ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোচ রয় হডসন, সাবেক তারকা গ্যারি লিনেকারসহ সবার প্রশংসায় সিক্ত ইংল্যান্ড অধিনায়ক, উপহার পেলেন ;###;‘রুনি ৫০’ লেখা জার্সি

রুনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ মেসি

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রুনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ মেসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পর থেকেই প্রশংসার স্রোতে ভেসে চলেছেন ওয়েন রুনি। সাবেক, বর্তমান তারকা ফুটবলাররা ছাড়াও ভক্তদের প্রশংসায় সিক্ত হচ্ছেন ইংলিশ অধিনায়ক। তবে এই ডামাডোলের মধ্যে নিশ্চিতকরেই রুনির জন্য বড় পাওয়া, লিওনেল মেসির প্রশংসায় সিক্ত হওয়া। বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা বৃহস্পতিবার রুনিকে বিস্ময়কর প্রতিভা হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে রেকর্ড গড়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাক্ষাতকারে রুনির মধ্যে অতুলনীয়, অবিশ্বাস্য প্রতিভা আছে উল্লেখ করে মেসি বলেন, ইংল্যান্ডের অধিনায়ক এই প্রজন্মের ফুটবলার। লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরো বাছাই ফুটবলে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এক গোল করে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা গোলদাতার রেকর্ড গড়েন রুনি। আগের ম্যাচেই তিনি ছুঁয়ে ফেলেন ৪৯ গোল করা স্যার ববি চার্লটনকে। এই ম্যাচে তাই এক গোল করলেই হয়ে যাবেন ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এমন সমীকরণ সামনে রেখে ক্যারিয়ারে ৫০তম গোল করে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েন ম্যানইউ তারকা। জাতীয় দলের হয়ে মেসির মতোই রুনিও এখন তেমন কিছু করতে পারেননি। যে কারণে সমালোনা সইতে হয় প্রায়শই। ইংলিশ সমর্থকদের বেশ কয়েকবার হতাশ করেন রুনি। বিশেষ করে ২০১০ বিশ্বকাপে আলজেরিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করায় নিন্দিত হন তিনি। চারবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি বার্সিলোনার হয়ে সব ধরনের শিরোপা জিতলেও আলবেসেলিস্তাদের হয়ে এখনও কোন বড় শিরোপা জিততে পারেননি। জাতীয় দলের ব্যর্থতার এই কষ্টটা মেসির চেয়ে কারও বেশি বোঝার কথা নয়! তাই তো তিনি বলেছেন, রুনিকে আরও বেশি করে মূল্যায়ন করা উচিত। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ফুটবলার হিসেবে রুনি অসাধারণ, তার মাঝে আছে ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য। সাক্ষাতকারে মেসি বলেন, আমি মনে করি রুনি এই প্রজন্মের ফুটবলার। সে বিশেষ একজন ফুটবলার যার সঙ্গে অন্য কারও তুলনা করা যায় না। বার্সিলোনা তারকা আরও বলেন, ফুটবল বিশ্বে অনেক সেরা খেলোয়াড় আছেন। তবে রুনির মাঝে ব্যতিক্রমী গুণাগুণ ও দারুণ কিছু দক্ষতা আছে। আমার প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলার হিসেবে তাকে অসাধারণ মনে হয়েছে। মেসি বলেন, রুনি একজন বিজয়ী। তার মূল লক্ষ্য এখন ইংল্যান্ডের হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল করা। তাকে অভিনন্দন। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় রুনির। এখন পর্যন্ত ১০৭ ম্যাচে ৫০ গোল করেছেন। এছাড়া বর্তমানে ম্যানইউর হয়ে খেলা এ স্ট্রাইকার এখন পর্যন্ত ৪৮৫ ম্যাচে ২৩৩ গোল করেছেন। প্রিয় শিষ্যের কীর্তিতে বেজায় খুশি ইংল্যান্ড কোচ রয় হডসনও। তিনি বলেন, আমি খুব খুশি রুনির কীর্তিতে। তার পূর্ণতা আমাকে সবসময়ই মুগ্ধ করে। বিশেষ করে অধিনায়কের ভূমিকায় সে যেভাবে দায়িত্ব পালন করে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি আরও বলেন, ১৯ বছর বয়সে সে যখন পেশাদার ফুটবল খেলতে এসেছিল তখন থেকে এখন পর্যন্ত সমানভাবে পরিশ্রম করে চলেছে। ইংল্যান্ডের আরেক সাবেক তারকা স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকারও রুনিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সান ম্যারিনোর বিপক্ষে গোল করে রুনি লিনেকারের করা ৪৮ গোলের রেকর্ড ভেঙ্গে ছিলেন। ৫৪ বছর বয়সী লিনেকার বলেন, রুনিকে আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন। সে এই রেকর্ডের যোগ্য। আমার বিশ্বাস রেকর্ডটি দীর্ঘদিন অটুট থাকবে। রেকর্ড গড়া ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে ইংল্যান্ড ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রুনির হাতে ৫০ গোল করার স্মারক হিসেবে ‘রুনি ৫০’ লেখা জার্সি উপহার দেন কোচ হডসন। ২০০৩ সালে মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম গোল পাওয়া রুনির জন্য রাতটি বিশেষ হয়েই থাকল। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রুনি বলেন, এটা আমার আর আমার পরিবারের জন্য বিশেষ একটা রাত। এ রাতের কথা কখনই ভুলব না। এ সময় আনন্দের আতিশষ্যে রুনির চোখ ছলছল করছিল।
×