ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএমপির উদ্যোগে তালিকাভুক্ত ৫ হাজার

রাজধানীর দাগী সন্ত্রাসী অপরাধীরা এবার ডিজিটালাইজড তালিকায়

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রাজধানীর দাগী সন্ত্রাসী অপরাধীরা এবার ডিজিটালাইজড তালিকায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘ডিজিটালাইজড তালিকার’ আওতায় চলে এসেছে রাজধানীর কুখ্যাত, দাগী, দুর্ধর্ষ অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা। গত ১ বছরে রাজধানীর ৪৯ থানা এলাকার ৫০ হাজারের বেশি অপরাধীর তালিকা ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। অপরাধীর তালিকা ডিজিটালাইজড করার জন্য একটি সফটওয়্যার ব্যবহার শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এই সফটওয়্যারটির নাম ‘এসআইভিএস’। এই সফটওয়্যারের ক্লিক করলেই অপরাধীদের জীবনবৃত্তান্ত কম্পিটারের মনিটরের পর্দায় ভেসে উঠবে। ডিএমপি সূত্রে এ খবর জানা গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডিএমপিতে অপরাধীদের তালিকা ডিজিটালাইজড করার কাজ অব্যাহত আছে। রাজধানীর অপরাধ দমনে অপরাধীদের ডিজিটালাইজড তালিকার পদ্ধতি চালু করার ফলে আর পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে পারবে না অপরাধীরা। অপরাধীরা ধরা পড়ার পর তাদের ছবি, হাতের আঙ্গুলের ছাপ, চোখের রং, শরীরের উচ্চতা, জীবনবৃত্তান্তসহ সব কিছ্ইু উল্লেখ করা হচ্ছে। এ জন্য চালু করা হয়েছে এসআইভিএস নামক এক সফটওয়্যার। এসআইভিএসর এর পুরা নাম হচ্ছে, সাসপেক্ট আইডেনটিফিকেশন এ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (এসআইভিএস)। প্রায় ১ বছর ধরে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এটা একটি অপরাধীদের তালিকার জন্য সফটওয়্যার। রাজধানীর পেশাদার অপরাধী চিহ্নিত করে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য অপরাধীদের ডিজিটালাইজড তালিকার পদ্ধতি চালু করাই হচ্ছে এর উদেশ্য। ডিএমপি সূত্র জানান, ডিজিটালাইজড তালিকার আওতায় খুনী, ছিনতাইকারী, চোর, ডাকাত, প্রতারক, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাচালানীসহ যত ধরনের অপরাধী আছে তারা সবাই তালিকাভুক্ত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি অপরাধী তালিকাভুক্ত হয়ে গেছে। কুখ্যাত, দাগী, দুর্ধর্ষ অপরাধীরা ধরা পড়লেই ডিজিটালাইজড তালিকার আওতায় চলে আসছে। এই প্রযুক্তি অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন কৌশল বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এই প্রক্রিয়ায় অপরাধীরা বার বার অপরাধ করে পার পেয়ে যেতে পারবেন না। তাদের আগের অপরাধের সব ঘটনাই ধরা পড়ে যাবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দফতরে প্রতিদিনই অপরাধীদের তালিকা ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এটা সারা বছর ধরেই চলতে থাকবে। রাজধানীর ৪৯ থানার ওসিকে তাদের নিজ নিজ এলাকায় ধরা পড়া এবং অধরা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, অপরাধীদের তালিকাসহ জীবনবৃত্তান্ত ডিএমপির সদর দফতরে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীতে জঙ্গী তৎপরতা, সন্ত্রাসী কর্মকা- খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, প্রতারণাসহ নানা ধরনের কোন না কোন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার পর মিথ্যা পরিচয় দিয়ে জামিন নিয়ে মুক্ত হয়ে আবারও অপরাধ তৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছে। বার বার অপরাধ সংঘটিতকরণ এবং জামিনে বের হয়ে আবারও অপরাধ সংঘটিত করার বিষয়টি অনেকাংশে কমে যাবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করছে। বাংলাদেশ এতদিন এই ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল।
×