ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পেনশন সমর্পণকারীদের কথা বিবেচনা করুন

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ৩ অক্টোবর ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

সরকার ইতোমধ্যে সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি করেছে প্রায় দ্বিগুণ হারে এবং ১ জুলাই থেকে তা কার্যকরের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সরকারী চাকরিজীবীদের জন্য এটা আনন্দের বিষয়। কিন্তু সরকার অবসরপ্রাপ্তদের বিষয়ে যথেষ্ট সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করেছে বলে মনে হয় না। অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা সম্পূর্ণ পেনশন সমর্পণ করেছেন তারা কেবল চিকিৎসাভাতা ও বার্ষিক উৎসবভাতা পান। চিকিৎসাভাতা এবারই যৎসামান্য বৃদ্ধি করা হলেও পেনশন সমর্পণকারীদের উৎসবভাতা পেনশন গ্রহীতাদের মতো না হলেও অন্তত একটি সর্বনিম্ন বিবেচনাপ্রসূত পদ্ধতির মাধ্যমে হলেও বৃদ্ধি করা হয়নি। যে কারণে পেনশন সমর্পণকারীরা ১০-১৫ বছর পূর্বে নির্ধারিত ২/৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫/৭ হাজার টাকা উৎসবভাতা পান। যা বর্তমান বাজার দরে অত্যন্ত নগণ্য। আর অতীতে যারা পেনশন সমর্পণ করেছেন (বর্তমান নয়, কারণ বর্তমানে গ্র্যাচুয়েটির টাকার অঙ্ক যথেষ্ট হবে) তারা ঠেকায় পড়ে জরুরী প্রয়োজনেই সেটা করেছিলেন। তারা বর্তমানে বৃদ্ধ বয়সে অত্যন্ত কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের নিকট প্রার্থনাÑ সকল অবসরপ্রাপ্তের চিকিৎসাভাতা ৬০ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার এবং ৬০-এর উর্ধদের ৫ হাজার টাকা করা হোক এবং পেনশন সমর্পণকারীদের উৎসবভাতা বার্ষিক অন্তত ন্যূনতম শতকরা হারে বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হোক। মোঃ হাবিবুল ইসলাম আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম শিক্ষার মান বাড়বে কিভাবে? প্রকৃত শিক্ষা যেন জ্ঞান অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। আর জীবিকার মাধ্যম হোক কর্মমুখী শিক্ষা। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম হোক সৃজনশীল শিক্ষা। বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা হোক গবেষণামূলক। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকের অভাব প্রকট। এখানে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকতায় আসছে না। বেতন কাঠামো এ ক্ষেত্রে বড় বাধা। শিক্ষকরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বিএ এমএ পাস করার পর শিক্ষকতার বিষয়ে ট্রেনিং নিয়ে ১০-১৫ বছর চাকরির পর যে বেতন মেলে তা সরকারী অফিসের কেরানিদের চেয়ে বেশি হয় না। সঙ্গত কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে আকর্ষণ বোধ করে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টও বড় বাধা। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তাদের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্বে কমিটি দখল করায় মরিয়া হয়ে থাকে। সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকার স্কুল-কলেজকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করেন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজশিক্ষক নিয়োগ থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করেন। পিয়ন, দারোয়ান নিয়োগের সুপারিশও যায় এমপি সাহেবের কাছ থেকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সুপারিশ খালি হাতে হয় না। স্কুল-কলেজ ভবন নির্মাণের দায়িত্ব এখন সরকার নিজ হাতে তুলে নিয়েছে। তারা এ জন্য বরাদ্দ দেয়। ম্যানেজমেন্টে থাকা অনেকের জন্য এটাও এক উপার্জনের সুযোগ। তাদের আরও সুযোগ আছে। সরকার অনেক প্রতিষ্ঠানের বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল বানাতে বরাদ্দ দেয়, লাইব্রেরিতে বই দেয়। বিজ্ঞান গবেষণাগারের যন্ত্রপাতি ও কেমিক্যালস দেয়। সব কেনাকাটাতেই যে ভাগ বসানোর সুযোগ থাকে কয়জন এ সুযোগ হাত ছাড়া করতে চান? শিক্ষার মান বাড়ানোর প্রবল তাগিদ রয়েছে। