ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

রিক্সা লেনের ব্যবহার সিলেট নগরের ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বন্দর বাজার এলাকা। গত বছর যানজট নিরসন এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ওই এলাকার রাস্তাটিকে দু’ভাগ করে রিক্সা চলাচলের জন্য আলাদা একটি লেন তৈরি করা হয়, যা কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত বিস্তৃত। কিন্তু বর্তমানে লেনটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এটি শহরের কেন্দ্র ও বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় রিক্সার পরিমাণ এখানে অনেক বেশি। রিক্সা চলাচলের লেনটি অনেক সংকীর্ণ হওয়ায় ওই লেনটিতে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে রিক্সা যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন না। এতে দুর্ভোগ এড়াতে রিক্সাচালকরা নিয়ম ভঙ্গ করে অন্য লেন দিয়ে চলাচল শুরু করেন। কিছুদিন সেখানে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করে ব্যবস্থাটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সেখানে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় আবার পূর্বের অবস্থা দাঁড়িয়েছে। রিক্সা চলাচলের লেনটি এখন হকারদের ব্যবসাক্ষেত্র হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ফলে লেনটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হওয়ায় ও রাস্তাটি আরও সংর্কীণ হয়ে পড়ায় ওই এলাকাটিতে যানজট ও দুর্ঘটনার পরিমাণ পূর্বের তুলনায় বহুগুণ বেড়ে গেছে। অতএব ওই সমস্যা নিরসনে কর্তৃপক্ষের যথাযথ সুদৃষ্টি কামনা করছি। নীলাঞ্জনা পুরকায়স্থ শাহ্জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, সিলেট কোন্্ দেশে বাস করি পদ্মার তীরে লৌহজং নৌবন্দর থেকে শুরু করে হলদিয়া, গোয়ালীমান্দ্রা হয়ে শ্রীনগরের ওপর দিয়ে প্রধান খালটি আড়িয়ল বিলের বুক ছিদ্র করে আড়িয়ালখার পাশ দিয়ে উত্তরে ধলেশ্বরী নদীতে মিলিত হয়েছে। ৩০-৪০ মাইল দীর্ঘ লম্বা খালটির কল্যাণে বৃহত্তর বিক্রমপুরের লাখ লাখ মেহনতি কৃষক, ধান, আলুসহ নানা ফসল উৎপাদন করে এই খাল দিয়ে তাদের পণ্য পৌঁছে দিত নানা স্থানে। পদ্মা নদী হতে বড় লঞ্চ এই খালের ভেতর দিয়ে সংক্ষিপ্ত পথে সৈয়দপুর-ধলেশ্বরী দিয়ে ঢাকা পৌঁছত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সময়ের আবর্তে এই খাল তার স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ হারাতে বসেছে। এর সিংহভাগ অংশ চলে গেছে অবৈধ দখলে। অশুভ চক্রের হাতে পড়ে বেদখল হয়ে গেছে এই খাল। শ্রীনগর খালের ওপর দ্বিতীয় পাকা ব্রিজ থেকে দক্ষিণে ফেরিঘাট পর্যন্ত, পাকা ব্রিজ থেকে পশ্চিমে ভাগ্যকূল রোডে জুশুরগাঁও পর্যন্ত রাস্তার সাইটে খাল ও নয়নজলি চৌদ্দআনা দখল হয়ে যাওয়াতে কৃষকের মাথায় হাত। এসপি (সহকারী) অফিসের সামনে খালের ওপর দোকানঘর তুলে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়াতে খালের প্রস্থ হ্রাস পাচ্ছে ক্রমাগতভাবে। বড় খালের একটি শাখা খাল শ্রীনগর হতে শ্যামসিদ্ধি হয়ে আড়িয়ল বিলে ইছামতিতে যুক্ত হয়েছে। খালের ওপর নির্মিত প্রথম ব্রিজ থেকে উত্তরে দেউলভোগ পর্যন্ত খালের মাথা হতে নিতম্ব পর্যন্ত দখলে চলে গেছে। মূল খাল হতে একটি প্রধান শাখা খাল চকবাজার থেকে ছনবাড়ি হয়ে শিংপাড়া এবং সেখান থেকে ইছাপুরা হয়ে সিরাজদিখানের ওপর দিয়ে নিমতলী হয়ে পুনরায় শেখেরনগর মূল খালে মিলিত হয়েছে। শ্রীনগর দ্বিতীয় পাকা ব্রিজ থেকে পশ্চিমে বিশ্ব সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল নয়নজলি নাম ধারণ করেছে। খালের পানিতে কৃষক জমিতে ধান ফলাত। ২নং খাস খতিয়ানের মালিক সড়ক ও জনপথ বিভাগ হলেও নিয়মের মাথা ভেঙ্গে জেলা পরিষদ কোন স্থাপনা তৈরি না করার শর্তে অস্থায়ী একসনা লিজ দিলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খাল বা নয়নজলি বালু ভরাট করে পাকা মার্কেট, ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ চায় জনগণ। মেছের আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ
×