার পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না রেখে ইলিশ ধরা বন্ধ রাখায় মুন্সীগঞ্জের মৎস্যজীবীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। অন্যান্য জেলায় সরকার জেলেদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলেও মুন্সীগঞ্জের জেলেদের সঙ্গে সরকারের দ্বৈতনীতি জেলেদর মাঝে আরও বেশি হতাশার সৃষ্টি করেছে। অনেক জেলে নদীতে ইলিশ ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে ধরা পড়ে জেল-জরিমানার শিকার হচ্ছেন। সরকার ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ সময়ে ইলিশ ধরতে না পেরে জেলে পরিবারগুলোর মধ্যে দেখা দিয়েছে অভাব আর অনটন। জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঈদের দিন হতে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সকাল নদ-নদীতে মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছুসংখ্যক জেলে নদীতে মাছ শিকার করে চলছে। আর ইলিশের প্রজননের এই সময়ে সরকারও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। নদী-নদীগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জেলেদেও গ্রেফতার করে দেয়া হচ্ছে জেল-জরিমানা। জেলা সিনিয়র সহকারী মৎস্য পরিচালক ড. মোঃ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের ৬টি উপজেলার মেঘনা ও পদ্মা নদী হতে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ১৩টি মোবাইল কোর্ট ও ৬৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অবৈধ কারেন্ট জাল ও মা ইলিশ ধরার অপরাধে ৮৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে লৌহজংয়ে ৫ জেলেকে এক বছর করে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বাকি ৭৮ জনকে জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. অলিউল রহমান জানালেন, কী কারণে মুন্সীগঞ্জের জেলেদর জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি তা আমার বোধগম্য নয়। আমি গত মাসের ১৭ তারিখে মুন্সীগঞ্জে যোগদান করেছি। বিষয়টি জানতে পেরেই আমি সরকারের কাছে এর সমস্যার কথা তুলে ধরে পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থার কথা বলেছি।
×