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের কারণে সে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। অশোক কুমার সাহা কুমারখালী, কুষ্টিয়া সুন্দর চোখে দেখুন ‘গুম-অপহরণ-হত্যার প্রধান কারণ রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন’-এ অভিমত কারও কারও। সত্যিকার অর্থে যারা সুস্থ রাজনীতি করেন তারা সৎ-আদর্শবান-পরোপকারী রাজনীতিবিদ। তারা দেশ ও জাতিকে নিয়েই ভাবেন। তাদের মধ্যে রয়েছে অত্যধিক দেশপ্রেম। তাদের সংখ্যা এখনও নেহায়েত কম নয়। অতীতে যেমন ছিলেনÑ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী, মৌলানা শওকত আলী, মৌলানা মোহাম্মদ আলী, আবুল কালাম আজাদ, শেরে বাংলা এ, কে ফজলুল হক, সরোজিনী নাইড়ু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ। তবে আজকাল তেমন লেখাপড়া নেই, নকল করে এসএসসি, এইচএসসি পাস করে যারা বিভিন্ন দলে সুযোগ বুঝে ঢুকে পড়েন, এদের মধ্যে হাতেগোনা কতিপয় জনগণের ভোটে আবার কখনওবা এদিক-সেদিক করে জনপ্রতিনিধি বনে যান। এ ধরনের লোকজন কখনই রাজনীতিবিদ হতে পারেন না। কেননা, ওরা ‘রাজনীতি’ শব্দের অর্থ কী তাই তো বোঝে না। আবার এদেরই ভোট দেয় জনগণ, যে জন্য সৎ রাজনীতিবিদ ও আদর্শবানরা পরাজয়বরণ করেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে, এ দেশের শতকরা ৬০ ভাগ লোক না বুঝে ভোট দেন অপাত্রে। সেই সুযোগটা এখন নিয়েছে কতিপয় সন্ত্রাসী গডফাদার। এ প্রসঙ্গে বৃদ্ধ জানালেন, এও শুনি, গডফাদাররা নাকি মনে মনে হাসেন আর ভাবেন, ‘আমরা রাজনীতি শব্দের অর্থ কী (?) জানি না অথচ জনগণ ভোট দেয় আমাদের। ওরা খাঁটি সোনা চেনে না’। বৃদ্ধ ব্যক্তিটি আরও জানালেন, নির্বাচিত হলেই গডফাদার সন্ত্রাসীরা রাজনীতিবিদ বা রাজনৈতিক নেতা হতে পারেন না। রাজনীতি বিশাল ব্যাপার। রাজনীতি করতে হলে চাই লেখাপড়া। সৎ, আদর্শবান, পরোপকারী, দেশপ্রেম ইত্যাদি থাকা পূর্বশর্ত। তাহলে ‘রাজনীতি’ বা ‘রাজনৈতিক’ শব্দটিকে দুর্বৃত্তায়ন বলা অযৌক্তিক নয় কী? ‘রাজনীতি’ চলে রাজনীতির সঠিক পথে। সুতরাং ‘রাজনীতি’ শব্দটিকে সুন্দর ও ভাল চোখে দেখা উচিত। লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা। লজ্জাও বোধহয় আমাদের দেখে লজ্জা পায় লজ্জা শব্দটির সঙ্গে আমরা কে কতটুকু পরিচিত তা ঠিক জানি না। তবে লজ্জার কথা উঠলেই মাঝে মাঝে অনেকের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে লজ্জা! সেটা তো নারীর ভূষণ। বলার ভঙ্গি দেখে মনে হয়, পুরুষের লজ্জা থাকা উচিত নয়! তবে পুরুষের জন্য এ জাতীয় কোন শব্দটি নির্ধারিত তা এখন ঠিক করা আবশ্যক। লজ্জা শুধু নারীদের থাকবে কেন, বরং পুরুষের আরও বেশি থাকা উচিত। লজ্জা নিয়ে লিখতে আজ নিজেরই লজ্জা হচ্ছে। কারণ আজ লজ্জা শব্দটির পোস্টমর্টেম নয় বরং আমাদের বিবেকবোধ-দৃষ্টিভঙ্গির পোস্টমর্টেম করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি। এ আদেশ কোন কর্তৃপক্ষের নয় বরং বিবেকবোধের, শিক্ষা-সংস্কারের এবং ঐতিহ্য-সভ্যতার। আমাদের রাজধানী ঢাকাকে নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই। নিকট ভবিষ্যতে হয়ত পৃথিবীর জনবহুল মেগাসিটিগুলোর একটিতে পরিণত হতে যাচ্ছে ঢাকা। তবে দুঃসংবাদ হলোÑ ইতোমধ্যেই ঢাকা বিশ্বের বাস অযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। পৃথিবীতে এমন কোন মেগাসিটি নেই যেটাতে ঢাকার মতো এত দুঃসহ যানজট, বিশাল বিশাল ময়লা আবর্জনার স্তূপ, উন্মুক্ত ম্যানহোল, খোলা ডাস্টবিন, বস্তির সারি এবং এতটা দুর্গন্ধময়। অপরিকল্পিত শহরের তালিকা যদি করা হয় সেখানে নিঃসন্দেহে ঢাকার অবস্থানও সবার