ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাসুদা ভাট্টি

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ২ অক্টোবর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা

শুরুতেই অভিনন্দন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথা এ দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রাণের ‘নেত্রী’ এবং অগণিত মানুষের ‘প্রিয় আপা’র ৬৯তম জন্মদিনে জানাই অমিয় শুভেচ্ছা। বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতি যখন নেতৃত্বশূন্যতায় পড়েছিল তখন কেউ ভাবতেও পারেনি যে, এ দেশ কখনও সেনাশাসন মুক্ত হবে কিংবা এ দেশেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচয় দেয়ার মতো নেতৃত্ব আমরা পাব। কিন্তু শেখ হাসিনা আমাদের সেই জায়গাটি ফিরিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে কেবল নন, শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ নিজের কৃতকর্মেই এই বিশ্বে একজন আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অন্য অনেক স্টেটসম্যানের সঙ্গে গর্বভরে তার নামও উচ্চারিত হয় দেশে দেশে। আমাদের ক্ষুদ্রতার কারণে হোক কিংবা মানসিক বৈকল্যের কারণে হোক আমরা এই সত্যটি স্বীকার করতে চাই না, কিন্তু ইতিহাস নিশ্চিত সাক্ষ্য দেবে এবং এক সময় আমাদের অনেকেই গর্বভরে উচ্চারণ করব যে, আমরা শেখ হাসিনার সময়কালে জীবিত ছিলাম, তার সঙ্গে আমাদের সাক্ষাত-পরিচয় ছিল এবং খুব কাছ থেকে তার রাজনীতি, তার সমাজনীতি, তার শাসন-পদ্ধতি এবং সর্বোপরি তার হাত ধরে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে দেখেছি। এক জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি বোধ করি আর কিছুই হতে পারে না। কেবলমাত্র মিরাকল বা ভাগ্যের জোরে বেঁচে যাওয়া একজন নারী, যিনি কিনা ছোটবোনসহ দেশছাড়া হয়েছিলেন, রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন পাশের দেশে, তিনিই ফিরে এসে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান হবেন এবং প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় পরে দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবেন, এটাই কি বিস্ময়কর নয়? উপমহাদেশের কথাই যদি ধরি, তাহলে এমন কোন নেতা কি আছেন যিনি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে তুলনীয়? অনেকে হয়ত বেনজীর ভুট্টোকে তুলনায় আনতে পারেন, কিন্তু উপমহাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে যার বিন্দুমাত্র জানা আছে তিনিই বুঝবেন যে, বেনজীর ভুট্টোর রাজনীতি এবং রাজনৈতিক উত্থান কোনভাবেই শেখ হাসিনার সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে না। কারণ, দু’জনের রাজনীতির পাঠেই রয়েছে বিস্তর ফারাক। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগসর্বস্ব রাজনীতিতে শেখ হাসিনা শিশুকাল থেকেই অভ্যস্ত হয়েছিলেন বলেই এই বিশাল রাজনৈতিক দলের নেতা হওয়ার পরেও তিনি নিজেকে বদলাননি। প্রবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ের অবস্থা থেকে ফিরে মহাখালীর যে ভাড়া বাসায় তিনি উঠেছিলেন এবং সেখানে যে অসম্ভব দারিদ্র্যের ভেতর দিয়ে তাকে যেতে হয়েছে, বেনজীর ভুট্টো সেরকম কোন পরিস্থিতির কথা কোনদিন কল্পনাও করতে পারবেন না। তাই বেনজীর ভুট্টোকে অসম্মান না করেও বলা যায় যে, শেখ হাসিনা তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নিজেকে নেতা হিসেবে বদলেছেন বার বার। বার বার তিনি নিজেকে শুদ্ধ করেছেন নানা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দিয়ে, কিন্তু ব্যক্তি-জীবনে তিনি বদলাননি মোটেও। তিনি তাই হতে পেরেছেন আপামর মানুষের কাছে ‘প্রিয় হাসু আপা’- একজন রাজনৈতিক নেতার জীবনে এই প্রাপ্তি যে বিশাল তা সেই নেতাই কেবল জানেন। আমরা দূর থেকে এর মাহাত্ম্য ঠিক বুঝতে পারব না। না হলে শেখ হাসিনার আসলে তাঁর প্রাণের ওপর নেমে আসা এত ভয়াবহ হামলা কাটিয়ে বেঁচে থাকার কথা ছিল না। কিন্তু একাধিকবার তাকে বাঁচিয়েছেন তার ‘ভায়েরা’ এবং ‘বোনেরা’। নিজেরা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রিয় নেত্রীকে বাঁচানোর জন্য। বিশ্বে এমন নজির আধুনিককালে নেই, এ কথা আমরা যারা রাজনীতি নিয়ে সামান্য খোঁজখবর রাখি, তারা নিঃসন্দেহে বলতে পারি। শেখ হাসিনা এজন্য অত্যন্ত গর্ব করেই বলতে পারেন যে, ‘তিনি বাংলাদেশের নেতা, তিনি বাঙালীর নেতা।’ শেখ হাসিনা যে সময় রাজনীতি শুরু করেছেন, সে সময় বাংলাদেশ অন্ধকার যুগে পড়ে আছে। সেনা-শাসন জাঁকিয়ে বসেছে। সর্বত্রই রাজনীতিহীনতা মানুষকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে এবং তাকে দেখেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরেক দুষ্টগ্রহ জেনারেলপতœী বেগম খালেদা জিয়ার আবির্ভাব ঘটে। শেখ হাসিনাকে যা রাজপথে আন্দোলন আর সংগ্রামের ভেতর দিয়ে অর্জন করতে হয়েছে, বেগম জিয়া তা ঘরে বসে টিভি সিরিয়াল দেখতে দেখতে আর চুল বাঁধতে বাঁধতেই পেয়ে গেছেন। তাই বেগম জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘বাই ডিফল্ট’ রাজনৈতিক নেত্রী। কিন্তু এই দুইয়ে মৌলিক পার্থক্যটি আসলে অত্যন্ত স্থূল এবং বিরাট আকারেই চোখে পড়ে আমাদের। একজন টাঙ্গাইল-জামদানি-মিরপুর বেনারসির মতো সম্পূর্ণ দেশজ চেহারা নিয়ে জনগণের সামনে গিয়ে দাঁড়ান; আর তার বিপরীতে আরেকজন ফরাসী সিফোঁ শাড়ির সঙ্গে চূড়ো করে চুল ফুলিয়ে গিয়ে রাজকীয় চেয়ারে বসে জনগণকে পায়ের কাছে বসিয়ে নির্দেশ দেন। দুঃখজনক সত্য হলো, এই পার্থক্য আমাদের সমাজের কথিত বিবেকবান ও শিক্ষিত, আলোকিত ব্যক্তিদের চোখে ধরা পড়েনি। তারা দু’জনকে এক কাতারে রেখে, একই পাল্লায় ওজন করতে গিয়ে এ দেশের যে মৌলিক ক্ষতিটি করেছেন, তা আসলে সত্যিই অপূরণীয়। আমরা বাঙালী জাতি একবার নয়, দু’বার নয়, প্রায় দু’ডজনবার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এ কথাও সত্য যে, তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম নেতাও। তিনি রাজনীতিতে নতুন ধারার জন্ম দিয়েছেন, হত্যা এবং প্রতিশোধের রাজনীতির বাইরে এসে তিনি আসলে রাজনীতিকে বলতে গেলে সাধ্যমতো শুদ্ধ করে তুলেছেন। কেউ কেউ বলবেন, তিনি তো তার পিতার হত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন, এটাকে কিভাবে দেখবেন? আমি ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে দেখি দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার উদাহরণ হিসেবে। যে হত্যাকা-কে বৈধতা দেয়া হয়েছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে, খুনীদের করা হয়েছিল রাষ্ট্রেরই অংশ এবং মানুষ খুন করে পার পেয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল, সেখানে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় মানুষের ভেতর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ফিরে এসেছিল এবং সাধারণ মানুষ এ কথাটিই বিশ্বাস করেছে যে, এরপর সাধারণ্যে এ রকম ঘটনা ঘটলেও অন্তত বিচারটুকু পাওয়া যাবে। একই কথা যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং অংশত শেষ করার বিষয়টিও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে অন্যতম মাইলফলক হিসেবে আগামী দিনের ইতিহাস স্মরণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করে যে পার পাওয়া যায় না এবং কোন জাতিই সেই অপরাধীদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না, এই সত্য আবিষ্কার শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শনেই সম্ভব হয়েছে। না হলে আমাদের আরও পস্তাতে হতো এই যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে। এসব কারণেই শেখ হাসিনাকে আসলে আমাদের আর দেয়ার কিছুই নেই, তার কাছ থেকে ‘চাওয়া’ ছাড়া। কারণ, তিনি আমাদের অত্যন্ত আশাবাদী করে তুলেছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে এখন যে কেউ চাইলে যে কোন স্বপ্ন দেখতে পারেন এবং সেই স্বপ্ন পূরণে চাইলেই শেখ হাসিনার ওপর ভরসাও করতে পারেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগদান করে বাংলাদেশের মতো আয়তনে ছোট এবং গুরুত্ব না-পাওয়া রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে এভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে কথা বলবার সাহস শেখ হাসিনাই আমাদের দিয়েছেন নিজেকে সেভাবে উপস্থাপন করে। প্রবল বৈরিতা এবং ভয়ঙ্কর দেশ-বিরোধী, জাতি-বিরোধী ষড়যন্ত্রের মধ্যেও শেখ হাসিনা বিশ্বকে দেখিয়েছেন, একটি দেশকে কী করে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, সেই কৌশল এবং প্রক্রিয়া। আজকে ভারতের মতো বিশাল অর্থনীতির দেশও শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর অনুকরণে ‘ডিজিটাল ভারত’ নির্মাণের ঘোষণা দেয়! আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে এই ক’দিন আগেও হেসেছি, মস্করা করেছি, কিন্তু আজকের বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এর আগে বাংলাদেশের অনুকরণে ডিজিটাল আয়ারল্যান্ড এবং ডিজিটাল নেদারল্যান্ডস হয়েছে। যেহেতু শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা, তাই তাকে এজন্য সম্মান দেয়ার বিষয়টি আমাদের মনেই পড়ে না কিংবা আমরা ইচ্ছে করেই ভুলে যাই। সামরিক শাসনের হাত থেকে বেরিয়ে আধা-সামরিক লুটপাটের কবলে বাংলাদেশের যখন জেরবার অবস্থা, তখন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন পথে চালিয়ে এক নতুন মাত্রায় এনে দাঁড় করিয়েছেন। এখন মানুষ আর পেটের ভাত, পরনের কাপড় নিয়ে ভাবে না। মানুষের ভাবনায় এখন নতুন নতুন স্বপ্ন স্থান করে নিয়েছে। স্বপ্নের মধ্যে যেমন দুঃস্বপ্নও থাকে, তেমনই শেখ হাসিনার এই উন্নয়ন, এই অগ্রগতি আর দেশের মানুষকে নিয়ে নিরন্তর ইতিবাচক পদক্ষেপকে থামিয়ে দেয়ার জন্য দেশে-বিদেশে তৈরি হয়েছে বিশাল শত্রুবলয়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু ধর্মীয় উগ্রবাদ, দেশের ভেতর ছড়িয়ে পড়া জঙ্গীবাদ এবং উগ্র ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ। এই দানবের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা না গেলে এই দানবের অনেক সন্তান-সন্ততি জন্ম নেবে এবং তারা ইতোমধ্যেই যে শেখ হাসিনার নিজের হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগেরও অন্দরে-কন্দরে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে, তার উদাহরণ আমরা দেখতে পাই সাতক্ষীরা আওয়ামী লীগে সদ্য যোগ দেয়া জামায়াত নেতার মামলা দায়েরের মধ্যে। একজন ধর্মীয় সংখ্যালঘু যুবকের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করার মতো কেউ আওয়ামী লীগেও আছে, সেটা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শকের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক এক পরিস্থিতির জন্ম দেয়। শেখ হাসিনা যে বাংলাদেশকে আমাদের সামনে, বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন বা ধরার চেষ্টা করেন, সে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য ব্লগারদের চাপাতি দিয়ে হত্যার কোন সুযোগ বা স্থান নেই। শেখ হাসিনা ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের কথা বলেন, শেখ হাসিনা জঙ্গীবাদ থেকে মুক্ত এক বাংলাদেশের জন্য কাজ করছেন। তাই যখন নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা বলে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট টিম বাংলাদেশ সফরে অস্বীকৃতি জানায়, তখন আমাদের ভীত হতে হয়। আমরা আরও ভীত হয়ে পড়ি তখন, যখন বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট টিমকে এক প্রকার জোর করেই পাকিস্তানে খেলতে পাঠানো হয় এবং প্রমাণ করে দেয়া হয় যে, বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের পরিস্থিতি আসলে একই, এ দু’য়ে কোনই পার্থক্য নেই। তখনই আমরা বুঝতে পারি যে, বাংলাদেশ নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভয়ঙ্কর কোন খেলা চলছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তাই তার কাছে আমাদের প্রধানতম চাওয়া হয়ে দাঁড়ায়, এই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্য। বাংলাদেশকে কোনভাবেই আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে দেয়া যাবে না, যে কোনভাবেই হোক জঙ্গীবাদের কারণে এ দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ-আগ্রহীদের বাংলাদেশে আসতে বাধার সৃষ্টিকারীদের রুখতে হবে- শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিনে এই সামান্য চাওয়াটুকু আমাদের থাকতেই পারে। কারণ, আমাদের তো আর চাওয়ার কোন জায়গা নেই। যেখানে চাওয়ার আগেই পাওয়া যায়, সেই নিশ্চিত আশ্রয় ও ভরসার স্থল শেখ হাসিনাই আমাদের একমাত্র ও প্রধানতম কেন্দ্র। তাকে ঘিরেই বাংলাদেশ আবর্তিত হচ্ছে। তাই বলি, বাংলাদেশের এই নব্য-শত্রুদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন এবং আপনিই কেবল পারবেন, আর কেউ নন। [email protected]
×