ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

পর্যটন কর্পোরেশন কি বলে? বাংলাদেশকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। কিন্তু কি কি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা জানানো হয়নি। সম্প্রতি কলকাতা থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্লী যাওয়ার পথে বিদেশী এক ট্যুরিস্টের সঙ্গে পরিচয় হলো। তিনিই জানালেন, বিশ্বের সকল দেশের ট্যুরিস্টরকে আকৃষ্ট করার জন্য ১৪তলা একটি জাহাজ নামিয়েছে মালয়েশিয়া, ১০০ ডলার দিয়ে ঢুকে এক রাতের সফরে ওই জাহাজে দেখবেন যেন একটি আধুনিক বিনোদন শহর। কি নেই ওই জাহাজে-থিয়েটার, সিনেমা, পার্ক, সুইমিংপুল, রেস্টুুরেন্ট, বার, পার্লার, সার্কাস, নৃত্য-গীত, লিফট, শপিংমল ইত্যাদি কত কি। এ ছাড়া ট্যুরিস্টরা যা যা আশা-আকাক্সক্ষা করেন সবই মিলে ওই জাহাজে। যে জন্য প্রতিটি মহাদেশ থেকে দলে দলে ট্যুরিস্ট ভিড় করছে মালয়েশিয়াতে। ওদিকে থাইল্যান্ডের পাতাইয়া সমুদ্র সৈকত যেন ঘুমায় না। দিনে রাতে সমানে আমোদ-প্রমোদে মেতে থাকে। যে যার ইচ্ছেমতো ওখানে আনন্দ ফুর্তি করে যাচ্ছেÑ নেই কোন বাধা। এ জন্যই নাকি দৈনিক ৫ লাখ ট্যুরিস্ট নামে ব্যাঙ্কক বিমান বন্দরে। এসব কথা শুনে বাংলাদেশী একজন বললেন, ব্যাঙ্কক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া আর ইউরোপ-আমেরিকায় ট্যুরিস্টরা যাবেই না কেনÑ ওখানের সর্বত্রই মিলে সমুদ্র সৈকত, জলপ্রপাত, পাহাড়-অরণ্য, স্থাপত্য কীর্তিÑ এরই পাশাপাশি রয়েছে আনন্দ বিনোদনের সকল উপকরণ। তবে আমাদের দেশে ১৪ তলা জাহাজও নামবে না; রাধাও নাচবে না; আনন্দ-প্রমোদে মেতেও উঠবে না বাংলাদেশের ভ্রমণ স্পটগুলো অথচ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর মনের মাধুরী মিশিয়ে বলে যাবেনÑ ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মতো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বাংলাদেশে।’ বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এ ব্যাপারে কি বলেন? লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা। টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সম্প্রতি ঘোষিত পে-স্কেলে কিছু অসঙ্গতি বিদ্যমান বলে মনে করি। আমি নবম গ্রেডের এক কর্মকর্তা। বর্তমান পে-স্কেলে সাময়িকভাবে লাভবান হলেও ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমানের ১১ হাজার টাকার স্কেলের মূল বেতন ২২ হাজার টাকায় উন্নীত হলেও বর্তমান বেতন বৃদ্ধির ধারা নিয়ে আশাহত। বর্তমান পদ থেকে ভবিষ্যতে পদোন্নতি পাওয়ার সম্ভাবনা নেইÑ আবার টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেডও রহিত করা হলো। ৫% হারে চক্রবৃদ্ধির বেতন বৃদ্ধির যে কথা বলা হয়েছে তাতে শুভঙ্করের ফাঁকি। নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকার ৫% বৃদ্ধিতে বছর শেষে বৃদ্ধি হয় ১ হাজার ১০০ টাকা। চলমান ১১ হাজার টাকায় বেতন বৃদ্ধি হলো ৪৯০ টাকা। শতকরা হিসেবে যা দাঁড়ায় ৪.৪৫% অর্থাৎ ৪.৪৫% বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির পরও ৫-৬ বছর পর নতুন পে-স্কেল পাব বলে আশায় থাকার সুযোগ ছিল। বর্তমান পে-স্কেলে বিষয়টি স্থায়ী কাঠামোতে আনায় নতুন স্কেলও পাওয়া যাচ্ছে না আবার টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড না থাকায় বেতনও উচ্চতর স্কেলে উন্নীত হওয়ার সুযোগ নেই (আমি আমার গ্রেডের কথা উল্লেখ করছি অন্যান্য গ্রেডেও একই অবস্থা)। সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড নিয়ে একই দেশে দুই রকম আচরণ করা হচ্ছে। প্রশাসন ক্যাডারে পদ না থাকলেও যেখানে পদোন্নতি দেয়ার ব্যবস্থা আছে কিংবা বলা যায় অধিক হারে পদোন্নতি দিয়ে বসিয়ে রাখার সুযোগ আছে সেখানে তাদের অনৈতিকভাবে সিলেকশন গ্রেড প্রদান করা হয়েছে। স্মারক নং-১৯৮ তাং-৩-০৮-১৫ খ্রিঃ ২৪তম বিসিএসের ৩০৬ কর্মকর্তাকে ৫ম গ্রেডে সিলেকশন গ্রেড প্রদান করা হয়েছেÑ যা ২-৭-১৫ থেকে কার্যকর বলে উল্লেখ রয়েছে। কাউকে সুবিধা দেয়া হবে আর কারও প্রাপ্য সুবিধা কেড়ে দেয়া হবে এটা সরকারের জন্য বেমানান। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে শুধু প্রশাসন ক্যাডার নয় ন্যায্যতার ভিত্তিতে সকলকে সমভাবে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হোক। পরিশেষে আবারও টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালের আবেদন করছি। লোকমান ফকির ঢাকা।
×