শীর্ষের দিকে থাকবে। কতিপয় বিদেশী নাগরিক স্ব-উদ্যোগে নিজ হাতে ময়লা সরানোর বেলচা ও ঝাড়ু তুলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা-আবর্জনা দূর করে ঢাকাকে একটি সুন্দর-পরিষ্কার শহর গড়ে তুলতে কাজ করছে। যে কাজ আমাদের করার কথা তা বিদেশীরা করে আমাদের সচেতন করছে এবং লজ্জায় ফেলেছে। ভুলেই গেছি, আমাদের আবার লজ্জা কিসের! যদি ন্যূনতম লজ্জাও থাকত তবে আমাদের শহরটিকে বিদেশীরা পরিষ্কার করছে আর আমরা দাঁড়িয়ে দাঁত বের করে উৎসব করে তাদের ছবি তুলছি। এসব দেখে নিজের ওপর নিজেই ধিক্কার জানানোর যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছি। রাজু আহমেদ ধানম-ি, ঢাকা দুরবস্থা ঢাকার পোস্তগোলা বুড়িগঙ্গা সেতু-১-এর বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত করুণ এবং শোচনীয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেতুটির রেলিংগুলো ভাঙতে শুরু করেছে। চুরি হচ্ছে সেতুর মূল্যবান লোহা-লক্কড়। সেতুর রেলিংয়ের লোহা খুলে নিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে রেলিংয়ে রড না থাকার কারণে যে কোন সময় শিশুরা নদীতে পড়ে যেতে পারে। যানবাহন চলাচলের সময় সেতুটি বেশ ভালভাবে কাঁপে তা টের পাওয়া যায়। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সেতুর ওপরের উভয় পার্শ্বে ফুটপাথে চটপটি ও ফুচকাসহ বিভিন্ন দোকানি বা হকারদের দৌরাত্ম্যে চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। স্ট্রিট লাইট না থাকার কারণে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সেতু এলাকা ছিনতাইকারীদের দখলে চলে যায়। সেতুর এক পার্শ্বে নিচের দিকে শ্যামপুর থানার কিছু পুরনো ভাঙ্গাচোরা অরক্ষিত গাড়ি আর অন্য পাশে নোংরা এবং মলমূত্রে ভরা। অপরিষ্কার এবং অপরিচ্ছন্ন পোস্তগোলার বুড়িগঙ্গা সেতু-১-এর দুরবস্থা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। সংস্কারের অভাবে যে কোন সময় এই সেতুর রেলিং ভেঙ্গে বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এলাকাবাসীর দাবি, জরুরী ভিত্তিতে পোস্তগোলাস্থ বুড়িগঙ্গা সেতু-১-এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার করার মাধ্যমে এই সেতুটিকে সময়োপযোগী করে তুলতে হবে। মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা সড়ক নয় যেন খাল সাভার আশুলিয়া থানাধীন পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ সংলগ্ন রোড নং-২ সড়কটি মিজান প্লাজার পাশ দিয়ে ওই সমিতির উত্তর দিকের দেয়াল ঘেঁষে পূর্ব দিকে প্রসারিত হয়ে পল্লী বিদ্যুত সমিতির পাকা মসজিদের পাশ দিয়ে আরও পূর্ব দিকে প্রসারিত হয়ে ক্যান্টনমেন্টের সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহের একটানা বৃষ্টিতে সড়কটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্ষায় বৃষ্টি হলেই রাস্তার খানাখন্দে পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। আর এসব গর্তে যানবাহন উল্টে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃষ্টির পানির সঙ্গে সমস্ত আবর্জনা মিশে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে, পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। জুমার নামাজে মুসল্লিদের পরিষ্কার জামাকাপড়ে ময়লা পানি লেগে অপবিত্র হচ্ছে। পথচারীদের ভীষণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ওই পথে বৃষ্টির পানি অদূরে অবস্থিত ঝিলে পড়ত, সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো না। পথচারীর দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। এখনও ওই হোটেলের পাশ দিয়ে আট ইঞ্চি পাইপের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। তাতে পথচারী ও মুসল্লিদের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে। মো. খলিলুর রহমান পূর্ব ডেন্ডাবর, সাভার
×