ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অত:পর তিনি স্বরূপে

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৩ অক্টোবর ২০১৫

অত:পর  তিনি  স্বরূপে

বৃক্ষ তোমার নাম কী ফলে -এ রকম কথা আমাদের সমাজে বেশ প্রচলিত। কৃতকর্মে ভাল মানুষের পরিচয় মেলে। গুণীজনদের এমন কথাবার্তাকে কেউ ফেলে দিতে পারেন না। কালে কালে এসব কথা আমাদের সমাজে চলে আসছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস শান্তিতে নোবেল জয় করেছেন। এই পুরস্কারপ্রাপ্তিতে দেশের সুনাম বহির্বিশ্বে বৃদ্ধি পেলেও দেশের মানুষের তেমন কোন উন্নতি চোখে পড়ে না। তিনি নিজের স্বার্থে ষোলোআনা ব্যস্ত থেকেছেন- এমন প্রচার ও প্রচারণা সর্বত্র। দেশের কোন ক্রান্তিকালে দূরবীন দিয়েও কেউ তাকে কোথাও খুঁজে পায়নি। অথচ তিনি নাকি শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন! উচ্চাভিলাষী মন-মানসিকতা তাকে ক্ষমতায় যেতেও ইন্ধন যুুগিয়েছে সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে। কিন্তু দেশবাসীর তীব্র ঘৃণা ও ধিক্কারের কারণে তাকে সে পথ থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছে। তিনি দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করে দিতে মার্কিন সরকারকে বাধ্য করেছিলেন তার প্রমাণ হিলারী ক্লিনটনের কাছে পাঠানো তার ই-মেইল বার্তা। ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই তৎপর ছিলেন। কিভাবে সরকারের সাফল্যকে ম্লান করে দেয়া যায় সে ব্যাপারে আদা-জল খেয়ে নেমেছিলেন তিনি ও তার বশংবদরা। কিন্তু হা হতোম্মি! ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের হোটেল হিলটনের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এ সময় হোটেল হিলটনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ব্যানারে সর্বজনীন নাগরিক সংবর্ধনা চলছিল। বিক্ষোভকারীরা ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুন’, ‘শেখ হাসিনাকে না বলুন’ ইত্যাদি সেøাগান দিচ্ছিল। ঠিক সে সময় ওই হোটেল থেকে জাতিসংঘের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেরিয়ে আসেন ইউনূস। বেরিয়ে তিনি বিক্ষোভকারীদের দেখে সেখানে স্বপ্রণোদিত হয়ে যোগদান করেন। এ সময় তাকে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। গণমাধ্যমে ড. ইউনূসের এই ছবি ও সংবাদ প্রকাশ হয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি স্বরুপে ধরা পড়েন। মেছের আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ। মৃত্যুফাঁদ বন্দর নগরী চট্টগ্রামস্থ ডবলমুরিং থানার অন্তর্গত সরাইপাড়া ওয়ার্ড এলাকায় হাজী আবদুল গনি রোড সংলগ্ন মাইমুনা বাই লেইনে এলাকাবাসী এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের আবেদন-নিবেদন এমনকি মাননীয় সংসদ সদস্য, মাননীয় সাবেক মন্ত্রী পিলার ও তারগুলো সরানোর নির্দেশ দিলেও একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের হোল্ডিং ট্যাক্সের কারচুপি, বিভিন্ন প্রলোভনে এখনও তারগুলো সরায়নি। ফলে ২২-০৭-২০১৫ বিকেল থেকে মৃত্যু ঝুঁকিপূর্ণ তারগুলোতে শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে যাওয়ার ফলে বস্তিবাসী আগুন-আগুন চিৎকার করে বস্তি থেকে বের হয়ে যায়। রাত ১২টার সময় পিডিবির কর্মচারী পরিচয় দিয়ে জোরজবরদস্তিমূলকভাবে ওই জায়গায় আবার বিদ্যুত সংযোগ দেয়। ফলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সাবেক মন্ত্রী মহোদয় ঝুঁকিপূর্ণ তারগুলো সরানোর নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত তারগুলো সরানোর কোন ব্যবস্থা বিদ্যুত বিভাগ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেনি। তাই জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য ওই ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তারগুলো সরানোর জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি। এলাকাবাসীর পক্ষে সালমা নাহার চট্টগ্রাম
×