ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভুটানকে হারিয়ে পাল্লা ভারি করতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৪ অক্টোবর ২০১৫

ভুটানকে হারিয়ে পাল্লা ভারি করতে চায় বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লঙ্কান লায়ন্সদের বিপক্ষে জয় (২-০) কুড়িয়ে নিয়ে প্রত্যাশিত শুভসূচনাই করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এবার পরের প্রতিপক্ষকে বধ করা পালা। ‘এএফসি অনুর্ধ ১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর বাছাইপর্বে আজ স্বাগতিক বাংলাদেশ মোকাবেলা করবে ভুটান ফুটবল দলের। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যা ৬টায়। শুরুটা মন্দ হয়নি স্বাগতিক বাংলাদেশের। তবে এ আসরের চূড়ান্ত পর্বে যেতে হলে অন্তত সেরা পাঁচ গ্রুপ রানার্সআপ দলের একটি হতে হবে বাংলাদেশকে। তাই আজ ভুটানের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প দেখছেন না বাংলাদেশ দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু। সে জন্যই আজ দ্রুত গোল পেতে চান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে ছেলেরা জিতলেও বেশকিছু ভুল করেছে। কিন্তু আজ এমনটা করলে বিপদ হবে। বল হারানোর পর দ্রুত উদ্ধার করতে হবে। এই বিষয়টা তাদের মাথায় রাখতে হবে। ভুটানের এমন দু-একজন আছে যারা আমাদের এই ভুলের সুযোগটা কাজে লাগাতে পারে।’ টিটুর লক্ষ্য আপাতত ছয় পয়েন্ট সংগ্রহ করা। সাফল্য পেতে প্রথম ম্যাচের জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লক্ষ্য বাংলাদেশের। যদিও নিজেদের প্রথম ম্যাচে গ্রুপের শক্তিধর দল উজবেকিস্তানের কাছে ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে হেরেছে ভুটান। তবে ম্যাচের ৪০ মিনিট কিন্তু তারা উজবেকিস্তানের মতো শক্তিধর দলটিকে আটকে রেখেছিল। তাই আজকের ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশকে তারা ছেড়ে কথা কইবে না, টিটুর তা ভালমতোই জানা আছে। ম্যাচ ভিডিও দেখে কৌশলও নির্ধারণ করেছেন তিনি। ভুটান যুবদলে জাতীয় দলে খেলা দুই ফুটবলার আছে। টিটুর মতে, ‘উজবেকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচের চেয়েও আমাদের বিপক্ষে ওরা প্রেসিং ফুটবল খেলবে। তবে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বা ভুটান নয়, আমার চিন্তা নিজের দলকে নিয়ে। অবশ্যই বড় ব্যবধানে জয়ের আশা করি। তবে বাস্তবতাটাও মনে রাখতে হবে।’ দলের স্কোরিং সমস্যা নিয়ে টিটুর ভাষ্য, ‘স্কোরিং আমাদের অনেক পুরনো সমস্যা। জাতীয় দলেও এই সমস্যা আছে এবং এটা থেকেই যাচ্ছে। তবে এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠে খেলাটাই আসল। বেশি গোলের জন্য আমি ছেলেদের চাপ দেব না। বেশি গোলের চেয়ে দলের জয়টাই আমার কাছে আগে।’ ভুটানের কোচ চোকির প্রতিক্রিয়া এ রকম, ‘নিজেদের মাঠ, চেনা পরিবেশ, সমর্থক আর খেলোয়াড়Ñ সার্বিক দিক বিবেচনা করলে বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তবে আগামীকাল (আজ) আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করব। প্রথম ম্যাচে আমাদের বেশকিছু ভুল ছিল। তবে প্রথম ৪০ মিনিট আমরা ম্যাচ ধরে রাখতে পেরেছি। এরপর ছেলেরা যে ভুলগুলো করেছিল সেগুলো নিয়েও কাজ করেছি। দিনের প্রথম ৪০ মিনিট ছেলেরা যে খেলাটা খেলেছে সেটি ধরে রাখতে পারলেই আগামীকাল (আজ) ভাল কিছু করা সম্ভব।’ এই আসরে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ছয়বার অংশগ্রহণ করেছে। প্রথম ১৯৭৫ সালে, সর্বশেষ অংশগ্রহণ ২০০২ সালে। প্রতি আসরেই গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যতিক্রম ১৯৮০ সালে। সেবার অবশ্য পাঁচ দল লীগ পদ্ধতিতে খেলেছিল। সর্বোচ্চ ৪ ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। চার ম্যাচে দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করা বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পঞ্চম। বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোকে নিজেদের প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৯ জাতীয় দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু। দীর্ঘদিন তিনি পেয়েছেন প্রস্তুতি নেয়ার। প্রায় তিন মাস। বাংলাদেশ দল সাফ ও এএফসির টুর্নামেন্টগুলোতে এর আগেও খেলেছে। বর্তমান যুবদলটি বাফুফে ফুটবল একাডেমি ও অন্যান্য বয়সভিত্তিক পর্যায়ের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া হয়েছে। খুব বেশি অনুশীলন ম্যাচ খেলতে পারেনি দলটি, মাত্র একটা ম্যাচ (জাতীয় দলের বিপক্ষে) খেলেছে।
×